প্রতীকী চিত্র।
রবিবার, ২৮ এপ্রিল রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মাসি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ার সুযোগ পাবেন। রবিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গণিত এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষা নেওয়া হবে। মাঝে এক ঘন্টার বিরতি থাকবে। চলতি বছরে ১,৪২,৬৯৪ জন পরীক্ষা দিতে চলেছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ডের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের পাশাপাশি, ত্রিপুরার আগরতলা এবং অসমের শিলচরেও পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৩২৫টি, ত্রিপুরায় ২টি এবং অসমে ১টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তীব্র তাপপ্রবাহ এড়াতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এই মর্মে বোর্ড সভাপতি মলয়েন্দু সাহা বলেন, ‘‘যতটা সম্ভব বাড়ির কাছাকাছি পরীক্ষাকেন্দ্র দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত থাকার আর্জি জানানো হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজনে পরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করে আসতে পারেন।’’
এই মর্মে কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু করা হবে। পাশাপাশি, সারা দিনে উত্তর থেকে দক্ষিণে ‘ব্লু লাইন’-এ মোট ১৪০টি মেট্রো চলবে, যেখানে অন্য দিন ১৩০টি মেট্রো চলে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ডের তরফে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষিত এবং সুস্থ রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এবং ওআরএস-এর ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলিও তৎপর থাকবে। যদিও পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়মমাফিক জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হবে। পাশাপাশি, কোনও পরীক্ষার্থী যদি গরমের কারণে অসুস্থ বোধ করেন, তাঁকে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার যথাযথ পরিকাঠামো রাখতে হবে।
চলতি বছর গণিতের পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন মিলিয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা মাল্টিপ্ল চয়েস কোয়েশ্চন (এমসিকিউ)-এর মাধ্যমে উত্তর দিতে পারবেন। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য সর্বাধিক ২ নম্বর নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে, ভুল উত্তরের ক্ষেত্রে নেগেটিভ মার্কিং থাকলেও কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিলে নম্বর বাদ পড়বে না।
পরীক্ষার্থীরা অপটিক্যাল মেশিন-রিডেবল রেসপন্স (ওএমআর) শিটে শুধু মাত্র কালো এবং নীল রঙের বল পয়েন্ট পেন দিয়েই পরীক্ষা দিতে পারবেন। ওই পেন বোর্ডের তরফেই পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। পেন ব্যতীত পেনসিল কিংবা অন্য কোনও কালির পেন দিয়ে উত্তর লিখলে সেই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট বাতিল করে দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও পরীক্ষার দিন অ্যাডমিট কার্ড, আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া প্রার্থীর ছবি, সচিত্র পরিচয়পত্র পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে রাখতে হবে। ১৫ মিনিট আগেই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ফোন, ক্যালকুলেটর, স্মার্টওয়াচ, পেন, হাতঘড়ি, যে কোনও রকমের ব্লুটুথ ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও পরীক্ষার্থীর থেকে উল্লিখিত সামগ্রী পরীক্ষা চলাকালীন পাওয়া গেলে, তাঁর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন বোর্ড এই পরীক্ষার মূল্যায়নের শেষে প্রথম দশজনের মেধাতালিকা প্রকাশ করবে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত দিনে ওয়েবসাইট থেকে র্যাঙ্ক কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে, যেখানে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর এবং র্যাঙ্ক উল্লেখ করা থাকবে। সেই নম্বরের ভিত্তিতে তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, আর্কিটেকচার এবং ফার্মাসি নিয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারবেন।