নরেন্দ্রপুর থানার গড়িয়া মেন রোডে প্রতাপগড়-বিডিএমআই বাসস্টপের সামনে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে অপটিক্যাল ফাইবার ও টিভি-কেব্ল-সহ নানা ধরনের তার বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে আছে। এতে বাসস্টপটি এবং লাগোয়া ফুটপাত অব্যবহার্য হয়ে পড়েছে ও পথচারীরা বিপদের মুখে পড়ছেন। বাসস্টপটির লাগোয়া একটি বিখ্যাত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা প্রচণ্ড শঙ্কা ও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ঢিলছোড়া দূরত্বে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কার্যালয় হলেও এই সমস্যা সমাধানের কোনও প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে না। যে হেতু প্রচণ্ড ব্যস্ত এই স্টপে প্রায় সারা দিন যানজট লেগে থাকে, তাই যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবিলম্বে এই তারের জঞ্জাল সরানো হোক।
আনন্দ বক্সী
কলকাতা–৮৪
বিনামূল্যে নয়
‘বিপন্ন জলকে বাঁচাতে হলে’ (২৫-৭) শীর্ষক নিবন্ধে অদিতি মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘সেচের প্রয়োজনে মাটির তলার জল তুলতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছিল, যা আজও চালু আছে।’’ এই তথ্যটি অন্তত আমাদের অভিজ্ঞতায় ভুল। কারণ আমরা, বর্ধমান জেলার কৃষকেরা, পাম্প থেকে যে পাতালের জল তুলি, তার জন্য বিদ্যুতের দাম দিতে হয় শুধু নয়, চড়া হারেই দিতে হয়। এখন প্রতি মাসে অন্তত এক বার ৬০০০ টাকার বিল আসে। তিন মাসের জন্য অস্থায়ী সংযোগ নিতেও অগ্রিম নগদ ৩০,০০০ টাকা দিতে হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এক বারে ৭৫,০০০ টাকার বিলও এসেছিল। অনেকেই এই চড়া মাসুলের কারণে চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। শুধু এখন কেন, এই এলাকায় কোনও দিনই সরকার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেয়নি।
তপোময় ঘোষ
শিবলুন, পূর্ব বর্ধমান
ভ্রাম্যমাণ ব্যাঙ্ক
আমাদের রাজ্যে আছে ৩৩১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এর মধ্যে ৭০০টি গ্রামে কোনও ব্যাঙ্ক নেই। এ জন্য গ্রামবাসীদের বিভিন্ন ভর্তুকির টাকা পেতে খুবই অসুবিধা হয়। ব্যাঙ্কের তরফে এতগুলো শাখা খোলা এখনই হয়তো সম্ভব নয়।
তাই মনে হয় এ ক্ষেত্রে গাড়ির মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ব্যাঙ্ক পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। চলমান ব্যাঙ্ক ঘুরে ঘুরে সমস্ত গ্রামে পরিষেবা দিতে পারবে।
মঞ্জুলিকা রায় (বিশ্বাস)
কলকাতা-১৫০
প্রাথমিক টেট
গত বছর প্রকাশিত হওয়া NCTE -র নিয়ম অনুযায়ী, বিএড ডিগ্রিধারীরা অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করলে প্রাথমিক টেট-এ বসার যোগ্য। এই নিয়ম মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলি বিএড-দের প্রাথমিকে বসতে দিচ্ছে। ত্রিপুরা, ওড়িশা-সহ আরও কিছু রাজ্যে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও সদর্থক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
ডেবরা, পশ্চিম মেদিনীপুর
খেলার জায়গা
মালদহে ব্যাডমিন্টন খেলার যে একটিমাত্র ভাল ইনডোর স্টেডিয়াম (সত্য চৌধুরী ইনডোর স্টেডিয়াম) আছে, তা বছরের বেশির ভাগ সময় নানা সরকারি কাজে আটকে থাকে। খেলার জায়গা থাকা সত্ত্বেও খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয় আমাদের। যা বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড়দের কাছে এক বড় সমস্যা। তা ছাড়া কাঠের তৈরি কোর্টগুলির উপর ভারী ভারী জিনিসপত্র রাখায়, কোর্টগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ইন্দ্রনীল সাটিয়ার
বাঁশবাড়ি, মালদহ
