Death Penalty

পাঁচ দোষীর ফাঁসির সাজা হায়দরাবাদের জোড়া বিস্ফোরণে! এনআইএ কোর্টের রায় বহাল তেলঙ্গানা হাই কোর্টে

২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই জোড়া বিস্ফোরণে হায়দরাবাদে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫০
Share:
Hyderabad twin blasts case in 2013 Telangana High Court upheld death sentences

হায়দরাবাদের সেই বিস্ফোরণে ১৮ জন নিহত হয়েছিলেন। — ফাইল চিত্র।

এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) কোর্ট হায়দরাবাদে ২০১৩ সালের জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে দোষী পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আগেই। ফাঁসির সেই রায়ই মঙ্গলবার বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাই কোর্ট। দোষী ওই পাঁচ জনই নিষিদ্ধ সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর সদস্য। ওই জোড়া বিস্ফোরণে হায়দরাবাদে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৩১ জন। হাই কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। তাই দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা মেলা উচিত। যদিও এখনও সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে পারবেন ওই পাঁচ জন।

Advertisement

২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে বাসস্ট্যান্ড এবং বিখ্যাত একটি খাবারের দোকানের কাছে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছিল। ভিড় এলাকায় বিস্ফোরণ হওয়ার ফলে হতাহতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। ওই বিস্ফোরণ ঘটানোয় দোষী সাব্যস্ত হন আইএম সদস্য মহম্মদ আহমেদ সিদিবাপা ওরফে ইয়াসিন ভাটকল, জিয়া-উর-রহমান ওরফে ওয়াকাস, আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি, তেহসিন আখতার, আইজ়াজ় শেখ। ভাটকল আইএমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ওয়াকাস পাকিস্তানের নাগরিক। ২০১৩ সালের অগস্টে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে ধরা পড়েন ইয়াসিন এবং হাড্ডি। এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানায়, তাঁরা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ২০১৪ সালের মার্চে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হন ওয়াকাস এবং তেহসিন। তেহসিন বিহারের বাসিন্দা। তার পরে পুণের আইজ়াজও ধরা পড়েন।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেয় এনআইএ আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধি, বিস্ফোরণ আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বিস্ফোরণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত ছিলেন রিয়াজ় ভাটকল। তিনি ফেরার।

Advertisement

তেলঙ্গানা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পোক্ত প্রমাণের উপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। দোষীরা যা করেছে, তা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। তাই এনআইএ আদালতের রায়ই বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার তেলঙ্গানা হাই কোর্টের রায়দানের আগে গোটা কোর্ট চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। হায়দরাবাদেও মোতায়েন করা হয় পুলিশবাহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement