Primary Teachers in Service

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, বিএড প্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ‘ব্রিজ’ কোর্স চালু

বিএড প্রশিক্ষতদের ছ’মাসের বিশেষ ‘ব্রিজ কোর্স’ এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:২৫
Share:
NCTE bridge course for primary teacher.

ছবি: সংগৃহীত।

বিএড প্রশিক্ষিত হয়ে যাঁরা প্রাথমিকে শিক্ষক হিসাবে চাকরি পেয়েছেন এবং বর্তমানে ইন-সার্ভিস রয়েছেন, তাঁদের জন্য ছ’মাসের একটি বিশেষ ‘ব্রিজ কোর্স’ চালু করল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)।

Advertisement

প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য ডিএড বা ডিএলএড কোর্স করা বাধ্যতামূলক। তবে পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী, বিএড প্রশিক্ষিতেরাও প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। এই কোর্সটি শুধুমাত্র সেই সব বিএড প্রশিক্ষিত শিক্ষক-শিক্ষিকাই করতে পারবেন, যাঁদের নিয়োগ ২০১৮-এর জুন মাস থেকে ২০২৩-এর নভেম্বর মাসের মধ্যে হয়েছে। এই নির্দিষ্ট সময়সীমার অন্তর্গত দেশের সমস্ত স্কুলের ইন-সার্ভিস বিএড ডিগ্রি প্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের এই কোর্স করতেই হবে।

উল্লেখ্য, বিএড প্রশিক্ষণ উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকতার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। ২০১৮-র ২৮ জুন এনসিটিই-র তরফে একটি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে জানানো হয় বিএড প্রশিক্ষিতেরা প্রাথমিকের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হতে পারবেন। পরবর্তী কালে এই যোগ্যতার মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে মামলা দায়ের করা হয়।

Advertisement

সেই সমস্ত মামলা পর্যবেক্ষণের পর ২০২৩-এর ১১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জানায়, প্রাথমিকের শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের বিএড প্রশিক্ষিত হওয়া যথেষ্ট নয়। তাঁদের ডিএএলএড অথবা ডিএড ডিগ্রিও থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এ-ও জানায়, দ্রুত পূর্বে নিযুক্ত বিএড প্রশিক্ষিতদের একটি ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ২০২৪-এর ৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট এই মর্মে এনসিটিই-কে নির্দেশ দেয়, ‘ব্রিজ কোর্স’-এর প্রশিক্ষণ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে হবে।

এনসিটিই-র তরফে জানানো হয়েছে, কাউন্সিলের নিয়মানুসারে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং-এর তরফে অনলাইনে এবং দূরশিক্ষা পদ্ধতিতে বিএড প্রশিক্ষিতদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রতিষ্ঠানের তরফে প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার এক বছরের মধ্যে যদি কোনও শিক্ষক এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ না পান, তার দায় সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই নিতে হবে। এ ছাড়াও এই কোর্সের শংসাপত্র কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকাই দ্বিতীয় বার একই পদে আবেদনের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, দেশ জুড়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা ওই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে চাকরি পেয়েছেন। বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাঁচাতেই এই বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে, এই প্রশিক্ষণ কবে, কী ভাবে করা যাবে, তা নিয়ে বিশদ কিছু জানায়নি এনসিটিই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement