Electricity

সম্পাদক সমীপেষু: চাই বিদ্যুৎ সংযোগ

গ্রামে পোস্ট দিয়ে তড়িৎ সংযোগের দিন শেষ হয়েছে অনেক দিন, এখন সবটাই ভূগর্ভস্থ তড়িৎবাহী লাইনে সংযুক্ত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৭
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দিঘা শহর সন্নিকটস্থ পদিমা-২ অঞ্চলের খাদালগোবরা গ্রামের বাসিন্দা আমি। কর্মসূত্রে কলকাতা নিবাসীও। গ্রামটি দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের লাগোয়া, যার বুক চিরে একটি রাস্তা গ্রামের ভিতর দিয়ে পিছনের বাইপাসে উঠেছে। গ্রামটি এমনিতেই অন্ধকারে ডুবে আছে, অপরিসর রাস্তাটিও আঁধার ঘেরা। পিছনের উত্তর বিলআমড়িয়া, উত্তর খাদালগোবরা, দহদয়া, জগদীশপুর, দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের অধিবাসীদের, যাঁরা দিঘায় ব্যবসা করেন, রিকশা টানেন, আঁধারকে সঙ্গী করেই তাঁদের চলাফেরা করতে হয়।

Advertisement

গ্রামে পোস্ট দিয়ে তড়িৎ সংযোগের দিন শেষ হয়েছে অনেক দিন, এখন সবটাই ভূগর্ভস্থ তড়িৎবাহী লাইনে সংযুক্ত। তবুও ব্যক্তিগত স্তরে যাঁরা বিদ্যুৎ পর্ষদকে মূল্য চুকিয়ে বিদ্যুৎ স্তম্ভ বসিয়ে তড়িৎ সংযোগ নিয়েছিলেন বছর ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ আগে, সেই খুঁটিগুলো এখন আর কোনও কাজে লাগে না। বিদ্যুৎ পর্ষদের কাছে নিবেদন, খুঁটিগুলো তুলে নিয়ে যে অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগের দরকার, সেখানে কাজে লাগানো হোক। অথবা, গ্রামের রাস্তায় খুঁটিগুলিকে বসিয়ে ন্যূনতম আলোর বন্দোবস্ত করুক পর্ষদ। ঝাঁ-চকচকে একটি পর্যটন কেন্দ্রের লাগোয়া গ্রামটি অন্ধকারে ডুবে থাকলে তা ভাল বার্তা বহন করে না। মনে রাখতে হবে, গত শতকের ষাটের দশকে বা তারও আগে এই গ্রামবাসীরাই তাঁদের পৈতৃক জমিজমা নামমাত্র সরকারি দামে দফায় দফায় ছেড়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রশাসনকে পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলার জন্য। সেই জমিতে রাজ্য সরকারের স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকোয়ারিয়াম যেমন হয়েছে, তেমনই বর্তমানের নতুন ঝাউবীথিও শোভা পাচ্ছে ওল্ড থেকে নিউ দিঘা জুড়ে। হয়েছে দিঘার নতুন বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনও।

রেল লাইন পাততে গিয়েও অনেক জমি অধিগৃহীত হয়েছে। তাই, গ্রামবাসীদের সামান্য আশাটুকু পূরণে যথাযথ ব্যবস্থা করলে গ্রামবাসীরা বাধিত থাকবেন।

Advertisement

সৌম্যেন্দ্র নাথ জানা, খাদালগোবরা, পূর্ব মেদিনীপুর

আবাসন দুর্নীতি

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত-র ‘অসাধু প্রোমোটার’ (৭-৮) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জানাই যে, বরাহনগর পুরসভার অধীনে মাত্র ৫০টা নয়, কয়েকশো অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা আজও কমপ্লিশন সার্টিফিকেট (সিসি) পাননি। ফলে ওই সব অ্যাপার্টমেন্টের আবাসিকরা তাঁদের ফ্ল্যাটের মিউটেশন করাতে পারছেন না। কোথাও অসাধু প্রোমোটার পরিকল্পনার বাইরে বা পরিকল্পনা পাল্টিয়ে বাড়ির কাজ করায় সিসি আটকে গিয়েছে। অনেকে পুরসভার করও দিতে পারছেন না। এতে পুরসভা কত লক্ষ টাকা লোকসান করছে, সেটাও হিসাব করা দরকার।

অমৃত লাল দাঁ রোডের অধিকাংশ আবাসনের একই অবস্থা। যত বার বরাহনগর পুরসভায় এই নিয়ে দরবার করেছি, হয় মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়েছে, নয়তো ঠিকমতো কর জমা করার কথা বলা হচ্ছে। এই অব্যবস্থা চলছে ২০১১ সাল থেকে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদাধিকারীর কাছে গেলে বলা হচ্ছে, টাকা খরচ করুন, সব হয়ে যাবে। সেই টাকার অঙ্ক লক্ষ টাকার কম নয়। অনেকেই টাকা খরচ করেও কাজের কাজ কিছুই করে উঠতে পারেননি। তাই ইন্দ্রনীলবাবুর মতো এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সমীর চক্রবর্তী, কলকাতা-৩৫

