প্রতীকী চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের রেল মন্ত্রক নতুন এক ভাবনার কথা ঘোষণা করেছে। সেটা হল, দূরপাল্লার ট্রেনে আর স্লিপার শ্রেণির কামরা রাখা হবে না, সব হয়ে যাবে এসি কামরা। আরও অবাক করা খবর হল, এর জন্য নাকি ট্রেন-ভাড়া ছিটেফোঁটাও বাড়বে না। যে সরকার রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি কমাতে কমাতে কুড়ি টাকায় এনে ফেলেছে, ব্যাঙ্কের সুদ এমন জায়গায় নিয়ে এসেছে যে, সাধারণ মানুষ টাকা ফিক্সড করার ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেছেন; এমন ‘জনদরদি’ সরকার কি না ভাড়া না বাড়িয়েই রেলের ঠান্ডা কামরায় আমাদের ঘোরাঘুরি করার সুযোগ দেবে! দেখা যাক, ভাবনাটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়!
প্রবীর চক্রবর্তী
জয়নগর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
অপুষ্টির দিনরাত
সেপ্টেম্বর মাস ছিল পুষ্টির মাস। পুষ্টি নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা হল। কিন্তু মা ও শিশুর পুষ্টির কথা একেবারে আড়ালে থেকে গেল। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিই পুষ্টির পীঠস্থান ছিল। এখন করোনা আতঙ্কে কেন্দ্রগুলি বন্ধ। অথচ, একটু সদিচ্ছার জোরেই শুধুমাত্র পুষ্টির কাজটা চালিয়ে যাওয়া যেত। এমন মানবিক কাজে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দ্বিধা করতেন না।
পর্যায়ক্রমে আনলক পর্ব চললেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি না খোলায় শিশুদের পুষ্টির দিকটি ভয়ঙ্কর ভাবে অবহেলিত হল। অপুষ্ট শিশুরা এখন অতি-অপুষ্টিতে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। যেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে মা ও শিশুদের মাসে দু’কেজি চাল, তিনশো ডাল দিয়েই দায়িত্ব শেষ? সঙ্গে কখনও ছোলা, কখনও আলু। গরিবের চাল, ডাল, আলুই প্রধান খাবার। সেটাই সারা মাস জোটে না। অথচ, তাঁদের খাবার বরাদ্দ ছিল যথেষ্ট উন্নত। সপ্তাহে ছ’দিন ছোলার ছাতুর শরবত, পাকা কলা। এ ছাড়া ডাল-সবজি-সয়াবিন দেওয়া খিচুড়ি পেতেন সপ্তাহে তিন দিন। বাকি তিন দিন ডিম-আলুর ঝোল আর সাদা ভাত। আনন্দের সঙ্গে পেটপুরে খেতেন তাঁরা।
এখন এক শ্রেণির মানুষ রোজগারহীন দিনযাপনে অতি কষ্টে আছেন। গর্ভবতী মা অপুষ্টি ও রক্তাল্পতায় ভুগলে সেই মা তো আরও একটা অপুষ্ট শিশুর জন্ম দেবেন। বাড়বে প্রসূতিমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগ তৎপরতার সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খুলে পুষ্টিকর খাবার বিতরণে সচল হোক। করোনা যতই মারাত্মক হোক না কেন, অপুষ্টিও কিন্তু সমান ভয়ঙ্কর।
রীনা সামন্ত
বালিচক, পশ্চিম মেদিনীপুর
অসুবিধের যাত্রা
লকডাউন শুরু হতেই রেল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো ডাকবিভাগও সমান ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এখন আনলক পর্ব চলছে। খাতায়-কলমে সরকারি দূরত্ববিধির নির্দেশিকা মেনে সরকারি ও বেসরকারি বাস চলছে। হাবড়া থেকে প্রতি দিন ট্রেনের ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের পথ ৩-৪ ঘণ্টায় গাদাগাদি করে যাই বাসে। এ দিকে গত মাস থেকে ১০০% হাজিরার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, অথচ গণপরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। ট্রেনের মতো গণপরিবহণ ব্যবস্থা করোনার দোহাই দিয়ে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত ডাককর্মীদের নিতে অস্বীকার করছে। জীবিকার টানে প্রতি দিন ১০-১২ ঘণ্টা বাসযাত্রা অনেককেই করতে হচ্ছে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ একটু ভেবে দেখবেন।
তাপস চন্দ ঘোষ
প্রফুল্লনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
পরিষেবা ব্যাহত
কল্যাণীতে গত কয়েক মাস ধরে বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কোথাও ফোন করা যাচ্ছে না, করা গেলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লাইন কেটে যাচ্ছে। রিচার্জ কার্ড ভরে কার্যত পয়সা গুনতে হচ্ছে। এই সমস্যা কেবলমাত্র কল্যাণী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এলাকায়। কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও ফল হয়নি।
সুরজিৎ বিশ্বাস
কল্যাণী, নদিয়া
সংযোগ চাই না
আমি পাইকপাড়া নিবাসী ও বিএসএনএলের এক গ্রাহক। আমাদের এলাকা কাশীপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ-এর অন্তর্ভুক্ত। গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমার টেলিফোন ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিল পাঠাতে বিএসএনএল খুবই তৎপর। বিনা পরিষেবায় প্রথম চার মাস আমি বিল মিটিয়ে দিয়েছি, শেষ দু’মাস আর দিইনি। একাধিক বার ইমেলের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি হয় পরিষেবা চালু করুন, নয়তো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নীরব, উদাসীন। আমি প্রবীণ নাগরিক। এই অতিমারি আবহে আমার পক্ষে এক্সচেঞ্জে গিয়ে আবেদন করা কি সম্ভব?
অরুণ চক্রবর্তী
কলকাতা-৩৭
আর্সেনিক
‘জলসঙ্কট’ (১-১০) শীর্ষক চিঠিতে ভবিষ্যতে জলের কী রূপ ভয়াবহ সঙ্কট হতে পারে, তা যথার্থ ভাবেই তুলে ধরা হয়েছে। কিছু বছর আগের ‘স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিরেক্টরেট অ্যান্ড সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড’-এর একটি যুগ্ম সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, তৎকালীন বর্ধমান (বর্তমান পূর্ব বর্ধমান) জেলার পূর্বস্থলী ১ ও ২ নম্বর ব্লক দু’টি আর্সেনিকপ্রবণ (ডার্ক এরিয়া) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। অথচ, বর্তমানে এই এলাকায় পঞ্চায়েতের কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই প্রচুর সাব-মার্সিবল পাম্পের সাহায্যে যথেচ্ছ হারে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে, এলাকায় নলকূপের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও। এটি জল অপচয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। এই ভাবে ইচ্ছেমতো প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন করা কি আইনসম্মত? জলের অপচয় রোধে ও ভৌমজলের ভান্ডার সুরক্ষিত রাখতে, অবিলম্বে পঞ্চায়েত দফতরের নির্দিষ্ট আইন কার্যকর করা প্রয়োজন।
অনিমেষ দেবনাথ
নাদনঘাট, পূর্ব বর্ধমান
বিকল এটিএম
মেদিনীপুর শহর জুড়ে প্রায় সব ব্যাঙ্কেরই একাধিক এটিএম কাউন্টার রয়েছে। কোনও কোনও এটিএম কাউন্টারে আবার একাধিক সুবিধাযুক্ত মেশিনও আছে। এর ফলে ওই সব কাউন্টারে টাকা তোলা-সহ টাকা জমা দেওয়া এবং পাসবই প্রিন্টিং-এর পরিষেবা পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মেশিনগুলি অকেজো অবস্থায় থাকে। আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়। এই অতিমারি কালে বেশির ভাগ এটিএমে নিরাপত্তা রক্ষীদের দেখা মেলে না। দিনে এক বারের জন্যও স্যানিটাইজ় করা হয় না এটিএম মেশিন বা কাউন্টার। ব্যাঙ্কগুলোর উচিত প্রত্যেক এটিএম কাউন্টারের মেশিনগুলো প্রতিনিয়ত চেক করা এবং স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা-সহ নিরাপত্তা রক্ষী রাখা।
লক্ষ্মীকান্ত মান্না
মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
রাজনৈতিক খুন!
‘দিন বদলায়, ছাতা বদলায়, তবু চলতেই থাকে মস্তান-রাজ’ (১২-১০) শীর্ষক খবরে ‘রাজনৈতিক-খুন’ শব্দবন্ধটি ব্যবহৃত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তপন সিংহের আতঙ্ক ছবির একটি সংলাপ প্রণিধানযোগ্য— ‘‘আ মার্ডার, ইজ় আ মার্ডার। পলিটিক্যাল মার্ডার বলে কিছু হয় না।” সত্যিই তো, খুন আবার রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক হয় নাকি! রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা খুন হলেও তাই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
শঙ্খমণি গোস্বামী
কলকাতা-১২২
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।