কাঁচা রাস্তা
ধনেখালি থানার শাহবাজার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এই গ্রামেই সৈয়দ শাহ গোলাম আলি কেরমানি(রঃ)-র মাজার অবস্থিত। হুগলি ও তার আশপাশের জেলা থেকে লোক আনাগোনা চলতেই থাকে প্রতি দিন। কিন্তু এই আসা-যাওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় জঘন্য রাস্তা। বাস থেকে নেমে খানাখন্দে ভরা সেই আদ্যিকালের মোরাম রাস্তাই সম্বল। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভরা বর্ষায় মাজারের যাত্রী-সহ আমজনতা নাজেহাল হবেন। জলকাদা-মাখামাখি হয়ে ভক্তরা মাজারে ঢুকবেন। অথচ এই রাস্তাটাই পাকা হওয়ার কথা হচ্ছে বহু বছর ধরে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে দশঘরা স্টেশন বাজার থেকে লোকনাথ স্টেশন পর্যন্ত পিচ হওয়ার কথা ছিল। এর মাঝখানে শাহবাজার গ্রামটা পড়ে। এক বার রাস্তাটা পাকা হয়-হয় অবস্থা হয়েও, অজ্ঞাত কারণে তা থমকে যায়। অন্তত পক্ষে পাঁচ বার মাপজোক (সার্ভে) হয়েছিল সে সময়। কিন্তু কোথায় কী! শুধু মাপামাপিই হল, রাস্তাটা ঘুরে গেল পাশের গ্রাম গঙ্গেশনগর, গোলাপবাগ, বেলেপোঁতার উপর দিয়ে। অথচ হওয়ার কথা ছিল কাগজিপাড়া, শাহবাজার, হাটতলা, নারাদহের উপর দিয়ে। কেন এমন হল, এখনও তার রহস্য উন্মোচিত হয়নি। এখনও মাঝে মাঝে রাস্তাটা পাকা হওয়ার বিষয়ে হাটবাজারে ‘হাওয়া’ ওঠে। তবে তা কিছু দিনের মধ্যে মিলিয়ে যায়। মাত্র ৬-৭ কিমি মোরাম রাস্তা পাকা করতে যদি যুগের পর যুগ লেগে যায়, তা হলে বলার কিছু নেই।
সৈয়দ মহম্মদ মুসা
শাহবাজার, হুগলি
জানালা ঢাকা
কলকাতার রাস্তায় যে সব এসি বাস চলাচল করে তার সবগুলোরই জানালার বেশির ভাগ অংশ গাঢ় রঙে আচ্ছাদিত। ফলে যাত্রীরা অনেক সময় বুঝতেই পারছেন না, নিজের গন্তব্য এসে গেল কি না। বর্তমানে লোকাল ট্রেনগুলোতেও পরবর্তী স্টেশনের নাম প্রতিটি কামরায় ঘোষণা হয়, মেট্রোর মতো। এসি বাসে এই নিয়ম করা যায় না?
সংযুক্তা চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
ইমেল মারফত
অ্যাপ হোক
লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটার দীর্ঘ লাইন এড়াতে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন হয়েছিল। কিন্তু হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে রোজের টিকিট কাটার কাউন্টারের চেহারাটা বদলাল না। লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে বা মাস শেষে মান্থলির জন্যও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ট্রেন মিস হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার, পর্যাপ্ত কাউন্টার থাকলেও তা সব খোলে না। এই পরিস্থিতিতে আইআরসিটিসি বা রেল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ নিজ জ়োনের জন্য মোবাইলে লোকাল টিকিট কাটার ব্যবস্থা বা আলাদা অ্যাপ চালু করুক। সময় অর্থ দুই-ই বাঁচবে, উপকৃত হবেন লক্ষাধিক যাত্রী।
অরিত্র মুখোপাধ্যায়
চাতরা, হুগলি
যানজট
কুদঘাট থেকে পূর্ব পুটিয়ারি এবং পশ্চিম পুটিয়ারি সংলগ্ন একটি বড় ব্রিজ বাম আমলের গোড়ায় তৈরি হয় টালি নালার উপরে। আর একটি বড় ব্রিজ তৃণমূলের হাল আমলে তৈরি হয়। কিন্তু কুদঘাট বাস টার্মিনাস সংলগ্ন অঞ্চলে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি হলেও, পূর্ব পুটিয়ারি এবং পশ্চিম পুটিয়ারি সংলগ্ন তেমাথায় কোনও অ্যাপ্রোচ রোড গত ৫০ বছরেও হল না। নিদেনপক্ষে কোনও সিগনালিং ব্যবস্থাও নেই। সংলগ্ন বৃহৎ বাজারের বহুপ্রতীক্ষিত সংস্কারও হয়নি। তাই ওখানকার নারকীয় যানজটে সবারই নাভিশ্বাস উঠছে। এখন মনে হয়, ফিরিয়ে দাও সেই ৫০ বছর আগেকার টালি নালার ওপরের কাঠের ব্রিজ।
সমীর ঘোষাল
কলকাতা-৯৩
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।