‘‘ধনী অনেক, দাতা কই?’’ নিবন্ধে (১৯-৬) লেখক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছেন, ‘‘জনকল্যাণে দানের গুরুত্ব অসীম। পুণ্যের আশায় মন্দির-মসজিদে আর লাভের আশায় রাজনৈতিক দলকে টাকা দেওয়ার বাইরে দান করার অভ্যাস কি এ দেশে গড়ে উঠবে না?’’
কিন্তু সেই ‘দান করার অভ্যাস’ গড়ে যদি না-ই ওঠে, তবে জনকল্যাণের অমোঘ গুরুত্বকে মাথায় রেখে এর বিকল্প সুরাহার সূত্র খুঁজে বার করতে কি কিছুই করার নেই? তথ্য অনুসারে, সারা দেশে মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সোনা, রুপো ও বহুমূল্য নানা রত্নসামগ্রী-সহ জনগণের দানের যে বিপুল ধনসম্পদের পরিমাণ সঞ্চিত আছে, ভারতীয় মুদ্রায় তার সম্ভাব্য বাজারদর দশ লক্ষ কোটি টাকা! বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থা বা ট্রাস্টের অধীনে বহু কাল ধরে তা নিষ্ক্রিয় ও অব্যবহৃত অবস্থায় মজুত রয়েছে। অবশ্য ২০১৫ সালের অক্টোবরে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সরকার পরিচালিত ‘স্বর্ণ ঋণপত্র’ এবং ‘স্বর্ণ সঞ্চয় প্রকল্প’ চালু করার আগে, জনগণের কাছে এর ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘‘স্বর্ণকে একটা মৃত সম্পদ থেকে প্রাণবন্ত শক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আমরা ঠিক সেটাই করতে চাইছি, আর সে কাজে আপনাদের সমর্থন চাইছি।’’
জনকল্যাণের খাতে যখন কেন্দ্রীয় বাজেটের মাত্র ৩৫ শতাংশ খরচ হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম, তখন এ রকম কঠিন অবস্থায়, জনগণের দানে গড়ে ওঠা এই সুবিশাল অব্যবহৃত ধনভাণ্ডারেও সেই ‘প্রাণবন্ত শক্তি’ যথাযথ ও দৃঢ় ভাবে সঞ্চারিত হোক, জনস্বার্থে এটা কাম্য বা জরুরি বলে মনে করি।
পৃথ্বীশ মজুমদার
কোন্নগর, হুগলি
ব্যবস্থা করুন
আমি এই বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক স্তরে পাশ করেছি এবং স্নাতকোত্তরের জন্য বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১০০-র মধ্যে র্যাঙ্ক করেছি।
কেন্দ্রীয় সরকারের নবতম পরিকল্পনা ইডব্লিউএস (ইকনমিকালি উইকার সেকশন) অনুযায়ী আমি সেই সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। উক্ত প্রবেশিকায় আমার ইডব্লিউএস র্যাঙ্ক ২০-র মধ্যে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমি ব্যারাকপুর মহকুমা শাসকের অফিসে উক্ত সার্টিফিকেট (ইনকাম অ্যান্ড অ্যাসেট সার্টিফিকেট ফর ইডব্লিউএস) ইস্যু করতে গেলে জানতে পারি, তাঁদের কাছে এ বিষয়ক কোনও সার্কুলার আসেনি, তাই তাঁরা সার্টিফিকেট ইস্যু করতে পারবেন না। অথচ এটি ৩১.০১.২০১৯-এর নির্দেশিকা এবং আমার ভর্তি প্রক্রিয়া জুলাইয়ের প্রথমেই শুরু হতে চলেছে। এই সার্টিফিকেটটি না থাকলে আমার ভর্তি বাতিল রূপে বিবেচিত হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
রৌনক সাহা
কলকাতা-৪৯
ভিন্ন দাম
আমার স্ত্রীর কিডনির চিকিৎসার জন্য প্রতি সপ্তাহে যে ইঞ্জেকশনটি লাগে, তার দাম এক এক দোকানে এক এক রকম নেয়। দাম লেখা আছে ২০৯৯ টাকা (এমআরপি), কিন্তু কোথাও ১২০০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে।
ভবানীশঙ্কর সিংহ
ভুবনডাঙা, বীরভূম
বাইকের দাপট
আসানসোল পোলো ময়দান সংলগ্ন স্টেডিয়ামের মাঠে বাইকের দাপট উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। স্টেডিয়ামে ঘেরাটোপ না থাকার জন্য বাইক নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা হয়। এবং স্টেডিয়াম সংলগ্ন শপিং মলটিতে যাতায়াতের সুবিধার জন্যও স্টেডিয়ামের মাঠ ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সকাল-বিকেল শিশুদের খেলার সময় বাইক-বাহিনীর দাপট বেড়ে যায়।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য
আসানসোল
বিদ্যুৎ বাঁচাতে
বিদ্যুৎ বাঁচাতে কিছু প্রস্তাব: ১) সন্ধ্যা ৬টার আগে রাস্তার আলো না জ্বালানো। ২) ভোর পাঁচটার সময় রাস্তার আলো নিভিয়ে দেওয়া। এর জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় মাস্টার সুইচ ব্যবহার করা যায়। ৩) রাত বারোটার পর বড় বড় রাস্তায় আলোকসজ্জা বন্ধ করতে হবে। ৪) রাত বারোটার পর বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত আলোকসজ্জা বন্ধ করতে হবে। ৫) নানা অনুষ্ঠানে হুক করে বিদ্যুৎ চুরি হয়। এ সব দিনে চেকিং বাড়াতে হবে। যে বাড়ির অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ চুরি হল, তাদের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিতে হবে।
বিকাশ বসু
কলকাতা-৮৪
আবেদন
আমি ডব্লিউবিসিএস কোর্সের অভিজ্ঞ শিক্ষক। প্রায় ৪০ বছর ধরে খুব গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং দিই। আমার আবেদন, যারা এই পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি পাশ করছে, তাদের দু’বছরের জন্য আর প্রিলিমিনারি না দিয়ে সরাসরি মেন পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। প্রচুর পড়াশোনা করে প্রিলিমিনারি পাশ করতে হয়, কাজেই মেন না পাশ করলে আবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত হতাশা ও বেদনার।
সন্দীপ কুমার মজুমদার
কলকাতা-৩৫
সেতু সঙ্গিন
কালনা-বর্ধমান ৩নং রুটে ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন নিরলগাছি গ্রামে ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতুটির অবস্থা খুবই সঙ্গিন। দু’দিকের দু’টি গার্ডওয়ালের মাঝের পরিসর খুব কম হওয়ায় খুব বড় লরি বা বাস পাশাপাশি ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। গার্ডওয়াল প্রায়ই ভেঙে যায় এবং পলেস্তরা খসে পড়ে। সেতুটির মাঝখান খুবই উঁচু হওয়ায় সেতুটির ওঠার সময় উল্টো দিক থেকে কী আসছে একেবারেই বোঝা যায় না। কিছু দিন আগে কালনা ব্লকের উদ্যোগে সেতুর দু’দিকে হাম্প তৈরি করা হয়েছিল। তাতেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। সেই হাম্পও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কাজল চক্রবর্তী
বর্ধমান
ফুটব্রিজ নেই
আমি এক জন প্রবীণ নাগরিক। চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রায়শ আমার স্ত্রীকে নিয়ে কাটোয়া থেকে শেওড়াফুলি স্টেশন যেতে হয়। এই স্টেশনে একটি মাত্র ফুট ওভারব্রিজ রয়েছে। যেটি ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত আসা হয়। মাঝে ৩ ও ৪ নম্বর যাওয়ার কোনও ফুটব্রিজ নাই। হঠাৎ ঘোষণা হল ট্রেন ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম আসছে। তখনই যাত্রিসাধারণ পড়িমরি করে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরতে ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে নিচু জায়গা দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পার হতে বাধ্য হন।
আশীষ যশ
কৈচর, পূর্ব বর্ধমান
দুর্গন্ধ
আমি বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ১০ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত একটি বাড়িতে থাকি। এটি আমার নিজের বাড়ি। আমার বাড়ির পাশে একটি বাড়ি আজ চার বছর হল নির্মাণ চলছে। বর্তমানে আধা-নির্মিত হয়ে পড়ে আছে। ওই বাড়ির নীচে খোলা অংশে একটি কাঁচা পায়খানা খোলা অবস্থায় রয়েছে। যেটি আশেপাশের জনমজুররা ও বাড়ির পরিচারিকারা তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে এবং তার দুর্গন্ধ আমরা বাড়িতে বসেই পাই। ওই বাড়ির অন্য খোলা অংশে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে নানাবিধ আবর্জনা ফেলে যায়, যার থেকে দূষিত গন্ধ আমাদের বাড়িতে আসে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ বার বার করেও ওই গন্ধের হাত থেকে মুক্তি এখনও পাইনি।
সত্যেন চৌধুরী
কলকাতা-৫৯
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।