স্বপ্ন যখন মধ্যগগনে। দলের সভায় অশোক মিত্র।
২০১৫ শেষ হয়ে এল। সামনে একটা নতুন বছর। দেশের রাজনীতিতে নতুন কোনও সম্ভাবনা আপনি দেখেন কি?
সেই সুদূর আঠারো বছর বয়সে প্রথম মার্ক্সের লেখা পড়ে যে আশ্চর্য সুন্দর স্বপ্নটি দেখেছিলাম, সত্তর বছর পরেও তার ঘোর কাটেনি। তিনি এমন একটি সুন্দর সমাজ ও পৃথিবীর কল্পনা করেছিলেন, যেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না, শোষণ থাকবে না, মানুষ পরস্পরকে ভালবাসবে, বিশ্বাস করবে, হিংসা দ্বেষ প্রতিহিংসার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হবে না কখনও। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রেরও কোনও প্রয়োজন থাকবে না। তিনি অবশ্য পাশাপাশি অন্য একটি পরামর্শও সঙ্গোপনে দিয়ে রেখেছিলেন: প্রশ্ন করার অধিকার কখনও পরিত্যাগ করবে না। সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করবে, বাইরে যারা আছে তাদের কাছ থেকেও প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে, কারণ এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে যে বিশ্লেষণের ভিতর দিয়ে এক জন মানুষের মনন গড়ে ওঠে, তাতেই জ্ঞানের পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পায়, এবং ততই আমরা মানুষ হিসেবে নিজেদের গণ্য করতে পারি।
আর এখন? এখানে?
বর্তমান মুহূর্তে আমাদের দেশের এই সংস্থানে হঠাত্ আমার মনে প্রশ্নের উদয়। শোষণহীন সমাজ গড়বার লক্ষ্য নিয়ে দেশে দেশে বামপন্থী দলের অভ্যুত্থান, অথচ আমাদের দেশে, বিশেষত গত তিরিশ বছর ধরে যে সার্বিক আর্থিক নীতি নতুন দিল্লির সরকার প্রয়োগ করছেন, তার ফলে শোষণ গভীরতর হয়েছে, গরিব মধ্যবিত্ত মানুষরা চরম দুর্দশা থেকে চরমতর দুর্দশায় পৌঁছে যাচ্ছেন, এখনও দেশের অন্তত এক-পঞ্চমাংশ মানুষ না খেয়ে রাত্তিরে ঘুমোনোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের আরও অগুনতি সমস্যা, অথচ যাঁরা শোষণ করছেন, তাঁরাই বিভিন্ন নামে সরকারে প্রত্যাবর্তন করছেন, তাঁদের বাধা দেওয়ার মতো শক্তিশালী বামপন্থী দল নেই। একদা যতটা সামর্থ্য বামপন্থীরা সংগ্রহ করতে পেরেছিল, তা নিঃশেষ হয়ে গেছে।
ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে কিন্তু বামপন্থীরা কোনও দিনই তেমন এগোতে পারেননি।
তার কারণ ব্যাপক নিরক্ষরতা হেতু সমাজসচেতনতার প্রগাঢ় অভাব, এবং সেই সঙ্গে বামপন্থীরা নিজেরাও তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়ে উপলব্ধি করেছেন, তাঁরা যতই বুলি আওড়ান, বর্গ- বা বর্ণ-বৈসাদৃশ্যের সমস্যাটি শ্রেণিসংঘর্ষে পরিণত করা অত সহজ নয়। তা হলেও দেশের অন্তত দুটি অঞ্চলে, কেরলে ও পশ্চিম বাংলায়, বামপন্থী দল যথেষ্ট প্রভাবশালী হতে সফল হয়েছিল।
এই দুই রাজ্যের অভিজ্ঞতার মধ্যে তো অনেকটাই তফাত?
অবশ্যই তফাত আছে। কেরলে বামপন্থীরা কখনও নির্বাচনে সফল হয়ে সরকার গঠন করেছে, আবার কখনও পরাজয় বরণ করে প্রশাসনের বাইরে চলে গেছে, কিন্তু তাদের সামগ্রিক প্রভাব কোনও অবস্থাতেই ক্ষুণ্ণ হয়নি। অথচ পশ্চিম বাংলায় আমরা একটা বিপরীত লক্ষণ দেখছি। গত প্রায় সাত আট বছর ধরে এই রাজ্যে নির্বাচনী নিরিখের বিচারে বামেরা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। দুই রাজ্যের মধ্যে বামপন্থীদের ভাগ্যলিখনে এই আপাতবৈপরীত্য কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আমার হঠাত্ মনে হল, আসল তফাত দুই রাজ্যের শিক্ষাগত মানে। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময় থেকে ত্রিবাঙ্কুর কোচিনের রাজবংশ ব্যাপক শিক্ষাবিস্তারে উত্সাহ জুগিয়েছে। এটাও স্বীকার করতে হয়, কেরলে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিও তাদের শোষণ-প্রতিভা প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে গরিব মানুষদের একটু-আধটু লেখাপড়া শেখাবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সুতরাং বরাবরই সামাজিক সচেতনতার মান কেরলে যথেষ্ট উঁচু পর্দায় বাঁধা। বামপন্থীরাও নিজেদের ভাল-মন্দ, শুভ-অশুভ বিচার করে দেখার ক্ষমতা অর্জন করেছেন। সুতরাং কোথাও কখনও যদি তাঁদের প্রভাব ঢিলে হয়, সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সমস্যা মেটাতে তত্পর হন।
তা ছাড়া, বামপন্থী দলের মূল মন্ত্র যে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা, কেরলে দলের অভ্যন্তরে তা যথেষ্ট সম্মান পায়, কোনও রাশভারী নেতৃত্বের চাপ সেখানে এই গণতান্ত্রিক চেতনাকে রোধ করতে পারে না, খোলামেলা গণতান্ত্রিক পর্যালোচনার পর তবেই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পশ্চিম বাংলায় কিন্তু চিত্রটি একেবারেই উল্টো। স্বাধীনতার প্রায় সত্তর বছর পরেও, এবং যেটা লজ্জাজনক, তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে বামপন্থীরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও, এই রাজ্যে নিরক্ষরতার পরিমাপ অত্যন্ত পীড়াদায়ক।
এটা কী করে হল? বামপন্থীরা এতটা সময় রাজ্য পরিচালনা করেছেন, অথচ শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সফলতাও দেখাতে পারেননি কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়াতে গিয়েই আমি দলীয় সংবিধানের সংশোধনী ধারাটিতে পৌঁছে যাই। যেখানে বলা হয়েছিল, সামাজিক ও সাংবিধানিক নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও যদি বামপন্থীরা কোনও রাজ্যে সরকার গঠন করে দক্ষতার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে এবং নিখাদ সততার সঙ্গে প্রশাসন পরিচালনা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সারা দেশের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ শোষিত দরিদ্র মানুষ বামপন্থার দিকে ঝুঁকবেন।
পশ্চিমবঙ্গে তো সেই সুযোগ এসেছিল?
