আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষিকা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় পোলিং অফিসার হিসেবে ভোটকর্মীর দায়িত্ব পেয়েছি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নির্বাচন আধিকারিক আমাকে নিয়োগপত্র দিয়েছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বারাসত প্রিয়নাথ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ছিল প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ। এই দীর্ঘ প্রশিক্ষণের মধ্যবর্তী বিরতিতে পোলিং পার্সোনেলদের জন্য বরাদ্দ ছিল শুধু চা আর বিস্কুট। টিফিনের কথা জিজ্ঞেস করায় প্রশিক্ষক মহাশয়ের ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য শুনতে হল— “এখানে ট্রেনিং নিতে এসেছেন, না কি টিফিন খেতে?”
অথচ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্বাচন শাখা কর্তৃক ইতিমধ্যে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যেক পোলিং পার্সোনেলের জন্য প্রথম দিনের প্রশিক্ষণের টিফিন বাবদ ১৭০ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, পোলিং পার্সোনেলদের জন্য বরাদ্দ টিফিন খেল কারা?
উষসী কর, দক্ষিণপাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা
স্বাস্থ্যসাথী
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা কি সবাই পাচ্ছেন? সম্প্রতি এক নিকট আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। কিন্তু, ওই নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় না থাকায় তাঁরা কলকাতা শহরের বেশ কয়েকটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে, যেখানে ওই কার্ড কার্যকর হওয়ার কথা, সেখানে যোগাযোগ করেন।
অথচ, সব ক’টি হাসপাতাল থেকেই তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, বেড খালি হওয়া মাত্রই রোগীর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ডেকে নেওয়া হবে। সেই ফোন আজ তিন দিন হয়ে গেলেও আসেনি। এমনকি কোনও সরকারি হাসপাতালেও ভর্তি করানো যায়নি। এই অবস্থায় রোগীর পরিবার একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেই নার্সিংহোমে রেখে রোগীর চিকিৎসা করাতে বাধ্য হচ্ছেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, সাধারণ মানুষ কি এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাবেন না? কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চেনাশোনা থাকলে তবেই কি এই কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে?
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য, চুঁচুড়া, হুগলি
হেনস্থা
আমি এবং আমার স্ত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের নামে সল্টলেক সেক্টর ৫-এ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট আছে। গত ৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আমি রিষড়া রবীন্দ্র সরণির পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে ৯,০০০ টাকা তুলতে যাই। এটিএম থেকে টাকা বার হয় না, কিন্তু অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট হয়ে যায়। ঠিক এর পরই আমি ওই এটিএম কাউন্টার থেকে ১,০০০ টাকা তুলি, যেটি ঠিকঠাক বার হয়। এর পর পিছনে অপেক্ষারত এক ব্যক্তিকে আমি এটিএম ব্যবহার করতে দিই এবং তাঁকে সবটা জানাই। তাঁর ক্ষেত্রেও কোনও টাকা ওঠেনি। এর পর আমি আবার ৪,০০০ টাকা তুলি, যেটি ঠিকঠাক ওঠে। কিন্তু, এটিএম থেকে কোনও ট্রানজ়্যাকশন স্লিপ বার হয়নি।
এই অবস্থায় আমি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করি। কিন্তু উত্তর পাই না। তখন আমি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ফোন করে পুরো ঘটনা জানাই। উনি আশ্বস্ত করে বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে টাকা আমি ফেরত পাব। পর দিন, ১০ জানুয়ারি আমি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার-এ মেল করি এবং ১১ জানুয়ারি ব্যাঙ্কে চিঠি দিই। ১৮ জানুয়ারি কাস্টমার কেয়ার থেকে জানায়, ‘ট্রানজ়্যাকশন সাকসেসফুল’।
এমতাবস্থায় কোনও উপায় না দেখে আমি রিষড়া পুলিশ স্টেশনে একটি জেনারেল ডায়েরি করি। রিষড়ার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ক্যাশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশে ডায়েরি করা হয়েছে জানাতে তিনি রেগে যান এবং বলেন, এখন এটি পুলিশের দায়িত্ব, আমরা কিছু করতে পারব না। এর পর সল্টলেক সেক্টর ৫-এর পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে আমি অনুরোধ করি, এই বিষয়ে সাহায্য করতে। উনি বলেন— ‘ট্রানজ়্যাকশন সাকসেসফুল’ বলছে মানে ব্যাঙ্ক অথরিটি সব জেনেই বলছে, আপনি কাস্টমার কেয়ার-এ যান। এর পর হায়ার অথরিটি-র কাছে যাবেন।
গত ২৯ জানুয়ারি আমি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ট্রানজ়্যাকশন এবং ইমবার্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এ আবেদন জানাই, ৯ জানুয়ারির এটিএম ট্রানজ়্যাকশন-এর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমায় টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু হয়নি। এর পর রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ইমবার্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ করি।
ব্যাঙ্ক যে এই ভাবে তার গ্রাহকদের হেনস্থা করছে, সেটি সবার জানা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আরও মানুষ আমার মতো হয়রানির শিকার না হন, এবং আমি যেন আমার প্রাপ্য ফেরত পাই।
সৌরভ মুখোপাধ্যায়, রিষড়া, হুগলি
টিকা পেলাম না
আমি এক জন ৭৭ বছর বয়সি চিকিৎসক। কলকাতায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা করে আসছি। এই কোভিড-১৯’এর যুগেও আমি এক জনও পেশেন্টকে ফেরাইনি। এত রোগী দেখার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবেই। স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বপ্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হওয়ার পরে আমি ফর্ম ফিল-আপ করে নিউ টাউনে ভ্যাকসিন দেওয়ার সেন্টারে দরখাস্ত করি। মাত্র কয়েক জনের পরেই আমার টার্ন। একে বৃদ্ধ, তার উপর উভয় কানে বধির। ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘরে আমাকে বলা হল, “এখন কেবল স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে। আপনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী নন।”
আমি তা হলে কী? একমাত্র হাসপাতালের স্টাফকেই স্বাস্থ্যকর্মী বলা হয়? আর প্রাইভেট প্র্যাকটিস যাঁরা করেন, তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী নন? আমি ওখানকার ইনচার্জকে ফোন করাতে একই উত্তর, “আমাদের যা অর্ডার আছে, আমরা তাই করছি।”
কর্তৃপক্ষের কাছে আমার প্রশ্ন, এই একুশে আইন কার মস্তিষ্কপ্রসূত? যেখানে দেখা যাচ্ছে, অর্ধেকের অধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না, ভ্যাকসিন সেন্টার পুরোপুরি ফাঁকা, সেখানে ইচ্ছুক প্রাইভেট ডাক্তারদের টিকা না দিয়ে মূল্যবান দিনগুলো হরণ করছেন কোন অধিকারে? সরকারই কাগজে আর টিভিতে সব সময় উপদেশ দিচ্ছে, সাবধান করছে, বয়স্কদের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে। আবার তারাই আমার মতো প্রবীণদের টিকা নিতে দিচ্ছেন না?
কে সি চট্টোপাধ্যায়, নিউ টাউন, কলকাতা
খাজনা আদায়
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যারাকপুর পুরসভায় জমির খাজনা দেওয়ার জন্য বেলা আড়াইটে নাগাদ লাইনে দাঁড়াই। খাজনা দিতে দিতে বিকেল ৫টা বেজে যায়। এতে আমাদের মতো প্রবীণ নাগরিকদের খুবই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শুনেছি, এই খাজনা আদায়ের একটা অংশ কেন্দ্রীয় সরকার পায়। পুরকর যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে আদায়ের ব্যবস্থা আছে, সেখানে বাৎসরিক খাজনা বাড়ি গিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে আমাদের মতো প্রবীণদের একটু উপকার হয়।
সুহাস কুমার রায়, নোনাচন্দনপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা
ভুয়ো রোগী
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ভুয়ো রোগীতে ভরে যাচ্ছে। ভুয়ো রোগের অছিলায় প্রতি দিন রোগী সেজে এসে সরকারি খরচে প্রচুর ওষুধ সংগ্রহ করে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অপূর্ব্ব কুমার রায়চৌধুরী, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