গুরুদায়িত্ব: রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিদায়ী গভর্নর শক্তিকান্ত দাস, পাশে টি ভি সোমানাথন।
পাঁচ বছর আগে মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতার ফেরার পরে এ বারের মতোই জুলাই মাসে বাজেট পেশ করেছিল। আর তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অর্থসচিবের পদ থেকে সুভাষচন্দ্র গর্গকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে পদে আসেন টি ভি সোমনাথন। তামিলনাড়ু ক্যাডারের আইএএস হিসাবে দীর্ঘ দিন ডিএমকে-র মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির সঙ্গে কাজ করেছেন সোমনাথন। আবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দফতরের যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব হিসাবে আর্থিক নীতিও সামলেছেন। এক দিকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, অন্য দিকে কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, তার সঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচ ডি করে আসা সোমনাথনের অর্থসচিবের পদে উত্থান স্বাভাবিক নিয়মেই হয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল যে, এ বার তাঁকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর করে পাঠানো হবে। কারণ শক্তিকান্ত দাসের মেয়াদ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী সোমনাথনকে ক্যাবিনেট সচিবের পদে বসিয়ে দিল্লিতেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমলাদের মধ্যে প্রশ্ন, এ বার তা হলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে কাকে দেখা যাবে?
শৌখিন সুদীপ
তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জওহর কোট সংসদের প্রতিটি অধিবেশনেই আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে ওঠে! সদ্যসমাপ্ত বাদল অধিবেশনও ব্যতিক্রম নয়। প্রতি দিন ভিন্ন রং ও নকশার জওহর কোট পরে এলেন শৌখিন সুদীপবাবু। অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর স্পিকারের ডাকা চা-চক্রে সুদীপের কোট দেখে প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, আগে এক বার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর জওহর কোট দেখে প্রশংসা করেছিলেন সুদীপ। তার পর ঠিক সেই কাপড় সুদীপকে পাঠান মোদী। বিনিময়ে সুদীপও কলকাতা থেকে দু’টি কোটের কাপড় কিনে পাঠান প্রধানমন্ত্রীকে। তবে এ দিনের আলোচনা হল সব রকমের পোশাক নিয়েই। পাশে বসা রাহুল গান্ধীকে দেখিয়ে সুদীপ মোদীকে বললেন, “উনি তো একটি সাদা টি-শার্ট আর ট্রাউজার পরেই গোটা অধিবেশন কাটিয়ে দেন! কিন্তু আপনাকে দেখা যায় বিভিন্ন রকম জওহর কোটে।” স্পিকার বললেন, “পোশাক পরেন যে যাঁর নিজের পছন্দমতো। ফারাক হওয়াটাই স্বাভাবিক।”
ডাল বাটি চুরমা
প্রতিটি সংসদ অধিবেশনের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করেন স্পিকার। রাজস্থানের কোটা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতে এসে দ্বিতীয় বার স্পিকার হয়েছেন ওম বিড়লা। প্রথামতো বাজেট অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন স্পিকার। অন্য সময়ে সংসদের ক্যান্টিন কিংবা দিল্লির কোনও সংস্থাকে খাবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার সাংবাদিকদের রাজস্থানের বিশেষত্ব ডাল-বাটি-চুরমা খাওয়ানোর জন্য একেবারে জয়পুর থেকে বাবুর্চি উড়িয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্পিকার। উপকরণও এসেছে মরুরাজ্য থেকেই। প্রতি বার নিরামিষ মধ্যাহ্নভোজ খেয়ে যাঁরা নাক সিঁটকান, তাঁরাই এ বার রাজস্থানি খাবার খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ঘরছাড়া: দিল্লিতে মুন্না পাণ্ডে।।
মু্ন্না ভাইয়া
বাঙালি বুঝলেই পরিচয় দেন, “আমি দিদির পাড়ার লোক।” নতুন সংসদে যাতায়াতের জন্য যে যান পরিষেবা চালু হয়েছে, সেখানে গল্ফ কার্ট চালানোর দায়িত্বে রয়েছেন মুন্না পাণ্ডে। বাড়ি ভবানীপুর। উত্তরপ্রদেশের মানুষ, বাবার কর্মসূত্রে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু। পড়াশোনা আশুতোষ কলেজে। সংসদে আসা যাওয়ার পথে বাঙালি দেখলেই মুন্নার একটাই আফসোস, “কত করে দিদিকে বলেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের বন্ধ কলকারখানা খুলতে। খুলে গেলে কি আজ আমাকে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে দিল্লিতে কাজ করতে হত! বাড়িতেই থাকতে পারতাম।”
খুলছে অমৃত উদ্যান
রাষ্ট্রপতি ভবনের মোগল গার্ডেনের নাম বদলে আগেই অমৃত উদ্যান রাখা হয়েছিল। প্রতি বছরই শীতে দিল্লিতে সেই উদ্যান দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। এ বার গ্রীষ্মেও অমৃত উদ্যানের দরজা আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর অমৃত উদ্যান খোলা থাকবে। ২৯ অগস্ট জাতীয় ক্রীড়া দিবসে শুধু ক্রীড়াবিদ ও ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে শুধু শিক্ষকদের জন্য খোলা থাকবে অমৃত উদ্যান। অতিথিদের সকলের হাতে পরিবেশবান্ধব স্মারক হিসাবে তুলসী গাছের বীজ তুলে দেওয়া হবে।