সিএসআইআর ইউজিসি নেট পরীক্ষা সংগৃহীত ছবি
বিজ্ঞান ও কারিগরি বিদ্যার ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই উচ্চশিক্ষা বা শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত হতে চান। সেই পথেরই প্রথম ধাপ হল সিএসআইআর ইউজিসি নেট পরীক্ষায় পাশ করা। ২০২২-এর সিএসআইআর ইউজিসি নেট পরীক্ষার দিন ঘোষিত হয়েছে। আগামী ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং তার আগে অ্যাডমিট কার্ড ও পরীক্ষা কোন কোন শহরে হবে, তা জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হবে। গত অগস্ট মাসেই এই পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর কোনও ভুল থাকলে তা শুধরে নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। মূলত রসায়ন, ভূতত্ত্ব, আবহবিদ্যা, সমুদ্রবিজ্ঞান, গ্রহবিদ্যা, জীববিদ্যা, গণিত, ভৌতবিজ্ঞান— এই সমস্ত বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষার ধরন, যোগ্যতার মাপকাঠি, নিয়োগ পদ্ধতি ইত্যাদি তথ্য এখানে দেওয়া হল।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
বিটেক/ বিই/ বিফার্মা/ এমবিবিএস/ চার বছরের বিএস / বিএস-এমএস সমন্বিত কোর্স/ এমএসসি ডিগ্রিতে অসংরক্ষিত ক্যাটেগরির পরীক্ষার্থীদের ও অসংরক্ষিত ক্যাটেগরির আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরীক্ষার্থীদের ৫৫ শতাংশ এবং এসসি,এসটি, তৃতীয় লিঙ্গ ও পিডব্লিউডি পরীক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
বয়ঃসীমা
সিএসআইআর নেট জেআরএফ-এর জন্য আবেদন জানাতে গেলে পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। এসসি,এসটি, তৃতীয় লিঙ্গ, মহিলা ও পিডব্লিউডি পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সের ক্ষেত্রে ৫ বছর ছাড় দেওয়া হয় এবং ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ৩ বছর ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু লেকচারশিপ বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে কোনও বয়সের ঊর্ধ্বসীমা রাখা হয়নি।
নিয়োগ প্রক্রিয়া
পরীক্ষার পর প্রার্থীরা নির্দিষ্ট কাট অব মার্ক পেলে জেআরএফ বা লেকচারশিপের জন্য নির্বাচিত হন।
পরীক্ষার ধরন
সিএসআইআর নেট পরীক্ষাটি অনলাইন মাধ্যমে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সব প্রশ্নই অবজেক্টিভ এবং এমসিকিউ ধরনের হয়। পরীক্ষার মোট সময় ৩ ঘন্টা। এই সময়ের মধ্যে পরীক্ষার্থীকে রসায়নে ৭৫টি ,ভূতত্ত্বে ৭৫টি ,জীববিদ্যায় ৭৫টি, গণিতে ৬০টি এবং ভৌতবিজ্ঞানে ৫৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতিটি পেপারেই ২০০ নম্বর করে থাকে। প্রতিটি ভুল উত্তরে .২৫ নম্বর কেটে নেওয়া হয় এবং প্রতিটি ঠিক উত্তরে থাকে এক নম্বর।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রথমে ভাল করে পরীক্ষার ধরন ও সিলেবাস দেখে নেওয়া উচিত। এর পর বিগত বছরগুলির প্রশ্নপত্র ক্রমাগত সমাধান করে ও বাড়িতে মক টেস্ট দিয়ে জোরদার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এই ভাবে নিজেকে যাচাই করে নিলে নিজের কোন কোন জায়গাগুলিতে আরও উন্নতি করতে হবে বা কোথায় কোথায় ভুল হচ্ছে, সেই দিকে প্রার্থীরা ভাল করে নজর দিতে পারবেন।
পরীক্ষার শংসাপত্রের বৈধতা
এই পরীক্ষায় পাশ করে জেআরএফ-এর সুযোগ পেলে,সেই শংসাপত্র দু'বছর বৈধ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু যদি পরীক্ষার্থী লেকচারশিপ বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের শংসাপত্র পান, তা সারা জীবন বৈধ বলেই বিবেচিত হবে।
তাই আর খুব দেরি না করে, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করে,নিজের পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যাপারে জেনে নিন এবং পরীক্ষার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু করে দিন।