হাবড়া শহর এমনিতেই ঘন বসতিপূর্ণ, তার উপর পার্শ্ববর্তী অশোকনগর-কল্যাণগড়’সহ নানা এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতি দিন এখানে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া আছে হাবড়ার উপর দিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করা মানুষের বাড়তি চাপ।
এই শহরের দু’নম্বর রেলগেট থেকে যশোর রোড ধরে চোংদা মোড় পর্যন্ত দূরত্ব কমবেশি তিন কিলোমিটার। মানুষ ও যানবাহনের চাপের প্রায় পুরোটাই যশোর রোডের এই অংশকে ঘিরে। অথচ, রাস্তার এই অংশের দু’পাশে কোথাও হাঁটার উপযোগী পরিচ্ছন্ন ফুটপাত নেই। তাই পথচারীরা প্রাণ হাতে নিয়ে চলন্ত যানবাহনের পাশাপাশি হাঁটতে বাধ্য হন। অনেক সময় কিছু দ্রুত গতির যানবাহনকে পাশ কাটাতে গিয়ে তাঁদের রাস্তার পাশে অসমান জায়গায় নেমে দাঁড়াতে হয়। এ ভাবে নেমে দাঁড়াতে গিয়ে একটু অসাবধান হলেই মুখ থুবড়ে পড়ে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারানোর প্রবল সম্ভাবনা থাকে। শুধু তা-ই নয়, পথচারীদের জন্য নেই রাস্তা পারাপারের নির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থাও। তাই তাঁরা সুযোগ বুঝে চলন্ত যানবাহনের ফাঁকফোকর দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে দ্রুত রাস্তা পারাপার করতে বাধ্য হন।
শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন (হাবড়া থানা ও পুরসভা) বিভিন্ন সময়ে যৌথ ভাবে নানা পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠিকই, তবে বাস্তবে তার কোনও সুফল মেলেনি। পথচারীদের জন্য যশোর রোডের দু’পাশে নিরাপদে হাঁটার উপযোগী মসৃণ ফুটপাত, ও কিছু দূর অন্তর রাস্তা পারাপারের নির্দিষ্ট ডিজিটাল জ়েব্রা ক্রসিং তৈরি করা প্রয়োজন। এইগুলি না করে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা যতই করা হোক, তার সবটাই হবে নিরর্থক।
দু’নম্বর রেলগেট থেকে চোংদা মোড় পর্যন্ত যশোর রোডের দু’পাশে পরিচ্ছন্ন ফুটপাত তৈরির যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও, শুধু সদিচ্ছা ও ঠিকঠাক পরিকল্পনার অভাবে আজও তা হয়নি। এর কিছু অংশ এখনও জবরদখলকারী হকার ও দোকানদারদের দখলে। নিকাশি নালা ঢাকা দেওয়ার কংক্রিটের স্ল্যাবগুলিও পুরোপুরি দখলমুক্ত হয়নি।
এ ছাড়া দু’পাশে অসমান ফুটপাতের উপর নানা জায়গায় আছে অটো, টোটো, বাইক, সাইকেল ও ভ্যান-রিকশার স্বঘোষিত স্ট্যান্ড। এমনকি হাবড়া থানার সামনেও যশোর রোডের দু’পাশে ভাঙাচোরা ফুটপাতের পুরোটা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে কয়েকটি বাস ও ট্রেকার।
আমরা হাবড়ার যানজট ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখতে দেখতে বড় হলাম। রাজ্যে সরকারের বদল হয়েছে ঠিকই, বদলায়নি যানজট ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থার দশা। এতে একটা বিষয় পরিষ্কার, যানজট ও পথ দুর্ঘটনা এড়াতে শহরে ‘পরিচ্ছন্ন ফুটপাত’ ও ‘রাস্তা পারাপারের জন্য ডিজিটাল জ়েব্রা ক্রসিং’-এর ব্যবহারিক সুফল সম্পর্কে অধিকাংশেরই কোনও ধারণা নেই। এই নরকযন্ত্রণা থেকে কি মুক্তি মিলবে না?
বিভূতি ভূষণ রায়
ডহরথুবা, উত্তর ২৪ পরগনা
কবে খুলবে গেট
কলকাতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ শিয়ালদহ। ১৮৬৯ সালে ট্রাম টার্মিনাস হিসেবে যার যাত্রা শুরু হয়, ১৯৭৮ সাল থেকে সেটাই রেল স্টেশন হয়। দেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশনগুলির এটি একটি।
অথচ, গত তিন বছর ধরে স্টেশনের অন্যতম প্রবেশপথ ‘প্রফুল্ল গেট’ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ। স্টেশনের অন্য একটি দিকে মূল প্রবেশপথের আকারের প্রায় অর্ধেক একটি পথ দিয়ে মানুষজন যাতায়াত করেন। অফিস টাইমে সেটি বিভীষিকায় রূপান্তরিত হয়। চুরি-ছিনতাই তো লেগেই থাকে, সেই সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে। করোনাকালে যেখানে এক জায়গায় বেশি জমায়েতে বারণ করা হচ্ছে, সেখানে শিয়ালদহতে ঢোকার মুখে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। শোনা যাচ্ছে স্টেশনের ওই অংশটি বেসরকারিকরণ হয়েছে, এবং পার্শ্ববর্তী একটি চার্চের সঙ্গে ওই অংশের মালিকানা নিয়ে ঝামেলা চলছে। এই সব কারণে নাকি গেটটি দীর্ঘ দিন বন্ধ। এ ভাবে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে কেন?
সাম্যব্রত দাস
কলকাতা-৭৯
ন্যূনতম পরিষেবা
সবং-কাঁটাখালি পাকা রাস্তার উপরেই রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের সবং শাখা। কিন্তু সেখানে নেই কোনও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। পাশে অন্যের জায়গায় গাড়ি রাখলে অনেক সময়েই কটু কথা হজম করতে হয়। বাধ্য হয়ে দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে আসতে হয় শাখায়।
দ্বিতীয় তলায় ব্যাঙ্কের মূল শাখা, কিন্তু গ্রাহকদের তিন তলায় গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে (সিএসপি) পাঠানো হচ্ছে। তিন তলায় ওঠার সিঁড়িটি সঙ্কীর্ণ, করিডর অপরিষ্কার, বসার কোনও ব্যবস্থাই নেই। কাউন্টারে একটু জায়গা হলে ঠেলে গুঁতিয়ে ঢোকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। ভদ্র ভাবে দাঁড়িয়ে কাজ করাই দায় হয়ে উঠছে।
যে যে পরিষেবার জন্য তিন তলায় পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে টাকা তোলা, টাকা ট্রান্সফার, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, পাসবুক আপডেট করা, ইত্যাদি রয়েছে। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নানা কাগজপত্রের খোঁজ নেওয়া, তা জ়েরক্স করা ইত্যাদি কারণে বার বার উপর-নীচ করতে হয়। সামান্য আপডেট করাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগে। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। প্রবীণ নাগরিক বা প্রতিবন্ধীদের জন্যও নেই পৃথক ব্যবস্থা। গরমে নেই সামান্য পাখার ব্যবস্থাও।
যদি সিএসপি-তেই সব করাতে হয়, তবে তা নীচে নামানো হোক। বসার স্থান-সহ দেওয়া হোক ন্যূনতম পরিষেবা। আমজনতার এই সমস্যা নিরসনে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক সহায়তা কামনা করি।
অরিজিৎ দাস অধিকারী
সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর
টাকা পাব কি
সরকার থেকে কোভিড-১৯’-এ মৃত পরিজনদের এককালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আমার স্ত্রী কোভিডে মারা যান গত বছর ২৫ এপ্রিল। আমি সরকার-প্রদত্ত ফর্ম যথাযথ পূরণ করে যাবতীয় তথ্যাদি-সহ আমাদের প্রশাসনিক ভবন দুর্গাপুর এসডিও অফিসে গত ১৩ ডিসেম্বর জমা দিই। কিন্তু এখনও অনুদানের টাকা পাইনি। কবে নাগাদ পাব, বা আদৌ পাব কি না, কী ভাবে জানা যাবে?
দিলীপ দত্ত
দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান
কেরোসিনে দূষণ
পেট্রল ডিজ়েলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুশকিলে পড়েছেন বাস ও গাড়ির মালিকরা। তাঁদের কয়েক জন তাই এগুলির বদলে কেরোসিন তেলে বাস ও গাড়ি চালাচ্ছেন। কেরোসিন তেল পুড়ে অস্বাভাবিক পরিবেশ দূষণ হয়। অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারকে ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।
জগন্নাথ দত্ত
সিউড়ি, বীরভূম
সমস্যার রেশন
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পটি আমজনতা এবং রেশন ডিলার— উভয়ের কাছেই অত্যন্ত সমস্যার। কারণ, ১) গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখতে হয়, বাড়ির কাছে কবে রেশন দেওয়া হবে। ২) রেশন ‘মিস’ করলে পরের দিন বহু দূরে গিয়ে রেশন আনতে হচ্ছে, ৩) অনেক সময়েই রেশন দেওয়ার জায়গায় থাকছে না বসার জায়গা।
তা ছাড়া সামনে বর্ষা। ঝড় বৃষ্টিতে বস্তা বস্তা চাল গম নষ্ট হবে না তো? অনুরোধ, আগে রেশন যেমন ভাবে ডিলারের কাছ থেকে দেওয়া হচ্ছিল, সেই ভাবেই দেওয়া হোক। কেবল বয়স্ক বা শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষরা এই প্রকল্পের সুযোগ পান।
রামমোহন চক্রবর্তী
নবদ্বীপ, নদিয়া