প্রতীকী ছবি।
কৃত্রিম মেধানির্ভর পঠনপাঠনে উদ্যোগী হল সুন্দরবনের ক্যানিং বঙ্কিম সর্দার কলেজ। কৃত্রিম মেধার প্রসার ঘটাতে কলকাতার আরও দু’টি কলেজ যুক্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে। সোমবার সম্মিলনী কলেজ, লরেটো কলেজ এবং ক্যানিং বঙ্কিম সর্দার কলেজ সম্মিলিত ভাবে কৃত্রিম মেধা নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করে। যার মূল উদ্যোক্তা ছিল ভারত চেম্বার অফ কমার্স। সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষরা (প্রিন্সিপ্যাল) যাতে এই প্রযুক্তির বিষয়ে অবগত হতে পারেন, তাই এই বিশেষ কর্মশালার আয়োজন।
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে কলেজের পাঠ্যসূচিতে এখন বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। মূল কোর্সের বাইরেও বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীকে পড়তে হয় পরিবেশবিদ্যা, সংবিধান, ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম-সহ বেশ কিছু বিষয়। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় চালু হয়েছে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ।
বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুধু প্রত্যন্ত এলাকায় আমাদের কলেজ নয়, রাজ্যের সমস্ত কলেজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে গুরুত্ব বাড়ানোটাই লক্ষ্য। তাই ভারত চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে সহযোগিতায় এক দিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তবে এখানেই থেমে থাকা নয়, আগামী দিনে ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামেরও আয়োজন করা হবে।’’
কলকাতার এই কর্মশালায় সামিল হয়েছিলেন দু’টি স্কুল-সহ ৫০টি কলেজের ৬৫ জন প্রতিনিধি। তার মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। এর পরে আগামী মে মাসে ১০০ জনকে নিয়ে ছ’দিন ধরে মোট ৩০ ঘণ্টা হাতেকলমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সম্মিলনী মহা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ চন্দন জানা বলেন, ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এর সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের আগে শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের জানা অত্যন্ত জরুরি। তাই আমার কলেজও এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে।’’
সূত্রের খবর, শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়, সাইবার সুরক্ষা নিয়েও সচেতনতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আগামী কর্মশালায়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এথিক্যাল হ্যাকিং এবং একটি স্টার্টআপ সংস্থার তরফে যৌথ ভাবে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর পরে কলেজগুলি সাইবার ল্যাপ ও সাইবার অডিট-এর ব্যবস্থা করতে পারে। ভারত চেম্বার অফ কমার্স তাতে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।