—প্রতীকী ছবি।
গত বছর অক্টোবরে আমার ছেলের বিয়ের জন্য এক বৈবাহিক যোগাযোগের অনলাইন পরিষেবায় রেজিস্টার করি এবং তাদের নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি-ও আমার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দিয়ে দিই। কিন্তু পাত্রীপক্ষের সঙ্গে সে ভাবে যোগাযোগ হচ্ছিল না বলে আমি আর পুনর্নবীকরণ করিনি। হঠাৎ এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি আমার ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০৪.৮০ টাকা পুনর্নবীকরণ চার্জ হিসাবে কেটে নেওয়া হয়। এসএমএস পেয়ে আমি তৎক্ষণাৎ ব্যাঙ্ক এবং ওই সাইটের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করি। বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক আমাকে জানান যে, এই অননুমোদিত লেনদেনের ব্যাপারে তাঁরা অনুসন্ধান করবেন এবং শীঘ্রই আমাকে ফলাফল জানাবেন। কিন্তু ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মেয়াদ শেষ হলে পুনর্নবীকরণ চার্জ স্বয়ংক্রিয় ভাবেই কেটে নিয়ে থাকে তারা। অথচ, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের স্পষ্ট নির্দেশ আছে, কোনও গ্রাহক যদি অনলাইনে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য না দিয়ে কোনও পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদান করেন, তা হলে সেই গ্রাহকের কার্ডের কোনও তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে না। ঠিক এই যুক্তি দেখিয়ে আমি ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের নোডাল অফিসারকে এ বছর জানুয়ারিতে একটি চিঠি মেল করি। সেই চিঠির উত্তরের অপেক্ষায় আছি। আমার প্রশ্ন যে, ওই একই দিনে আমি আর একটি বৈবাহিক যোগাযোগের অনলাইন পরিষেবায় রেজিস্টার করিয়েছিলাম। কই ওই সংস্থা তো আমার অজ্ঞাতসারে পুনর্নবীকরণের টাকা কেটে নেয়নি?
কোনও সংস্থাকে বদনাম করা আমার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু সচেতনতাটাও জরুরি। বর্তমানে আমি আমার ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দিয়েছি। আর ঠিক করেছি ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনুমোদিত সংস্থা ছাড়া আর কোনও অননুমোদিত সংস্থাকে অর্থ প্রদান করব না। হয়তো অর্থটা সামান্য, কিন্তু একটি সংস্থার সততা নিয়ে আমার সতর্কীকরণ অন্যান্য গ্রাহককে এই ধরনের সংস্থা থেকে দূরে রাখবে।
কমল চৌধুরী, কলকাতা-১৪০
জালিয়াতির চেষ্টা
গত ১৫ জানুয়ারি আমি পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণের জন্য অনলাইন দরখাস্ত করি। আর অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাই ১৯ জানুয়ারি। ২৪ তারিখে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে যায়। দরখাস্তের প্রাপ্তিস্বীকার, অ্যাপয়েন্টমেন্ট-এর তারিখ ও সময়, পুলিশ ভেরিফিকেশনের নোটিস— সব কিছুই মেসেজ এবং মেল-এ এসেছে। সবেতেই আমাকে সম্বোধন করে মেসেজগুলো আসে। এ দিকে ২৯ জানুয়ারির রাতে একটা মেসেজ আসে যে, আমার পাসপোর্ট স্পিডপোস্টে পাঠানো হয়েছে। ট্র্যাক করার জন্য একটা লিঙ্কও দেওয়া হয়। এই মেসেজে কোনও সম্বোধন ছিল না। পর দিন সকালে একটি ফোন আসে। ওটা ধরতে না পারায় পরে ফোন করি। কোনও রিং হয়নি। লিঙ্কে ট্র্যাক করতে আমাকে জানানো হয় যে, আমার ঠিকানা ভুল আছে। ওটি আপডেট করতে হবে। ৩১-এর সকালে পাসপোর্ট অফিস থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আমি আবার লিঙ্কে যাই। কিন্তু তত ক্ষণে লিঙ্ক উধাও। কথামতো পর দিন ফোন আসে। অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারি, ফোনটা গুজরাত থেকে এসেছে। এক পুরুষ কণ্ঠ হিন্দিতে জানায়, আমার ঠিকানা ভুল আছে, আপডেট করতে হবে। নিজের ঠিকানা বলি এবং জানাই পাসপোর্ট, ভোটার আইডি— সবই এই একই ঠিকানায়। লোকটা বলল, আপডেটের জন্য আমাকে একটা লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। ওই লিঙ্কে ক্লিক করে ৫ টাকা পাঠালেই পরের দিন সকাল ১০টার মধ্যে পাসপোর্ট পৌঁছে যাবে। এর পর প্রশ্ন ছিল, আমি গুগল-পে না পেটিএম-এর মাধ্যমে টাকাটা দেব? অনলাইন কোনও লেনদেন করি না বলে ফোন কেটে নম্বরটা ব্লক করে দিই। পরে বেশ কয়েক বার ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসে, সেগুলিও ব্লক করি। এটিএম কার্ড বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে বা ইলেকট্রিক সংযোগ কেটে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা নস্যাৎ করার ঘটনা আকছার ঘটছে। আমার প্রশ্ন, আমি যে পাসপোর্ট রিনিউ করছি সে তথ্য দুষ্কৃতীদের হাতে পৌঁছল কী করে? শুধু তা-ই নয়, আমার পাসপোর্ট নম্বরটাই বা কোন মন্ত্রবলে জেনে আমাকে লিঙ্কে ক্লিক করে ৫ টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল ওরা? তবে কি এই দুষ্কৃতীরা পাসপোর্ট-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরকেও হ্যাক করে নিয়েছে?
নির্মলকুমার দাস, কলকাতা-২৫
সাহায্যের হাত
ভারতের অন্যতম প্রাচীন ব্যস্ত স্টেশন শিয়ালদহ। শিয়ালদহ উত্তর, শিয়ালদহ মেন ও শিয়ালদহ দক্ষিণ— মূলত এই তিনটি টার্মিনালের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু হতাশাজনক ভাবে এত জনবহুল স্টেশনে যাত্রী পরিষেবার জন্য একটিও ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল হেল্প সেন্টার নেই। তার উপর মেট্রোর আধুনিকীকরণের জন্য শিয়ালদহ স্টেশনের উপর চাপ আরও বাড়ছে, যেটা খুবই প্রত্যাশিত। কিন্তু হঠাৎ কোনও যাত্রী সেখানে অসুস্থ বোধ করলে, তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করার মতো ন্যূনতম পরিকাঠামোটুকুও নেই। সে ক্ষেত্রে স্টেশনের বাইরে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার মতো সময় রোগীর হাতে নাও থাকতে পারে। অথবা, এমনও হতে পারে স্টেশনে কোনও সুযোগ না থাকায় রোগী বাইরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর দূরপাল্লার ট্রেনটি ধরতে পারলেন না। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নতুন দূরপাল্লার ট্রেন চালুর প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছে। কিন্তু ট্রেনে ওঠার আগে যদি কোনও যাত্রী সাময়িক ভাবে অসুস্থ বোধ করেন, তবে স্টেশনেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়াটাই স্বাভাবিক। না হলে তো ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের লক্ষ্যপূরণে ফাঁক থেকে যাবে। তাই শিয়ালদহ-সহ সমস্ত জনবহুল স্টেশনে রেলের উদ্যোগে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল হেল্প সেন্টার করা হোক।
শুভজয় সাধু, শ্রীরামপুর, হুগলি
জোরজুলুম
দেশের অধিকাংশ রেল স্টেশনে বিশেষ এক ধরনের দাদাগিরি দেখতে পাওয়া যায়। স্নানঘর, মূত্রালয় এবং শৌচাগার ব্যবহার করতে হলে যাত্রী-সাধারণকে টাকা দিতে বাধ্য করেন এক দল মানুষ। মূত্রালয়ের সামনে ‘ফ্রি’-লেখা বোর্ড ঝোলানো থাকা সত্ত্বেও টাকার দাবি করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এঁরা লোকেদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেন। এঁরা কারা? কী ক্ষমতাবলে এঁদের এ-হেন দৌরাত্ম্য? ভারতীয় রেল তো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর মুনাফা করছে। সে ক্ষেত্রে তাদের উচিত এমন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবায় কর্মী নিয়োগ করে সব কিছু সুষ্ঠু ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে যাত্রীদের অযথা অর্থব্যয় না করতে হয়।
বিশ্বজিৎ কর, গড়িয়া, কলকাতা
দূষণ রোধে
বর্তমানে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। তবু আমাদের ভুল হয়। সামান্য দুটো পাতিলেবু কিনলেও প্লাস্টিকের প্যাকেট চেয়ে বসি। সেই প্লাস্টিকই পরে বাড়ির আশপাশের হাইড্রেনগুলো বন্ধ করে দেয়। আগে গ্রামাঞ্চলে প্লাস্টিকের এত আধিক্য না থাকলেও ইদানীং অত্যধিক প্লাস্টিক ব্যবহারে গ্রামের নিকাশিব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। মানুষের কাছে অনুরোধ, যত্রতত্র খাবারের বা অন্যান্য প্লাস্টিক ফেলে নোংরা করবেন না। যে-হেতু এখানে পুরসভার গাড়ি নিয়মিত আসে না, তাই প্লাস্টিকগুলি জমিয়ে রেখে এক সময় ফেরিওয়ালার কাছে বেচে দেওয়া যেতে পারে। তাতে গ্রামের দূষণ যেমন কমবে, তেমনই হাতে আসবে দু’পয়সাও।
রুবেল মণ্ডল, ত্রিমোহনী, মুর্শিদাবাদ