PF for School Teachers

পিএফ-এর সুদের অর্থ দিলেও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ প্রাপ্য নিয়ে সংশয়

বহু শিক্ষকের জিপিএফ ট্রান্সফার করা হয়েছে সেখানে মাত্র ছ’মাসের সুদ দেওয়া হয়েছে। আর সেই সমস্ত শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের কথাই উল্লেখ নেই বিজ্ঞপ্তিতে। আর তাতেই সংশয় তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রাপ্য সুদের অর্থ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই গেল একাংশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। বদলি হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রাপ্য সুদের অর্থ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করল সরকার। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতেই রইল বিভ্রান্তি। নতুন বদলি আবেদনকারী ও যাঁদের বদলি হয়েছে কিন্তু এখনও জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) অর্থ ট্রান্সফার হয়নি তাঁরাই এই সুবিধা পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু শিক্ষকের জিপিএফ ট্রান্সফার করা হয়েছে সেখানে মাত্র ছ’মাসের সুদ দেওয়া হয়েছে। আর সেই সমস্ত শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের কথাই উল্লেখ নেই বিজ্ঞপ্তিতে। আর তাতেই সংশয় তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলে।

Advertisement

জেনারেল ও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নেওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের (জিপিএফ) সুদের অর্থ দেওয়া হবে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দফতর। আর এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকেই এই সুবিধা পাবেন বদলি হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

স্কুল শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক জানান, অর্থ দফতরের কাছ থেকে যে ফাইল পাঠান হয়েছে তাতে একাংশ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী তাঁদের প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত হবেন। তবে তাঁরা যদি এই বিষয় নিয়ে আবেদন করেন দফতরের কাছে, সে ক্ষেত্রে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৫ সাল থেকে হাই স্কুল স্তরে জেনারেল ট্রান্সফার চালু করা হয়। ২০১৯ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে স্পেশাল ট্রান্সফার ব্যবস্থা চালু করা হয়। ঠিক তার পরের বছর ২০২০ সালে অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফারের পোর্টাল চালু করা হয়। আর এই বদলি প্রক্রিয়ার সরলীকরণের জন্য ২০২১ সালে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল চালু করে রাজ্য সরকার।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “ সরকার একটা ভাল ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও একাংশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বঞ্চিত করলেন। আমরা বহু চেষ্টা করেছিলাম যাতে বদলিরত সকল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পান। এই নির্দেশের ফলে তাঁরা বঞ্চিত হবেন।”

১৯৯৫ সাল থেকে শিক্ষাকর্মীদের জিপিএফ নিয়ে জটিলতা ছিল। নতুন ভাবে সরকার সমাধান করলেও একাংশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায় করেছে বলে মনে করছেন শিক্ষক মহলের একটি বড় অংশ।

এএসএফএইচএম-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “এক যাত্রায় পৃথক ফল কোন ভাবেই হতে পারে না। একাংশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পাবেন। আর একাংশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বঞ্চিত হবেন এই বিষয়টি শিক্ষা দফতরের বিবেচনা করা উচিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement