আমি খড়দহ নিবাসী। বয়স ৬৭ বছর। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, টিটাগড় শাখায় আমার পরিবারের দু’টি অ্যাকাউন্ট ও একটি লকার আছে। একটি অ্যাকাউন্ট আমার ও স্ত্রীর নামে, অন্যটি স্ত্রী ও পুত্রের নামে। লকারটি আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত এবং সেখান থেকে ভাড়ার টাকা কাটা হয়। অ্যাকাউন্টটি আর চালু রাখতে চাই না। তাই গত মার্চে ব্যাঙ্ককে অনুরোধ করি লকারটি স্ত্রীর নামে পরিবর্তন করে স্ত্রী ও পুত্রের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করতে। ব্যাঙ্ক আধিকারিক প্রথমে রাজি হলেও পরে জানান যে, এই পরিবর্তন করতে আমাদের ৫০ হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজ়িট করতেই হবে। না হলে এই পরিবর্তন হবে না। ব্যাঙ্ক এই ভাবে এফডি খোলার জন্য চাপ দিতে পারে না। আমি ইমেল মারফত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাই। সদুত্তর না পেয়ে বেশ কয়েক বার রিমাইন্ডারও পাঠাই, কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। অবশেষে, ‘সেন্ট্রালাইজ়ড পাবলিক গ্রিভান্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম’ (সিপিজিআরএএমএস) সাইটে অভিযোগ করি। অভিযোগটি সিপিজিআরএএমএস থেকে প্রথমে ইউবিআই-এর জেনারেল ম্যানেজার এবং পরে সার্কল হেড-কে পাঠানো হয়। ওঁদের দু’জনকেও গোটা ব্যাপারটি জানাই। কিন্তু তার পরও কোনও উত্তর পাইনি। তাই এই চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাকে অযথা না ঘুরিয়ে ও এফডি করার জন্য চাপ না দিয়ে লকারের নাম ও তার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্টের পরিবর্তন করে দিন।
বলীন বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-১১৭
নতুন পাসবই
সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক (ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের ফলে বর্তমানে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক) ও এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের (বর্তমানে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের ফলে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক) সিঙ্গুর শাখায় দীর্ঘ দিন থেকেই নতুন পাসবই পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক মানুষ এবং পেনশনভোগীরা। এঁদের মধ্যে অধিকাংশ প্রবীণ ব্যক্তিই ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং-এ অভ্যস্ত নন। আবার মোবাইলে নেটওয়ার্কজনিত কারণে অনেকেরই ফোনে ঠিক সময়ে মেসেজ পৌঁছয় না। ফলে, এই অতিমারি পরিস্থিতিতে বার বার ব্যাঙ্কে গিয়ে অনেককেই কত টাকা জমা আছে, তা জেনে আসতে হচ্ছে। কবে নতুন পাসবই পাওয়া যাবে, তার কোনও আশাব্যঞ্জক সদুত্তর কর্তৃপক্ষও দিতে পারছেন না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন, গ্রাহকদের কাছে আদর্শ পরিষেবা পৌঁছে দিতে অবিলম্বে প্রত্যেক গ্রাহকের হাতে নতুন পাসবই তুলে দেওয়া হোক।
তাপস দাস
সিঙ্গুর, হুগলি
আয়কর রিটার্ন
এ বছরের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ধার্য করা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর। আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য পুরনো ওয়েবসাইট বদল করে গত ৭ জুন থেকে করদাতাদের সুবিধার্থে একটি নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এতে করদাতাদের সুবিধার বদলে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। যেমন, বলা হয়েছিল এখানে গত বছরের রিটার্ন অনুযায়ী, এক জন করদাতার তথ্য প্রিফিল্ড অর্থাৎ, আগে থেকেই পূরণ হয়ে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। করদাতাকে তাঁর সমস্ত তথ্য নিজেকেই পূরণ করতে হচ্ছে। যে সব ভুল তথ্য দেওয়া আছে, তা ঠিক করা বা মুছেও ফেলা যাচ্ছে না। যেমন, একটি ব্যাঙ্কের আইএফএসসি কোড-এর সঙ্গে অন্য ব্যাঙ্কের নাম দেখাচ্ছে। আবার কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হলেও সেই অ্যাকাউন্ট এখনও চালু আছে বলে দেখানো হচ্ছে। উপরন্তু, রিফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক অ্যাকাউন্ট নিজে থেকেই নির্বাচিত হয়ে থাকছে। তার মধ্যে থাকছে ভুল অ্যাকাউন্টও। কোনও কারণে রিফান্ড যদি হয়ও, তা হলে তা প্রকৃত অ্যাকাউন্টে না ঢুকে ভুল অ্যাকাউন্টে চলে যেতে পারে। এটা কি সরকারের রিফান্ড না দেওয়ার অথবা বিলম্বিত করার অভিপ্রায়? এই ধরনের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করদাতারা তাঁদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন কি না, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ওয়েবসাইটটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হলে করদাতারা উপকৃত হবেন।
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য
চুঁচুড়া, হুগলি
বেহাল রাস্তা
জিঞ্জিরা বাজার থেকে সম্প্রীতি উড়ালপুল পর্যন্ত রাস্তার একাংশের বেহাল অবস্থা। বজবজ, বাটানগর, চড়িয়াল, বিড়লাপুর ও মহেশতলার এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতি দিন প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করেন। অতিমারির কারণে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় ও অনিয়মিত বাস চলাচলের ফলে এই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হারের থেকে অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। একাধিক গর্ত ও রাস্তার পাথর উঠে যাওয়ার জন্য প্রায় প্রতি দিন যানবাহনকারীরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। অ্যাম্বুল্যান্সে তাড়াতাড়ি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই রাস্তা দ্রুত মেরামত করে মানুষকে সুরক্ষা দেবেন।
সুকোমল মাসচারক
কলকাতা-১৩৭
সার্টিফিকেট চাই
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া জেনারেল ছাত্রছাত্রীদের যে সংরক্ষণ থাকে, তার জন্য পোলবা দাদপুর ব্লক-এ প্রায় এক বছর আগে আবেদন করছিলাম। ইকনমিক্যালি উইকার সেকশন (ইডব্লিউএস) সার্টিফিকেটের জন্য যা যা শর্তাবলি আছে, তার সবটাই পূরণ করেছি। সব ভেরিফিকেশনও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজও সার্টিফিকেট পেলাম না। অথচ, ব্লক থেকেই এসসি, এসটি, ওবিসি-র সার্টিফিকেট সবাইকে দেওয়া হচ্ছে এবং তার জন্য সরকার থেকে সময়ও বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্যের দড়ি টানাটানির কারণে আমাদের মতো জেনারেল ছাত্রছাত্রীদের ইডব্লিউএস সার্টিফিকেট পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এর দ্রুত সুরাহা হলে ভাল হয়।
সায়ন দীপ বেরা
পোলবা, হুগলি
মোবাইল রিচার্জ
সম্প্রতি একটি বহুজাতিক মোবাইল পরিষেবা সংস্থা ঘোষণা করল তাদের সিমকার্ড চালু রাখতে হলে সবচেয়ে কম ৭৯ টাকা রিচার্জ করতে হবে। আগে তা ছিল ৪৯ টাকা। নরেন্দ্র মোদীর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’-র ধাক্কায় এখন রেশন থেকে বিদ্যালয়ে ছেলেকে ভর্তি— সর্বত্রই প্রয়োজন একটা মোবাইল নম্বর। সেই মোবাইল পরিষেবা চালু রাখতে আগে যেখানে দশ টাকারও প্রয়োজন ছিল না, এখন সেখানে মাসে, আসলে ২৮ দিনে, আয় না থাকা প্রান্তিক পরিবারকেও প্রায় ৮০ টাকা খরচ করতে হয়।
আশীষ পানিগ্রাহী
মোহনপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
অচল কয়েন
বাস, অটো, দোকানে ছোট এক টাকার কয়েন এখন আর নিতে চান না কেউ। বিশেষত, গ্রামগঞ্জে ও মফস্সলে এই কয়েন চলবে কি না, এই সন্দেহে অনেকেই নিতে সাহস পান না। বাজারে এক টাকার মূল্য ন্যূনতম হলেও খুচরো লেনদেনের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কম নয়। তাই বাজার থেকে ছোট এক টাকার কয়েন একেবারে তুলে নিয়ে সমস্ত কয়েন একই রকম বড় আকারের করে জোগান দিলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
রাধারমণ গঙ্গোপাধ্যায়
বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা