—প্রতীকী চিত্র।
এই মুহূর্তে যাঁরা স্কুলশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁরা অবশ্যই ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’ নামক এক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে পরিচিত। এই পোর্টাল-এ এক জন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বায়োডেটা নথিভুক্ত করা থাকে। শিক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়নের প্রাপ্ত নম্বরও এখানে নথিভুক্ত করতে হয়। সরকার-পোষিত বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলোর জন্য এই নথিভুক্তিকরণের কাজ সাধারণত শিক্ষক-শিক্ষিকারাই করে থাকেন। কাজটা খুব বেশি জটিল না হলেও যথেষ্ট বিরক্তিকর। কারণ, সারা বছরই প্রায় বন্ধ থাকে এই পোর্টাল। ডিসেম্বরে পোর্টাল খোলা হয়। কিন্তু তার পরে সেটি ঠিকমতো কাজ করে না। দিনের ঠিক কোন সময় পোর্টালটি পুরোপুরি কর্মক্ষম থাকবে, কেউ জানে না। একই নম্বর বহু বার নথিভুক্ত করা হলেও বেশির ভাগ সময়েই সেটা সেভ করা যায় না। অন্য দিকে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নম্বর নথিভুক্তিকরণের কাজটা না হলে নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষার্থীর হাতে মার্কশিট তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সমস্ত কাজের ফাঁকে ফাঁকে মোবাইল হাতে নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, কখন পোর্টালটি ঠিকমতো কাজ করবে।
আবার নবম শ্রেণিতে রয়েছে পাশ-ফেল প্রথা। পোর্টালে কোনও শিক্ষার্থীকে সকালে পাশ করা দেখালেও, দুপুরে মার্কশিট বার করার সময় দেখা গেল সে অকৃতকার্য হয়েছে। সারা বছর পড়াশোনা করে মেধাবী এবং পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা বছরের শেষ দিনে মার্কশিট হাতে পেয়ে যে আনন্দ পায়, তা এক বিশেষ অনুভূতি। অনেক ক্ষেত্রেই পোর্টালের কারণে শিক্ষার্থীদের সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। কোনও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষেই এখন হলফ করে বলা সম্ভব হচ্ছে না যে, ফল প্রকাশের দিন তাঁরা মার্কশিট শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিতে পারবেন কি না। যাঁরা পোর্টালটি চালনা করছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, পোর্টালটিকে সারা বছর চালু রাখার ব্যবস্থা করুন। আর দিনের অনেকখানি সময়েই যাতে এখানে কাজ করা সম্ভব হয়, সে দিকেও নজর দিন। অন্তত এমন ব্যবস্থা রাখুন, যাতে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়।
রাজলক্ষ্মী পাল, কৃষ্ণনগর, নদিয়া
বর্ধিত বিল
বর্তমানে সোদপুরের বাসিন্দা হলেও নিউ টাউনের একটি আবাসনে আমার একটি ফ্ল্যাট আছে। সেখানে মাঝেমধ্যে গিয়ে সপরিবার দু’-তিন দিন থাকি। সেই ফ্ল্যাটের বিদ্যুতের বিল ত্রৈমাসিকে সাধারণত ৩০০ টাকার কাছাকাছি আসে। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি ত্রৈমাসিকে সেই অঙ্ক আচমকাই প্রায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেড়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে বিল এসেছে ১৫০৩ টাকা, ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারির ২৪৪৫ টাকা। আবাসনেরই আর একটি ফ্ল্যাটের পরিবারেও এমন অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল এসেছে। যেখানে আমরা কোনও সময়েই দু’-তিন দিনের বেশি থাকি না, সেখানে এত বিল আসে কী ভাবে? বিলের যথাযথ হিসাব দেওয়া এবং আচমকা এমন বৃদ্ধির কারণ জানালে উপকৃত হব। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দীপঙ্কর নাগ, কলকাতা-১৫৬
স্কুলে দেরি
‘১০টা ৪০-এর পরে লেট স্কুলে’ (২৩-১২) খবরটি পড়লাম। বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ১০টা ৪০-এর পরে কোনও শিক্ষক, শিক্ষিকা স্কুলে এলে তাঁর হাজিরা খাতায় লেট চিহ্ন দেওয়া হবে। তবে সওয়া এগারোটার মধ্যে এলে ওই শিক্ষক, শিক্ষিকা স্কুলে উপস্থিত হতে পারবেন। যদি বাস্তবে এই নিয়ম চালু করা যায়, তবে তা এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হবে। প্রশ্ন হল, বেড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে? অনেক স্কুলেই প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকারা বেলা এগারোটার পর স্কুলে আসেন। যদিও কয়েক জন ব্যতিক্রমী শিক্ষক-শিক্ষিকাও সব স্কুলে থাকেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন, মাঝেমধ্যে গ্রামবাংলার বিদ্যালয়গুলোতে পরিদর্শক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক, যাতে দেরি করে আসার এই রোগ থেকে মুক্তি পায় স্কুলগুলো।
স্বপন কুমার আঢ্য, ভান্ডারহাটি, হুগলি
অসঙ্গতি কেন
সম্প্রতি জমির মিউটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালে এন্ট্রি করার পর সংশ্লিষ্ট বিএল অ্যান্ড এলআর অফিস থেকে জানতে পারলাম উক্ত জমির মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লিঙ্ক না থাকায় খতিয়ান কপি হাতে পেলাম না। মোবাইলে ‘বাংলার ভূমি’ ডাউনলোড করে পর পর তিন দিন জমির নতুন মালিকানা যাচাই করতে গিয়ে ব্যর্থ হলাম। প্রতি বারই দেখাল ‘রেজ়াল্ট নট ফাউন্ড’। ২০২২ সাল থেকে অনলাইনে জমির খাজনা আদায়ের কাজ শুরু হয়েছে। অনেক ঝামেলা সামলে এ বছরও জমির খাজনা দিয়েছি অনলাইনে। অনলাইনে সড়গড় না হওয়ায় অনেককেই অন্যের সাহায্য নিতে হয়েছে কিংবা সাইবার কাফের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। ফলে, খাজনা-প্রদানকারীর কিছু বাড়তি খরচও হয়েছে। প্রথমত প্রশ্ন ওঠে, অনলাইনের বিকল্প না রেখে, অনলাইনে সড়গড় নন, এমন মানুষদের জন্য এই প্রক্রিয়া চালু করার যৌক্তিকতা কোথায়? দ্বিতীয়ত, লিঙ্ক না থাকার পাশাপাশি এই পোর্টালের আরও একটি অসঙ্গতি নজরে পড়েছে। হাওড়া জগৎবল্লভপুর ব্লকের ইসমালপুর মৌজার নাম আছে দু’জায়গায়। জেএল নম্বরও দু’রকম— ৭৬ ও ৭৩। ওই মৌজার প্রকৃত জেএল নম্বর ৭৬ এবং ৭৩ হল জালালসি মৌজার। এ ছাড়া বালি-জগাছা ব্লকের বেলগাছিয়া-কিসমত মৌজার জেএল নম্বর পুরনো নথিতে ৯, কিন্তু ‘বাংলার ভূমি’-তে তা হয়ে গিয়েছে ১০৯! লিঙ্কের সমস্যা দূরীকরণ, অফলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার সুযোগ ও অন্যান্য অসঙ্গতি দূর করে ‘বাংলার ভূমি’ সাবালক হয়ে উঠুক, এটাই আমাদের কাম্য।
অমরেশ পাল, ব্যান্ডেল, হুগলি
জটে নাকাল
ভদ্রেশ্বর স্টেশন রোডটি অত্যন্ত অপরিসর। তদুপরি সকাল থেকে রাস্তার দু’পাশে হকাররা তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসে যান, ফলে রাস্তাটি হয়ে পড়ে আরও সঙ্কীর্ণ। এই রাস্তাতেই স্টেশন, বাজার, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, টোটো স্ট্যান্ড, অটো স্ট্যান্ড-সহ বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। অদূরেই একটা বেসরকারি স্কুলের সকাল দশটায় মর্নিং সেশন ছুটি হয় আর ডে সেশন শুরু হয়। তখন বহু অটো, টোটো এবং স্কুলগাড়ির আনাগোনার কারণে রাস্তাটি পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। নিত্যদিনের এই যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
সুব্রত কুমার মণ্ডল, ভদ্রেশ্বর, হুগলি
থাকুক পার্ক
১৯৯৬ সালে বিরাটির ঋষি অরবিন্দ পার্ক এলাকায় তিন কাঠা জমিতে শিশু পার্ক নির্মাণের জন্য সায় দেয় উত্তর দমদম পুরসভা। এলাকার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে পার্ক তৈরি এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় পার্ক কল্যাণ সংসদকে। শিশুদের খেলাধুলা বা শ্বাস নেওয়ার ওই জায়গাটুকুই একমাত্র এখানকার মরূদ্যান। এখন পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়র্ড ওই জমিতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ করেছে, এবং সেই জন্য পার্কটিকে ভেঙে ফেলার আদেশ দিয়েছে। আমাদের আবেদন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অন্যত্র সরিয়ে পার্কটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হোক।
ননীগোপাল চক্রবর্তী, কলকাতা-৫১