সুযোগ এসেছিল, কিন্তু তা সদ্ব্যবহৃত হয়নি। রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের প্রথম দশ বছর দলের সাংবিধানিক অনুশাসন পালনের প্রয়াস হয়েছিল, যার প্রভাব জনমানসে গভীর দাগ কেটেছিল এবং বামপন্থী সমর্থন দ্রুতবেগে ঊর্ধ্বগতি পেয়েছিল। সেটাই কাল হল। দলের নেতৃত্বে একটু গা-ছাড়া ভাব— লোকেরা আমাদের গ্রহণ করে ভোটের বাক্সে সমর্থন জানাচ্ছে নির্বাচনের পর নির্বাচন, সুতরাং এখন থেকে আরামের ঋতু, দল গোড়ায় কী বলেছিল তা ভুলে মেরে দেওয়া যাক। দক্ষতা দেখাতে গেলে প্রশাসনে ও অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে দক্ষ মানুষের প্রয়োজন। এক দল নেতা স্থির করলেন, দক্ষতার মতো ফালতু জিনিস নিয়ে ভেবে কী হবে? আমাদের লক্ষ্য তো দলের প্রভাব বাড়ানো। যদি সংবেদনশীল বিভিন্ন স্তরে নিজেদের অনুগত মানুষকে বসিয়ে দিই, তারাই আমাদের নির্দেশ যথাযথ পালন করবে, আমাদের নিশ্চিন্ততার ব্যাঘাত ঘটবে না। এটা যে কত বড় মারাত্মক ভুল, নেতৃত্বের একটি অংশ হয়তো আজও তা বুঝতে পারেননি। তাঁদের সিদ্ধান্তের ফলে শুধু দক্ষতার মানই নীচে পড়ে রইল না, এই ফাঁকে দলে কিছু সুবিধাবাদীর প্রবেশ ঘটল। অনুগত মানুষরা আর কিছু না হোক, চাটুকারিতায় সুচারু। তাঁরা ইচ্ছে মতো আজগুবি তথ্য তৈরি করে নেতাদের আশ্বস্ত করা শুরু করলেন। সেই সঙ্গে অনুপ্রবেশ ঘটল দুর্নীতিরও। সর্বশিক্ষা নীতি, মিড-ডে মিল, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বহুগুণ বাড়ানো, কিছুই যথাযথ ভাবে কাজ করল না, তার কারণ ভুল লোকের হাতে এই সব কর্মযজ্ঞের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল। অথচ ওপরের নেতৃত্ব কোনও খবরই রাখতেন না। এর একটা মস্ত বড় কারণ, কেরলের তুলনায় দলের সদস্যদের মধ্যে নিজেদের দায়দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছিল অনেকটাই স্তিমিত।
পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তার নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারল না কেন?
এখানেই আমার সবচেয়ে বড় দুঃখ। বামফ্রন্ট প্রশাসনের প্রথম পর্বে সত্যব্রত সেনের মতো অতি বিচক্ষণ সংখ্যাতত্ত্ববিদ, যিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটের জন্মলগ্ন থেকে সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত, যিনি রাষ্ট্রপুঞ্জে পরামর্শদাতা হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছেন, জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থার যিনি অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকার, তিনি পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে নীরবে নিভৃতে বহু দিন ভেবেছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের সংগঠন নিয়ে তাঁর কল্পনা বহু দূর বিস্তৃত। তাঁর ভাবনা ছিল এই যে, ছ’সাত জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে— শিক্ষা, কৃষি, সেচ, কুটিরশিল্প ও সমবায়, স্বাস্থ্য, প্রচার ও জনসংযোগ এবং, সবচেয়ে জরুরি, হিসাব-রক্ষা। এমনকী তিনি এটাও ভেবেছিলেন যে, প্রতি পক্ষকাল অন্তর পঞ্চায়েতের আয়ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য লিখিত ভাবে তৈরি করে পঞ্চায়েত দফতরের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। গ্রামটি যদি এতই গরিব হয় যে পঞ্চায়েতের দফতরের জন্য একটি কাঁচা বাড়িও নেই, তা হলে গ্রামের সবচেয়ে বড় বটগাছের গুঁড়িতে যেন সেই হিসেব টাঙিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের কর্তব্যকর্মে যথেষ্ট দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে জেলা পরিষদ স্তরে একটি অনুশীলন কেন্দ্র খোলার ভাবনাও তাঁর ছিল। সে-সব স্বপ্ন ধূসর থেকে ধূসরতর হতে হতে বিলীন হয়ে গেল।
অবশ্য আরও একটা ব্যাপার আছে। বামফ্রন্টের প্রাথমিক কর্মযজ্ঞই ফ্রন্টের বাড়তি সংকট ডেকে আনল। বামপন্থী আন্দোলনের ফলে ব্যাপক ভূমিসংস্কার, বহু অঞ্চলে হাজার হাজার ভূমিহীন কৃষিশ্রমিক এক ছটাক দু’ছটাক জমির মালিক হলেন। বর্গা আইন সংশোধনের ফলে সর্বস্তরের ভাগচাষিরা উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁদের জমির স্বত্ব ভোগ করার সুযোগ পেলেন। কিন্তু বাম চিন্তায় একটি বড় ফাঁক ছিল, ভূমিসংস্কারের পরবর্তী অধ্যায়ে উত্পাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনও চিন্তার অনুশীলন করা হয়নি, এমনকী সমবায় প্রণালীর মধ্য দিয়ে উত্পাদন-উপার্জন বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও তেমন কোনও আলোচনা হয়নি। ছোট চাষিরা জমি পেলেও জীবিকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে অসফল, কয়েক বছর না গড়াতেই তাঁদের মধ্যে অনেকে মাঝারি বা বড় জোতদারদের কাছে জমি বিক্রি করে ফের ভূমিহীন খেতমজুর হয়ে গেলেন। আরও যা মর্মান্তিক, এই মাঝারি ও বড় জোতদাররা আর ঠিক ভাগচাষি রইলেন না, তাঁরা এখন রীতিমত জমিদার, অনেকে জমির মালিকানার ঊর্ধ্বসীমার আইনি ব্যবস্থার ফাঁকফোকরও রপ্ত করতে শিখলেন। অথচ এই শ্রেণির মানুষগুলির হাতেই দলের গ্রামীণ নেতৃত্ব, তাঁরা পঞ্চায়েতেরও মাতব্বর, প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও তাঁরা শিক্ষক বনে গেলেন। এবং, ইতিমধ্যে তাঁদের শ্রেণিস্বার্থের পরিবর্তন ঘটেছে, তাঁরা নামেই বামপন্থী, মানসিকতায় এখন থেকে সম্পন্ন শ্রেণিভুক্ত।
এখন, যেহেতু পশ্চিম বাংলায় দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার নিখুঁত পরিস্ফুটন ঘটেনি, এবং সর্বস্তরে স্তাবকদের দাপট বিস্তৃত হয়েছে, ফলে রাজ্য নেতৃত্বের একটি বড় অংশ জানতেও পারলেন না, কী বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে, দলীয় মাতব্বরদের বিক্রমে সাধারণ মানুষ একটু একটু করে দল থেকে সরে যাচ্ছেন। রাজ্যের দল থেকে গণতন্ত্র উধাও, শুধুই কেন্দ্রিকতার দাপাদাপি। নেতারা এসে দীর্ঘ বক্তৃতা করেন, তাঁরা থামলে কেউ সাহসে ভর করে প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাইলে তাঁকে বকুনি দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়।
গত রবিবার ব্রিগেডের ময়দানে অন্য কোনও লক্ষণ দেখলেন কি?
অনেক দিন বাদে বামপন্থীরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষদের জড়ো করে কলকাতা ময়দানের বৃহত্তম প্রাঙ্গণে জোরালো সভা করে আত্মবিশ্বাস সঞ্চারের চেষ্টা করছেন। এই প্রয়াস মহত্। কিন্তু জনগণের হৃত আস্থা ফিরে পেতে হলে, আগামী রাজ্য নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে হলে, আমার মনে হয়, যে সব ভুলভ্রান্তি তাঁরা জেনে বা না জেনে করেছেন, তা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে হবে এবং রাজ্যের জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। এ-রকম স্পষ্ট স্বীকারোক্তি না এলে আমার মনে কিন্তু দ্বিধা থেকেই যাবে, যে মানুষগুলি দূরে চলে গেছেন তাঁরা কি সত্যি সত্যিই আশ্বস্ত হয়ে ফিরবেন?
তবু, এত সব সত্ত্বেও, অষ্টআশি পেরিয়ে নব্বই ছুঁই-ছুঁই বয়সে বাকিটুকু আয়ু আশা নিয়েই কাটাতে চাই। এবং কবুল করতে কোনও লজ্জা নেই আমার, লাল ঝান্ডা দেখলে এখনও আমি ফের স্বপ্নময় হয়ে উঠি।