Khadi Festival

বস্তির শিশুদের স্বনির্ভর করতে উদ্যোগ বাবা সাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের

২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই খাদি মহোৎসব আয়োজন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। সোমবার কলকাতার বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করল একদিনের খাদি মহোৎসব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:০০
Share:

খাদি মহোৎসবের সূচনায় উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্যরা। নিজস্ব চিত্র।

অন্ত্রেপ্রেনরশিপ সেল গঠনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের স্বনির্ভর করার ভাবনা বাবাসাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের। খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রি কমিশন (কেবিআইসি) ও রাজ্যর ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্পের যৌথ উদ্যোগে সেল গঠনের প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের স্বনির্ভর করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। খাদি শিল্পের প্রতি পড়ুয়াদের ও বাংলার হস্তশিল্পীদের উদ্যোগী করতে খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রি কমিশন ও কেন্দ্রের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্পের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে, খাদি মহোৎসব। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘খাদি ফর নেশন খাদি ফর ফ্যাশন।’

২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই খাদি মহোৎসব আয়োজন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। সোমবার কলকাতার বাবা সাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজন করা হল একদিন ব্যাপী খাদি মহোৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গ‌ণে ‘মিনি এক্সিবিশন’-এর আয়োজন করা হয় যেখানে পাঁচটি স্টল দেওয়া হয়।

Advertisement

কেবিআইসির মার্কেটিং অফিসার পবিত্রকুমার সরকার বলেন, “দেশ জুড়ে খাদি শিল্পের প্রচার করা হচ্ছে এবং খাদি শিল্পের সঙ্গে অন্ত্রেপ্রেনরশিপ গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শিল্পোদ্যোগী করতে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রদর্শনী ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।”

এই অনুষ্ঠানে অন্ত্রেপ্রেনরশিপ সেল গঠনের প্রস্তাব দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথাগত ডিগ্রির পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে স্বনির্ভর হয়, তাই এই প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

বাবাসাহেব অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর ঠিক আগে এনসিটিই তরফ থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাব আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান করার জন্য। অন্ত্রেপ্রেনরশিপ সেল গঠনের কথা বলেছি যাতে শিক্ষকরা শিক্ষকতার পাশাপাশি পড়ুয়াদের স্বনির্ভর করে তুলতে পারেন।”

শুধু তাই নয়, করোনা আবহে, বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে পেয়ারাবাগান বস্তির শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা কাঁধে তুলে নেওয়া হয়। ন্যাশনাল সোশ্যাল স্কিমের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁদের। এ বার সেই সমস্ত পড়ুয়ার ওয়ার্কশপের মাধ্যমে স্বনির্ভর করা যায় সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

ইতিমধ্যেই কেবিআইসির তরফ থেকে রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই ধরনের প্রদর্শনী ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল, বর্ধমান, কলকাতা, মেদিনীপুর, নদিয়া ও বাঁকুড়াতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement