প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ডিফেন্স, রেলওয়ে, ডাকবিভাগ ও অন্যান্য দফতর মিলিয়ে প্রায় ষাট লক্ষ পেনশনপ্রাপক আছেন। এঁরা ব্যাঙ্ক ও ডাকঘর থেকে পেনশন নেন। এই সূত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ডিফেন্সের জন্য ‘স্পর্শ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। রেলওয়ের রয়েছে ‘অর্পণ’ আর বিএসএনএল-এর নাম ‘সমর্পণ’। এই সব অ্যাপের মাধ্যমে সবাই নির্ধারিত পেনশন পাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে ডাকবিভাগ তাদের নতুন পোর্টাল তৈরি করেছে। এত দূর পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু, দিল্লির ডাকবিভাগের একটা আদেশ বেরোয় গত ২০ ডিসেম্বর। ওখানে বলা হয়, যাঁরা ম্যানুয়াল লাইফ সার্টিফিকেট দেবেন, তাঁদের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো আপডেটের মাধ্যমে নতুন অ্যাপে না দিলে পুরনো অ্যাপ লক হয়ে যাবে। গোটা রাজ্যের ডাকবিভাগের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেও গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। যার ফলে কয়েক হাজার পেনশনপ্রাপক ডিসেম্বর মাসে পেনশন পাননি। একেবারে জানুয়ারির সঙ্গে এক সঙ্গে পেনশন তোলার কথা বলা হয়েছিল। পেনশনপ্রাপকরা নির্ধারিত পেনশনে কোনও রকমে সংসার চালান। কী করে এত দিন সংসার বিনা টাকায় চলতে পারে? সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট পেনশনার ইউনিয়ন-এর দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের পাশাপাশি ম্যানুয়াল লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে পেনশনপ্রাপকদের।
বীরেন্দ্র নাথ মাইতি, সি সিসি জিপিএ, পশ্চিমবঙ্গ
অযথা হয়রানি
লকডাউনের পর থেকে পরিবহণ ব্যবসা খুবই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পণ্য পরিবহণের থেকে যাত্রী পরিবহণের ব্যবসা আরও কঠিন অবস্থায়। সম্প্রতি রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নতুন সমস্যা হিসাবে হাজির হয়েছে— গত বছর ডিসেম্বরে সরকারের ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি)-এর সার্টিফিকেট-এর নির্দেশিকা প্রকাশ। এখন সব গাড়িতেই ভিএলটিডি থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে ভিএলটিডি সার্টিফিকেটের কথা বলায়, যে গাড়িগুলি কেনা হয়েছে বা কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে, তাদের এই সার্টিফিকেট ডিলারের মাধ্যমে গাড়ি প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে পেতে প্রায় ১৫-২০ দিন লেগে যাচ্ছে। এতে কিস্তি-সহ পারমিট অফার লেটার ইত্যাদির জন্য গাড়ির মালিকদের ভোগান্তি হচ্ছে। সরকারের কাছে আবেদন, এই ভিএলটিডি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন এখনই আবশ্যিক না করে যথাযথ পরিকল্পনা করে সময় দিয়ে চালু করা হোক।
সৈয়দ আনসার উল আলাম, ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর
স্পষ্ট কথা
2 ‘মার্চের মধ্যেই আধার না-জুড়লে নিষ্ক্রিয় প্যান’ (২৫-১২) শীর্ষক খবরে বিভ্রান্তির পরিসর তৈরি হয়েছে। খবরে প্রকাশ, প্যানের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। কোনও করদাতা তা না করে থাকলে গত বছর ১ এপ্রিল থেকে বসেছে জরিমানা। বর্তমানে এই সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে তাই ১০০০ টাকা জরিমানা দিতেই হবে।
সমস্যা হচ্ছে, এই প্যান আধার সংযুক্তি কি শুধুমাত্র ‘করদাতা’দের জন্যই বাধ্যতামূলক, নাকি প্রতিটি আমজনতার জন্য, সেটা স্পষ্ট নয়। শুধু করদাতারাই নন, এখন সাধারণ খেটে খাওয়া গৃহসহায়িকা থেকে শুরু করে দিনমজুর, টোটো চালক বা আনাজওয়ালারও আধার এবং প্যান কার্ড আছে। ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি-র কারণে যেটা তাঁদের তৈরি করতে হয়েছে। কিন্তু এঁদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশকেই কোনও রকম আয়কর রিটার্ন করতে হয় না। কারণ, তাঁদের অনেকেরই বার্ষিক আয় এক লক্ষ টাকার নীচে। সে ক্ষেত্রে তাঁদেরও প্যান ও আধার সংযুক্তি বাধ্যতামূলক কি না, সেটা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। না হলে এই জাতীয় খবরের জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্যান এবং আধার সংযুক্তির হিড়িক পড়লে তাঁদের যেমন ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে, তেমনই এক বার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে আয়কর দফতর থেকে তাঁদের রিটার্ন জমা দেওয়াটাও বাধ্যতামূলক হয়ে যেতে পারে। অবিলম্বে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রাখছি।
সাধন বিশ্বাস, কলকাতা-১২২
অস্বচ্ছ প্রকল্প
কিছু দিন আগে আবাস যোজনা প্রকল্পে নথিভুক্ত নাম যাচাই শুরু হয়। আর তাতেই অজস্র অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও প্রকৃত প্রাপকের নাম নেই, কোথাও দোতলা বাড়ি তাঁর নামে রয়েছে, কোথাও দু’বার একই পরিবারের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে ইত্যাদি। বিক্ষোভ-পথ অবরোধ-ডেপুটেশন— বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ আবাস যোজনা প্রকল্পের অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এ বিষয়ে সরব হয়েছে। ঘটনা হল, এই তালিকায় নতুন করে যোগ্য ব্যক্তির নাম তোলার সুযোগ থাকছে না। ফলে, যোগ্যদের নাম নথিভুক্ত কবে, কী ভাবে হবে তার নিশ্চয়তা না থাকায় নাম নথিভুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা প্রকাশের দাবি জোরালো হচ্ছে।
যেমন, ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের নুরপুর অঞ্চলের ১৫ ও ১৬ নম্বর বুথের আবাস যোজনা প্রকল্পে কোনও নাম নথিভুক্তিকরণ আদৌ হয়নি। সাধারণ মানুষ নুরপুর পঞ্চায়েত ও ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি জমা করেছেন। এমন অস্বচ্ছতা দ্রুত দূর করে আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রকৃত প্রাপকের তালিকা সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ করা হোক।
দেবদূত মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
ভুলে ভরা
সম্প্রতি প্রয়োজনীয় নথি-সহ অনলাইন নতুন ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলাম। দেখা গেল, ইংরেজিতে দেওয়া সমস্ত তথ্যের প্রচলিত বাংলা বানানের প্রায় সবটাই ভুলে ভরা। যেমন, ‘অভ্রদীপ’ হয়েছে ‘অব্রদীপ’। ব্যারাকপুর হয়েছে ‘বের্রকপোর’ ইত্যাদি।
জানা গেল, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায়, আঞ্চলিক ভাষার বানান যেমনটি আসবে, তেমনটি মেনে নিতে হবে। কারণ, ‘সিস্টেম সফটওয়্যার’-এ প্রাথমিক ক্ষেত্রে, ভুল অক্ষর সংশোধনের কোনও সুযোগ রাখা হয়নি। পরবর্তী ক্ষেত্রে, সংশোধনের সুযোগ থাকলেও, নথি দেওয়া আবশ্যক। আর, এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় পরিবর্তন করার প্রামাণ্য দলিলও বাস্তবে পাওয়া সম্ভব নয়। আরও জানা গেল, মুদ্রিত অবস্থায় এই ভুলে ভরা ভোটার কার্ডই আসবে, যার বোঝা আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এটা কি মেনে নেওয়া যায়?
অভ্রদীপ ঘোষ, কলকাতা-১২০
বন্ধ কেন ঘাট?
ঐতিহাসিক শহর ব্যারাকপুরে অনেকেই ঘুরতে আসেন। এখানকার প্রধান দর্শনীয় স্থান গান্ধীঘাট ও অন্নপূর্ণা মন্দির। ব্যারাকপুরের বাসিন্দাদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এলে তাঁরাও চান নদীর পারের বিভিন্ন ঘাট, ব্রিটিশ আমলের বিভিন্ন স্থাপত্যের সঙ্গে অন্নপূর্ণা মন্দির, গান্ধী ঘাট ও গান্ধী মিউজ়িয়াম দেখতে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে অনেক দিন ধরেই গান্ধী ঘাটে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। অতিমারির সময় থেকে সাধারণের জন্য গান্ধী ঘাটের দরজা সেই যে বন্ধ হয়েছিল, তা আর খোলেনি। ঘাটের পাশেই অবস্থিত জহর কুঞ্জ কিন্তু জনসাধারণের জন্য খোলা। ফলে অনেকেই ঘাট ও গান্ধী মিউজ়িয়াম দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গান্ধী ঘাট ও গান্ধী মিউজ়িয়াম যাতে জনসাধারণের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইল।
তপন কুমার সরকার, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা