লেদার টেকনোলজি কলেজ একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ, এখানে ট্যানারি ল্যাবরেটরি নেই বহু বছর। হাসপাতাল ছাড়া যেমন ডাক্তারি শিক্ষা হয় না, তেমনই ট্যানারি ছাড়া লেদার টেকনোলজি শিক্ষা সম্পন্ন হয় না। ফলত, যে সমস্ত পড়ুয়া প্রতি বছর পাশ করে, শিল্পজগতে গিয়ে তাদের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। মেলে না আশানুরূপ বেতন। আমরা যখন এই কলেজে পড়াশোনা করতাম, তখন পর্যাপ্ত গরু, মোষ, ছাগল, ভেড়ার মতো বিভিন্ন পশুর চামড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ কিনত এবং চতুর্থ বছরে আমাদের পর্যাপ্ত ট্যানারি ল্যাবরেটরির কাজ হত। যার ফলে শিল্পজগতে প্রবেশ করার আগে চামড়া তৈরির ব্যাপারে কিছুটা ধারণা আমাদের তৈরি হয়ে যেত। দূষণের কারণে কলেজটি যখন সল্ট লেকে স্থানান্তরিত হল, তখন থেকেই ছাত্রদের হাতে-কলমে চামড়া তৈরি শেখার সুযোগ শেষ হয়ে যায়। শোনা যাচ্ছে, বানতলা চর্মনগরীতে তিন নম্বর জ়োনে যে বিশাল ভবন তৈরি করেছে সরকার, তা কলেজকে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনও সাড়াশব্দ নেই সরকারের তরফ থেকে। সম্পূর্ণ নীরব কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও। প্রসঙ্গত, বর্তমানে কলেজটি রয়েছে মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি-র অধীনে। এখন বলা হচ্ছে, ছাত্ররা চর্মনগরীতে চালু ট্যানারিতে গিয়ে কাজ শিখতে পারবে। তা-ও কি সত্যিই হবে? এই বিষয়ে তাই মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তারক সাহা, হিন্দমোটর, হুগলি
উচিত পদক্ষেপ
‘ভাঙা হল প্রাক্তন পুর ভাইস চেয়ারম্যানের অবৈধ বাড়ি’ (৭-৭) শীর্ষক খবরের প্রতিক্রিয়ায় এই চিঠি। রাজ্যব্যাপী বিভিন্ন শহরে, গ্রামেগঞ্জে হাজার হাজার এমন বাড়ি রয়েছে। ছেলেমেয়েদের খেলার মাঠ ও ফুটপাত বেদখল করে বানানো ক্লাব, মন্দির, পার্টি অফিস ইত্যাদি অবৈধ নির্মাণগুলি অনুরূপ সরকারি প্রক্রিয়ায় ভেঙে ফেলা হোক। এই প্রসঙ্গে আমার প্রস্তাব, অনুমোদনের আগে যে কোনও নির্মাণের প্রস্তাবিত প্ল্যান সংশ্লিষ্ট সংস্থা, নির্মাতা অথবা সরকারি কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশের আইনি ব্যবস্থা করা হোক। এ ছাড়া প্রতিবেশী বা সাধারণ নাগরিকদের জ্ঞাতার্থে অনুমোদিত প্ল্যানের কপি প্রদর্শিত হোক নির্মাণস্থলে। সচেতন নাগরিকগণ বেআইনি নির্মাণের খবর পেলেই যেন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে এমন ব্যবস্থা দেখা যায়। মেলবোর্নের এক শহরতলিতে দেখেছি নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার আগে সভা ডেকে প্রতিবেশীদের অনুমতি নিতে হয়। আবার এ-ও দেখেছি, একটি পৈতৃক জমির চরিত্র পাল্টে দুই ভাইয়ের জন্য জমিটিকে দুই খণ্ড করার প্রস্তাব শুধুমাত্র অঞ্চলটির আভিজাত্যহানির সম্ভাবনার কারণে প্রতিবেশীদের সভায় বাতিল হতে।
অশোককুমার দাস, কলকাতা-১০৫
রিচার্জের সমস্যা
এত দিন যাবৎ ব্যাঙ্ক অনলাইনের মাধ্যমে বিএসএনএল মোবাইল ফোনের যাবতীয় রিচার্জ করা যেত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমানে তা এসবিআই, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে আর করা যাচ্ছে না। অথচ, পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে করা যাচ্ছে। বিএসএনএল কাস্টমার কেয়ারে উক্ত বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও প্রতিকার হয়নি। সমস্যা প্রতিকারে তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মৃণালকান্তি দত্ত, জাঙ্গিপাড়া, হুগলি
ভাষার সমস্যা
হাওড়া জেলার আমতা থানার রসপুর গ্রামে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের শাখা আছে। গত কয়েক বছর ধরে যাঁরা এখানে ম্যানেজার হয়ে আসছেন, তাঁরা সবাই অবাঙালি। তবুও তাঁরা বাংলা বুঝতে বা বলতে পারতেন। কিন্তু এখন যিনি এসেছেন, তিনি বাংলা বুঝতে বা বলতে পারেন না। এতে সাধারণ মানুষের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। নিজেদের সমস্যা বা জিজ্ঞাসা সরাসরি তাঁকে বলা যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে ম্যানেজারের সঙ্গেই সরাসরি কথা বলার দরকার হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এই শাখায় ম্যানেজার বদলের সময় বাংলা জানা বা বুঝতে সক্ষম, এ রকম ব্যক্তিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।
অমিত কুমার মিত্র, আমতা, হাওড়া
ভোটার কার্ড
আমার নতুন ভোটার কার্ড তৈরি হয়েছে গত বছর ডিসেম্বরে। বারুইপুর এসডিও অফিস ও সোনারপুর বিডিও অফিসে ব্যক্তিগত ভাবে একাধিক বার যোগাযোগ করে জানতে পারি, ওই কার্ড ডাক মারফত বাড়িতে পৌঁছে যাবে। অথচ, সাত মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও কার্ডটি পেলাম না। ফলে, কৃষকবন্ধু কার্ড করতে পারছি না। অন্যান্য জায়গায় পরিচয়পত্রের প্রমাণের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি দফতর ইলেকট্রনিক ভোটার কার্ড দিয়ে কৃষকবন্ধু কার্ড করছে না। তাই আমার ভোটার কার্ডটি হাতে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অর্ণব গিরি, কলকাতা-১৫০
আলুতে রং
২০১৫-১৬ সালে রং মেশানো আলু বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ায় সরকারি নির্দেশে আলুতে এলামাটি মেশানো বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি হাটে-বাজারে সর্বত্রই আবার রং মেশানো আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। আলুকে তাজা এবং সুন্দর দেখানোর জন্য এলামাটি মেশানো হয়। দেখতে অনেকটা মাটির মতো হলেও এলামাটিতে ক্ষতিকারক সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো রাসায়নিক থাকে। এগুলি খাবারের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে লিভারের সমস্যা, জন্ডিস, কিডনির সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বিধিবদ্ধ আইন ২০১১ অনুসারে, কোনও টাটকা খাবার বা আনাজপাতিতে সব রকমের রঙের ব্যবহার নিষিদ্ধ। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে আলুতে রং মেশানো বন্ধ করতে পদক্ষেপ করুন।
রাসমোহন দত্ত, মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
অপচয় রোধ
পুরসভা ও পুরনিগমের বহু এলাকায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রাস্তার আলো জ্বালানো ও নেবানো শুরু হওয়ার পর থেকে সারা বছর একই সময়ে রাস্তায় আলো জ্বলে ও নেবে। অথচ, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় পরিবর্তন হওয়ার ফলে অনেক সময়ই দিনের আলোতেই বাতিস্তম্ভের আলো জ্বলে উঠতে দেখা যায়। প্রশাসনের কাছে আবেদন, ঋতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক সময়ে যদি বিজলিবাতি জ্বালানো ও নেবানোর স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে হয়তো বিদ্যুতের অপচয় অনেকটাই রোধ করা যাবে।
সোমেশ সরকার , শেওড়াফুলি, হুগলি
রেশন সমস্যা
ডিজিটাল রেশন কার্ডে রেশন তুলতে গেলে টিপছাপ দেওয়ার পরে ফোনে ওটিপি আসে। সেই ওটিপি রেশন ডিলার পেলে তবে রেশন পাওয়া যায়। কিন্তু আমার মোবাইলে ওটিপি আসছে এবং কিছু পরে মেসেজ আসছে যে, রেশন তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ, আমি ওটিপি কাউকে দিইনি বা রেশন তুলিনি। তা হলে আমার রেশন অন্য কেউ কী ভাবে তুলে নিচ্ছে?
তাপস মণ্ডল, বেড়বাড়ি, উত্তর ২৪ পরগনা