খোলার মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী পোস্টার হাতে এক সমর্থক।—ছবি এএফপি।
আবার রক্তাক্ত হল মানবতা, বিদ্বেষের করাল গ্রাস লহমায় শবের মিছিল সাজিয়ে দিল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে। নিন্দার ভাষা যে নেই, সে কথা উচ্চারিত হওয়ার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু শুধু নিন্দা করেই থেমে যাওয়া আর চলে না। হিংসা, বিদ্বেষ, সন্ত্রাস যে দেশ-কাল-জনগোষ্ঠীর সীমানা মানে না, তা বুঝে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জরুরি হয়ে পড়েছে।
ক্রাইস্টচার্চ শহরের একটা মসজিদে ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছে। তীব্র বিদ্বেষে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়া নরপিশাচের গুলি লহমায় কেড়ে নিয়েছে একের পর এক প্রাণ। ভয়ঙ্কর হামলার ভিডিয়ো বেশ কিছু ক্ষণ দেখা গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক বিকারগ্রস্ত, উন্মত্ত ব্যক্তি নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে নিরস্ত্র, নিরীহ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে। আর মুহূর্তে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ছে একের পর এক দেহ, আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হচ্ছে, প্রাণে বাঁচার আর্তি নিয়ে নিরীহ মানুষকে ছুটতে দেখা যাচ্ছে— এ ভিডিয়ো যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই এখনও শিউরে শিউরে উঠছেন।
উন্মত্তের হাতে থাকা বন্দুকের উদ্যত নলটার সামনে যাঁদের দেখা যাচ্ছিল ওই ভিডিয়োয়, যাঁদের আর্তি টের পাওয়া যাচ্ছিল, তাঁদের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠবে যে কোনও সংবেদনশীল প্রাণ। ওই ভিডিয়ো দেখার সময় কারও খেয়াল থাকবে না যে, উন্মত্ত আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে প্রাণ বাঁচানোর আর্তি নিয়ে ছুটে বেড়ানো মানুষগুলো কোন ধর্মের!
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আবার বলি, সন্ত্রাস বা হিংসা বা বিদ্বেষের আক্রমণ বেছে বেছে হয় না। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান বা ভারতীয়, পাকিস্তানি, নিউজিল্যান্ডার বা শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ— সন্ত্রাসের করাল গ্রাসের মুখে সকলেই বিপন্ন। তাই বিভাজন কাম্য নয়, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ জরুরি বরং। আর বিভাজন যদি করতেই হয়, তা হলে আমাদের বিভাজনরেখা শুধু বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের মসজিদে নির্বিচারে গুলি বন্দুকবাজের, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
আরও পড়ুন: সারা বছরে মাত্র ৩৫ খুন, আর কয়েক মিনিটেই ৪৯ জনকে হত্যা! বাকরুদ্ধ নিউজিল্যান্ড