সিগন্যাল চালু

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি আবাসনে থাকি। এর পাশেই একটি ফ্লাইওভার আছে, যেটার উপর দিয়ে এক দিকে কলকাতামুখী গাড়ি, আর অন্য দিকে বারাসতের গাড়িগুলো চলাচল করে। এ ছাড়া এখান দিয়ে জনসাধারণও রাস্তা পারাপার করেন। অনেক চেষ্টা করে চার-পাঁচ বছর আগে এখানে একটি ট্র্যাফিক সিগন্যাল, পুলিশ চৌকি এবং ২৪ ঘণ্টার পুলিশ পোস্টিং-এর ব্যবস্থা হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট-এর উদ্যোগে। কিন্তু সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও ওটা কেউ চালনা করে না। সব সময় হলুদ থাকে এবং জ্বলতে নিবতে থাকে। পুলিশের যাঁরা এখানে ডিউটি করেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি যে, তাঁদেরও প্রাণ হাতে নিয়ে ডিউটি করতে হয়। এখানে প্রতিটি গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে চলে। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে গার্ড রেল দিয়ে গাড়ির গতি কমানোর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু সিগন্যাল চালনা না করার জন্য পথচারীদের রাস্তা পারাপারে খুব অসুবিধা হয়। অনেক সময় ডিউটিরত পুলিশকর্মীরা গুমটির মধ্যে বসে থাকায় রাস্তা পেরোনোর জন্য অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে সিগন্যালটিকে ঠিকমতো চালু করে এবং একটি জ়েব্রা ক্রসিং-এর ব্যবস্থা করে নিরাপদে রাস্তা পেরোতে সাহায্য করা হোক।

সমীর বরণ সাহা, কলকাতা-৮১

স্টেশন সংস্কার

পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি রেল স্টেশনকে দেড় হাজার কোটি টাকার উপর খরচ করে অত্যাধুনিক করে তোলার প্রস্তাবটি এক জন রেলযাত্রী হিসাবে ভাল না লাগার কারণ নেই। তবে এর বাইরেও যে অসংখ্য রেলস্টেশন দীর্ঘ দিন ধরে চূড়ান্ত অবহেলার মধ্যে আছে, সেগুলোর দিকে একটু দৃষ্টিপাত করলে ভাল হয়। অসংখ্য স্টেশন আছে, যেখানে পুরো প্ল্যাটফর্ম জুড়ে কোনও শেড নেই, গরমে আর বৃষ্টিতে যাত্রীরা অসুবিধায় পড়েন। যাত্রীদের খুব প্রয়োজনীয় শৌচাগার আর খাবার জলের অবস্থাও খুব খারাপ। এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অরূপরতন আইচ, কোন্নগর, হুগলি

শৌচাগার চাই

পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান (মেন) শাখার ভদ্রেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কোনও সুলভ শৌচাগার নেই। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি বাজার। যেখানে প্রতি দিন ভোর চারটে থেকে হয় পাইকারি কেনাবেচা। তার পর সারা দিন ধরে সাধারণ মানুষ বাজারহাট করেন। বাজারের ভিতরে একটি শৌচাগার থাকলেও সব সময় পরিষ্কার থাকে না। তা ছাড়া বাজারে এত বেশি মানুষের সমাগম হয় যে, ওই শৌচাগারটি তাঁদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই, এলাকায় একটি সুন্দর শৌচাগারের খুবই প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

কালীশঙ্কর মিত্র, ভদ্রেশ্বর, হুগলি

সভার প্রভাব

যখন কোথাও কোনও রাজনৈতিক দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়, তখন জনসাধারণ খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়েন। অফিসে ঠিক সময়ে রওনা দেওয়া এবং বাড়ি ফেরা, দুটোই কঠিন হয়ে পড়ে। এমনিতেই বাসের সংখ্যা যথেষ্ট কমে গিয়েছে, সভার দিনে তা আরও কমে যায়। তা ছাড়া, ট্র্যাফিক পুলিশের নিয়মকানুনের ফলে সাধারণ যাত্রী থেকে রোগী— সবারই খুব অসহায় অবস্থা হয়। এমনকি ট্যাক্সিচালকেরাও তখন এই অবস্থার সুযোগ নেন। সরকারকে অনুরোধ, বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তাভাবনা করুন।

অরুণাভ বাগ, কলকাতা-৬১

কঠিন পথ

একটি সংগঠনে অফিসের কাজে প্রায়শই চিংড়িঘাটায় যাই। চিংড়িঘাটায় নির্দিষ্ট জায়গায় বাসস্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও অনেকটা দুর্গম পথ ধরে প্রাণ হাতে করে খালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে বাস ধরতে হয়। এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

দেবাশিস রায়, কলকাতা-৯৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement