বেশ কয়েক মাস আগে পরিবারের রেশন কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করি। গত ২৪ জুলাই খাদ্য দফতর থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হয় যে, আমার কার্ড প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে এবং স্পিডপোস্টের মাধ্যমে ২৪ জুলাই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষার পর যখন দেখি পোস্টটি আসেনি, তখন আমি ট্র্যাকিং আইডি ধরে খোঁজ করি এবং জানতে পারি যে, আমার পোস্টটি কলকাতা জিপিও থেকে এন্টালি পোস্ট অফিসে চলে গিয়েছে এবং ওখান থেকেই ৪ সেপ্টেম্বর ‘কনফার্মড ডেলিভারি’ হয়ে গিয়েছে, যদিও পোস্টটিতে আমার ঠিকানা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা ছিল। কী করে সেটা এন্টালি পোস্ট অফিস থেকে ডেলিভারি হল, বোধগম্য হচ্ছে না।
আমি ‘অনলাইন কমপ্লেন রেজিস্টার’ করি। উত্তরে জানানো হয় যে, ওটা সুষ্ঠু ভাবে ডেলিভারি হয়ে গিয়েছে। যে হেতু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আমাদের রেশন কার্ডগুলো ওই পোস্টে পাঠানো হয়েছিল, তাই ওটি পাওয়া আমার কাছে অত্যন্ত জরুরি।
ইন্ডিয়া পোস্ট ভারত সরকারের একটি দায়িত্বশীল এবং বৃহৎ সংস্থা। কিন্তু এই ঘটনাটি তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অপদার্থতাই প্রমাণ করে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি, তাঁরা যেন অবিলম্বে সেটি উদ্ধার করে উল্লিখিত ঠিকানায় যথাসম্ভব দ্রুত ডেলিভারি করেন।
বিভাস চন্দ্র দে
বালি, হাওড়া
স্বেচ্ছাবসর
খরচ কমাতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ৩০,১৯০ জন কর্মী-অফিসারকে স্বেচ্ছাবসর বা ভিআরএস দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। একে বলা হচ্ছে ‘সেকেন্ড ইনিংস ট্যাপ ভিআরএস-২০২০’। ২০১৭ সালে স্টেট ব্যাঙ্কে মেশার আগে নিজেদের কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর দিয়েছিল ৫টি ‘সাবসিডিয়ারি’ ব্যাঙ্ক। তারও আগে ২০০১ সালে এই পথেই হেঁটেছিল ব্যাঙ্কটি। এই পর্যায়ে আগামী ১ ডিসেম্বর এই প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। চলবে তিন মাস ধরে। যদিও এখনও পর্যন্ত এটি পর্ষদের অনুমোদনের অপেক্ষায়, তবুও অনুমোদন পেতে যে অসুবিধে হবে না, তা সহজেই বোঝা যায়। ইতিমধ্যে এই বছরের গোড়ার দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল তাদের কর্মীদের একাংশকে স্বেচ্ছাবসর দিয়েছিল।
এটাই এখন সরকারের নিয়ম বলা যায়। কর্মী সঙ্কোচনের প্রক্রিয়া জারি রয়েছে সর্বত্র। রেল, বিভিন্ন পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং, সরকারি দফতর— সর্বত্রই এই প্রক্রিয়া চলছে পূর্ণোদ্যমে। দেশে যখন বেকার সমস্যা তীব্রতর হচ্ছে, তখন এ জাতীয় পদক্ষেপ দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাবে, ভাবলে শিউরে উঠতে হয়।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াতে গত বছরের হিসেব অনুযায়ী কর্মিসংখ্যা ছিল ২.৫৭ লক্ষ। এ বছর মার্চে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২.৪৯ লক্ষে। ভিআরএস-এ বাদ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ৩০,১৯০। পরিকল্পনা অনুযায়ী, যে কর্মী-অফিসাররা ২৫ বছরের বেশি কাজ করেছেন বা যাঁদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি, শর্তসাপেক্ষে তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। এর ফলে যদি যোগ্য কর্মীদের ৩০% স্বেচ্ছাবসর নেন, তবে ব্যাঙ্ক প্রায় ১৬৬২.৮৬ কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে।
ভাবতে অবাক লাগে, ব্যাঙ্কের বহু লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ অনুৎপাদক সম্পদ বা এনপিএ-কে দিনের পর দিন বাড়িয়ে তুলছে এবং ব্যাঙ্কগুলিকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে তুলছে। এই ঋণ আদায়ে যত্নবান হলে অনেক কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারত। সে রাস্তায় না গিয়ে তারা এই টাকা বাঁচাতে কর্মী ছাঁটাই করছে। এতে কেবল বেকার সমস্যা বাড়বে না, পরিষেবারও ক্রমাবনতি ঘটবে। ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কাজ অস্থায়ী কর্মী বা চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মী, যাঁদের সামান্য মজুরিতে কাজ করানো হয়, তাঁদের দিয়ে করানো হবে। শুধু তা-ই নয়, স্টেট ব্যাঙ্কের এই পথকে অনুসরণ করবে অন্য ব্যাঙ্কগুলি, যা দেশের সর্ববৃহৎ আর্থিক সংস্থাকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
গৌরীশঙ্কর দাস
সাধারণ সম্পাদক, ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় ইউনিটি ফোরাম, পশ্চিমবঙ্গ
বন্ধ ব্যাঙ্ক
আমি কল্যাণীর এ ব্লকের বাসিন্দা। আমাদের এলাকার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের একমাত্র শাখাটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। শোনা যাচ্ছে যে, বাজ পড়ে ব্যাঙ্কের সমস্ত কম্পিউটার এবং সার্ভার ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পুড়ে গিয়েছে।
আমি এক জন প্রবীণ মানুষ। ওই ব্যাঙ্কের দীর্ঘ দিনের গ্রাহক। পাঁচ-ছয় মাস যাবৎ ব্যাঙ্কের শাখাটি বন্ধ থাকায় আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। অন্য যে দু’টি শাখার কথা বলা আছে, সেখানে যানবাহন ছাড়া যাওয়া অসম্ভব, বর্তমান পরিস্থিতিতে যা অপ্রতুল ও ব্যয়সাপেক্ষ। ব্যাঙ্কের এই শাখাটি কবে খুলবে, সেই সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কোনও প্রকার সংবাদ দিচ্ছেন না। ফলে আমরা যারপরনাই অসুবিধেয় পড়েছি। অন্য শাখাও এই ব্যাপারে কোনও সংবাদ দিতে পারছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু প্রতিকারের আবেদন জানাই।
নবকৃষ্ণ চক্রবর্তী
কল্যাণী, নদিয়া
বিশেষ ব্যবস্থা?
খবরে পড়ি, সরকারি নির্দেশে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ নাকি বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তার পরই আসে হতাশার পালা। রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর কাউন্টারে পৌঁছে হয়তো জানা গেল, কোনও একটা কারণে আমার কাজটাই হবে না। নেট কানেকশন না-থাকা তো নিত্য দিনের ঘটনা, বিশেষত পোস্ট অফিসে।
পোস্ট অফিসে কোর ব্যাঙ্কিং অনেক দিন চালু হয়েছে। তা হলে কবে আমরা পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টের চেক অন্য ব্যাঙ্কে জমা করতে পারব, বা কাউকে ইস্যু করতে পারব? এর থেকে আগের ইসিএস সিস্টেম ভাল ছিল। কোর ব্যাঙ্কিং সম্পূর্ণ ভাবে হোক, না-হলে পোস্ট অফিসে তা বন্ধ হোক।
দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য
কলকাতা-৫৭
বিকল এটিএম
রঘুনাথপুর গ্রামের ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-র এটিএম দীর্ঘ দিন বিকল হয়ে পড়ে আছে। ভিতরটা নোংরা, সিকিয়োরিটি গার্ড নেই। অথচ এত বড় গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এই ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লাইন দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা সময়সাপেক্ষ এবং বিপজ্জনক। দ্রুত এটি সারানো হোক।
শম্ভুনাথ সাউ
রঘুনাথপুর, হুগলি
বেহাল সম্প্রীতি
জিঞ্জিরা বাজার থেকে বাটানগর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার লম্বা ‘সম্প্রীতি উড়ালপুল’ এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের এক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। অতিমারির কারণে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় এই রাস্তা ব্যবহার করে যান চলাচল স্বাভাবিক হারের চেয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে ভারী ট্যাঙ্কার, এলপিজি সিলিন্ডার বহনকারী ট্রাক ও আরও নানাবিধ ভারী গাড়ির সঙ্গে টু হুইলার ও অন্য ছোট গাড়ির। কিন্তু উড়ালপুলের স্বল্প পরিসর ও একই লেনে দু’দিক থেকে গাড়ি চলাচলের ফলে অতীতে বহু দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ঘটেছে। গর্তের কারণেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশি ব্যবস্থা ও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় বেপরোয়া গাড়ি চলাচলে লাগাম পরানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। রাতে উড়ালপুলের সব আলো জ্বলে না। পূজালি, বিড়লাপুর, বাওয়ালি ও বজবজের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ নিয়মিত এই উড়ালপুল ব্যবহার করেন। আশা করব, কর্তৃপক্ষ এর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ করে মানুষকে পথসুরক্ষা প্রদান করবেন।
সুকোমল মাসচারক
কলকাতা-১৩৭
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।