Student Credit Card Scheme

সম্পাদক সমীপেষু: ঋণ তবে কার

সরকারের এই পরিকল্পনা কি অসফল? সরকার কি এই ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প চালু করেছে শুধুমাত্র চাকরিজীবীদের জন্য? দরিদ্র মানুষের জন্য এই ঋণ প্রকল্প কি খুড়োর কল?

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:০৩
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

সাফল্য-অসাফল্য প্রতিটি সরকারেরই সঙ্গী। রাজ্য সরকারের দু’টি প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ও ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র যেমন জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, তেমনই উল্টো দিকে ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের সাফল্য একেবারে তলানিতে। যদিও এই প্রকল্পটি অনেক অসচ্ছল পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য আশার আলো জাগিয়েছিল। চার শতাংশ সুদ, তার উপর ঋণের ‘গ্যারান্টর’ সরকার নিজেই— এই সুবিধা কোথায় পাওয়া যাবে! ব্যাঙ্কের যে স্টুডেন্টস লোন আছে, সেখানে বর্তমান ব্যবস্থায় চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়তে বাড়তে যে কোথায় গিয়ে পৌঁছয়, তা অল্পবিস্তর আমরা অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছি। তাই, বড় আশা নিয়ে আমার ছেলে তার এম টেক-এর পড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য সরকারি সাইটে অনলাইনে আবেদন করে। তার প্রয়োজন কলেজ ফি বাবদ চার লক্ষ টাকা। দু’তিন দিনের মধ্যেই ওর আবেদন রেফার করা হয় স্থানীয় স্টেট ব্যাঙ্ক শাখায়। সেইমতো মোবাইলে মেসেজও চলে আসে। উৎসাহিত হয়ে আমি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে যাই ব্যাঙ্কে। তাঁরা আমাকে ঋণ পাওয়ার জন্য এক দীর্ঘ তালিকা ধরিয়ে দেন এবং তালিকামতো সব তথ্য জমা দিতে বলেন। তালিকার প্রথম দিকে ছাত্রের কলেজ ও পড়াশোনা সংক্রান্ত কিছু তথ্য চাওয়া হয়, যা সহজলভ্য। কিন্তু দ্বিতীয় ভাগে কো-অ্যাপ্লিক্যান্ট’এর শেষ তিন মাসের স্যালারি স্লিপ, ফর্ম ১৬ বা শেষ দু’বছরের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (আইটিআর), শেষ এক বছরের স্যালারি অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, পেনশন স্লিপ ইত্যাদি জমা করতে বলেন। আমি জানাই, আমি ষোলো বছর আগে বেসরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। আমার উপরোক্ত কোনও কাগজপত্র নেই। কারণ আমার কোনও আয় নেই। আমি বাড়ির দলিল জামিন রাখতে অনুরোধ করি। কিন্তু ওঁরা কোনও কিছুতেই রাজি হলেন না। তখন সরকারি ওয়েবসাইট খুলে দেখাই যে, সরকার ঘোষণা করেছে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড লোন-এ সরকার নিজেই জামিনদার থাকবে। কিন্তু কথাবার্তা শুনে বুঝলাম, সরকারের এই প্রতিশ্রুতি তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে তাঁরা ব্যাঙ্কের নিজস্ব স্টুডেন্টস লোন নেওয়ার জন্য বারে বারে প্রস্তাব দেন। ওঁরা এটাও জানান যে, এর জন্য কোনও গ্যারান্টর লাগবে না। আমি দু’টি লোন-এর ক্ষেত্রে অদ্ভুত বৈপরীত্য দেখে খুব অবাক হলাম। আর ব্যাঙ্কের স্টুডেন্টস লোন শোধ করা যে কী আতঙ্কের, এই কথা স্মরণ করে বিদায় নিলাম। এর পর গেলাম স্থানীয় বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে। বিশ্বাস ছিল রাজ্যের ব্যাঙ্ক, সরকারের ঘোষণামতো তারা অন্তত কাজ করবে। কিন্তু সেখানেও প্রায় একই মনোভাব। অন্য ব্যাঙ্কের মতো এঁরাও লোন ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। সব শেষে গেলাম ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে, যদি সেখানে কোনও পথ বার হয়। তাঁরা ব্যাঙ্কের কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করায় অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তাঁদের থেকেই জানতে পারলাম যে, কয়েকজন মাত্রই এর সুবিধা পেয়েছে।

Advertisement

সরকারের এই পরিকল্পনা কি অসফল? সরকার কি এই প্রকল্প চালু করেছে শুধুমাত্র চাকরিজীবীদের জন্য? দরিদ্র মানুষের জন্য এই ঋণ প্রকল্প কি খুড়োর কল? এই প্রশ্নের কে জবাব দেবে?

