বিবস্বান রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে ভালোবাসেন। ছবি: সংগৃহীত।
নদিয়ার বিবস্বান বিশ্বাস রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করতে ভালোবাসেন। আবৃত্তির প্রতিও ঝোঁক রয়েছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রেও তিনি যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। এ বারের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) অ্যাডভান্সড-এর ফলাফলে দেশের সেরা ১০০ জনের মধ্যে ৮৫ নম্বর স্থানে জায়গা করেছেন বিবস্বান। এর আগে ৬ জুন প্রকাশিত ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশনের ফলাফলে তাঁর নাম তৃতীয় স্থানাধিকারী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিশপ মোরো স্কুলের পড়ুয়া বিবস্বান কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার ফলাফলের নিরিখে ওই বিষয় নিয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) বোম্বে-তে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি। ওই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মহাকাশের রহস্য ভেদ করতে চান কৃষ্ণনগরের এই কৃতী।
মা এবং বাবা দু’জনেই শিক্ষক হওয়ায় বিবস্বানের প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হয়নি। সংগৃহীত ছবি।
সর্বভারতীয় স্তরে সেরা ১০০ জনের মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বিবস্বান? “সব মিলিয়ে চার বছরের পরিশ্রম শেষে এই সাফল্য এসেছে। আমার মা এবং বাবা দু’জনেই শিক্ষকতা করেন। তাই তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ নিয়ে জেইই অ্যাডভান্সড-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম। যখন যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেই সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিয়েছি,”, বললেন বিবস্বান।
পড়াশোনার পাশাপাশি, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং আবৃত্তির অভ্যাস রয়েছে বিবস্বানের। তবে একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শুরু হওয়ার পর তাঁর আর নিয়মিত ভাবে স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি। এ ছাড়াও কৃষ্ণনগরের এই কৃতী অষ্টম শ্রেণি থেকেই পদার্থবিদ্যা, গণিতের অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে আসছেন। তাই বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ ক্রমশ বেড়েছে।
সর্বভারতীয় স্তরে ভাল ফল হলেও নিজের ভুলগুলি শুধরে নিতে চান বিবস্বান। তাই পরবর্তী পর্যায়ের পড়াশোনায় তিনি আরও বেশি মনোযোগ দিতে চান। মা নমিতা মল্লিক লেডি কারমাইকেল বালিকা বিদ্যালয় এবং বাবা বিশ্বনাথ বিশ্বাস শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের শিক্ষক। ছেলের সাফল্যে খুবই খুশি তাঁরা। ভবিষ্যতে সর্বভারতীয় স্তরে আরও সফল হবে, এমনটাই তাঁরা আশা রাখছেন।