প্রতীকী চিত্র।
দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে সমস্ত শূন্য আসনে পড়ুয়াদের ভর্তি সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার এই মর্মে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) বা আদর্শ নিয়মবিধি প্রকাশ করা হয় কমিশনের তরফে। তাতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আসনসংখ্যা পূরণ না হলে তারা নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করতে পারবে। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এর পর তারা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে পারবে।
কমিশনের তরফে প্রকাশিত এসওপিতে জানানো হয়েছে, একটি শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধীনস্থ কলেজগুলিতে আসন খালি থাকলে শুধু মাত্র যে সম্পদের অপচয় হয় তা নয়, পড়ুয়ারাও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তবে বিজ্ঞপ্তিতে এ কথাও পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়েছে, কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (কুয়েট)-এ প্রাপ্ত নম্বরকেই কেন্দ্রীয় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা মাপকাঠি হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
ইউজসি সচিব এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, কমিশনের নজরে এসেছে যে, তিন বা চার রাউন্ড কাউন্সেলিং হওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বেশ কিছু সংখ্যক আসন খালি থাকছে। তাই কমিশনের তরফে এই নতুন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা পূরণ না হলে পরবর্তী কালে কুয়েট দিয়েছেন এমন পড়ুয়ারা পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। এমনকি তাঁরা কোন ‘ডোমেন সাবজেক্ট পেপার’-এর পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তা-ও বিবেচনা করা হবে না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রবেশিকা পরীক্ষারও আয়োজন করতে পারে। এর পর প্রবেশিকায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বিভিন্ন কোর্সে পড়ুয়াদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।
কুমার জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়াটি যাতে মেধার ভিত্তিতে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, সে দিকেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নজর রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে শূন্য আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সরকারি নিয়মও মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।