প্রিয়ভূষণ দত্ত , খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

Advertisement

সমাধান সাবওয়ে

কোন্নগর থেকে কলকাতা সরাসরি যাওয়ার জন্য রেলপথই সিংহভাগ নিত্যযাত্রীর কাছে একমাত্র লাইফলাইন। আশপাশে আবাসনের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হওয়ায় নিত্যযাত্রীর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অথচ, কোন্নগর রেল স্টেশনটির অবস্থান আগের মতোই আছে। যাত্রী চলাচলের জন্য নেই কোনও সাবওয়ে, নেই কোনও লেভেল ক্রসিং। একটিমাত্র ওভারব্রিজ, যা কার্যত ভবঘুরেদের আবাসস্থল। বেশ কিছু দিন ধরে তার পশ্চিমপ্রান্তের সিঁড়িটি বিপজ্জনক বলেই হয়তো প্রবেশমুখটি বাঁশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

অগত্যা নিত্যযাত্রীদের রেললাইন দিয়েই প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে হয়। তদুপরি স্টেশনের পূর্ব-পশ্চিম দিকে যাতায়াতের একমাত্র সরু গলিপথটি সামান্য বর্ষাতেই জলমগ্ন হয়ে থাকে। তখন বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন টপকে চলাফেরা করতে হয়। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখে কোন্নগরে সাবওয়ে-টাই একমাত্র সমাধান। এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

দেবব্রত সেনগুপ্ত, কোন্নগর, হুগলি

টাকা লুট

‘ফের আঙুলের ছাপ চুরির অভিযোগ’ (১৯-৯) শীর্ষক সংবাদ প্রসঙ্গে এই চিঠি। গত ১২ অগস্ট আমার সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আধার এনেবেলড পেমেন্ট সার্ভিস (এইপিএস) মারফত নিঃশব্দে দশ হাজার টাকা লুট হয়। সহানুভূতিশীল সাইবার ক্রাইম থানা আমার আধার কার্ড লক করে জিডি করে ও ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানাতে বলে। ব্যাঙ্কের তৎপরতায় কুড়ি দিন পরে টাকা পাসবইতে জমা হয়। এই লুট বন্ধ করার জন্য ‘এনপিসিআই’-এর কাছে আর্জি, আপনারা প্রতিটি এইপিএস পেমেন্টের আগে গ্রাহকের ফোন থেকে ‘ওটিপি’ নেওয়া বাধ্যতামূলক করুন। সেই সঙ্গে পেমেন্টের পর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক যেন অবশ্যই গ্রাহককে টাকা কাটার নোটিস পাঠায়।

সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা-৯১

টোটো দৌরাত্ম্য

ইদানীং বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো নিত্যনতুন টোটো স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে। রাস্তার একাংশ দখল করে গড়ে ওঠা এই স্ট্যান্ডগুলিতে টোটোর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে। পাড়ার ভিতরের সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়ে টোটোগুলি প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলে। অনেক সময় পথচলতি মানুষ আঘাত পেলেও গাড়ি থামিয়ে দেখতে আসে না এরা। টোটোর কোনও নম্বর প্লেট না থাকায় নেওয়া যাচ্ছে না কোনও ব্যবস্থা। প্রশাসনের অবিলম্বে ব্যবস্থা করা উচিত।

সৌম্যকান্তি মণ্ডল, কলকাতা-১৪৪

নতুন বাসরুট

হাওড়া জাপানিগেট বা বালটিকুরী থেকে হাওড়া-আমতা রোড দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে রবীন্দ্র সদন, ধর্মতলা যাওয়ার কোনও বাস রুট না থাকায় প্রত্যেক দিন অফিসযাত্রী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। একমাত্র বাস রুট ২৭ (বাঁকড়া-পার্ক সার্কাস মিনি), যা হাওড়া সেতু হয়ে যাওয়ার জন্য অসম্ভব ভিড় হয় এবং গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক সময় লাগে। বাসটির রুটে একচ্ছত্র প্রভাব থাকলেও প্রায়শই নিজেদের রুটের বাসের সঙ্গে অন্য রুটের বাসের অহেতুক রেষারেষির ফলে মাঝেমধ্যেই পথ-দুর্ঘটনা হয়। যদিও আর একটি বাস রুট আছে মাকড়দহ-খিদিরপুর মিনি, কিন্তু সারা দিনে তা হাতেগোনা। এক সময় টিকিয়াপাড়া থেকে সরকারি টি৮ এবং বেসরকারি কে৬ বাস চলত, যা লকডাউনের পর থেকে একেবারেই বন্ধ। কাজেই হাওড়া-আমতা রোড দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে রবীন্দ্র সদন বা ধর্মতলাগামী কোনও বাস রুট হলে সকলেই উপকৃত হবেন।

তন্ময় চক্রবর্তী, বালটিকুরী, হাওড়া

বয়স বৃদ্ধি

করোনার সময় প্রায় দু’বছর সে ভাবে কোনও সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়নি। এর ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের কাছে আবেদন, চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা দু’বছর বাড়িয়ে দেওয়া হোক।

সুমিতা দত্ত, বালি, হাওড়া

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement