Letters To The Editor

প্লিজ কিছু করুন! লকডাউন বেড়ে যাওয়ার পর নতুন করে মরিয়া আকুতি আটকে পড়াদের

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ১৭:০৯
Share:

লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে বহু মানুষ। ছবি: পিটিআই

চিঠি ১) হয় বাড়ি ফেরান, নয়তো থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করুন

Advertisement

গত ২১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভেলোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলাম। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় আমরা নিজেদের স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে তা মেনে নিয়ে হোটেলের ভাড়া দিয়ে থাকতে রাজি হয়েছি। কারণ হোটেল মালিক আগেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে তবেই থাকতে দিয়েছে| ভেলোর জুড়ে কয়েক হাজার বাঙালি এখন আটকে রয়েছেন। এর পর লক ডাউনের মেয়াদ আরও বাড়লে আর্থিক কারণেই তা আমাদের কাছে ভয়ানক। আপনাদের মাধ্যমে আমাদের রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন কোনও ভাবে আমাদের নিজেদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন অথবা এখানে থাকা খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করে দিন। ‘স্টে হোম’ আমরা মেনে চলতে রাজি আছি, কিন্তু ‘স্টে হোটেল’ মানব কেমন করে?

তপন কুমার দিন্দা

Advertisement

পানিপারুল, পূর্ব মেদিনীপুর

মোবাইল নম্বর: ৮৭৬৮১১৯০৮০

ইমেল: dindatapan@gmail.com

চিঠি ২) বাড়ি ফেরান, ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকব

আমরা মুর্শিদাবাদের প্রায় ২০০ জনের বেশি মানুষ কেরলে আটকে পড়েছি। লকডাউন এর জেরে বাড়ি ফিরতে পারছি না। সরকার যদি বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে খুব ভাল হয়। বাড়ি গিয়ে ১৪ দিন কোয়রান্টাইনে থাকব। ১৪ এপ্রিলের পরেও ট্রেন বন্ধ থাকলে আমরা খুব অসুবিধায় পড়ে যাব। আমাদের হাতে টাকা প্রায় শেষ। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।

কেরলের ঠিকানা

ভূমিভারহুক্কাল, কাল্লাছি, নন্দপুরম, কোঝিকোড়, পিন-৬৭৩৫০৬

বাড়ির ঠিকানা

ফরাক্কা, মুর্শিদাবাদ, পিন- ৭৪২২০২

ইমেল: bakulhossain786@gmail.com

চিঠি ৩) মুম্বইয়ে আটকে, আর খরচ চালাতে পারছি না

গত ১৭ মার্চ আমার ভাই বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়েছিল। বাবার অস্ত্রোপচারের পর ছুটি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লকডাউনের ফলে তাঁরা আটকে পড়েছেন। এখন মুম্বইয়ের অবস্থা ভয়ানক। তাঁরা কবে ফিরবেন তা বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা খুব উদ্বিগ্ন। এখন মুম্বইয়ে থাকা-খাওয়া বাবদ দিন প্রতি খরচ প্রায় ১ হাজার ৫০০ টাকা করে খরচ হচ্ছে। আর টাকাও নেই। কোথায় যাবো? কি খাবো? মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই তাঁদের ফেরানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ করবেন।

অনুপ কুমার গড়াই

লক্ষ্মীনারায়াণপুর, বীরভূম

মোবাইল নম্বর: ৬২৯৭০০৪৩৬৮

ইমেল: anupkg.garain@gmail.com

চিঠি ৪) বাড়িতে বাবা-মা অসুস্থ, আমি উত্তরবঙ্গে আটকে, কলকাতায় ফিরতে চাই

শ্বশুরমশাইকে দেখতে এসে আমরা উত্তরবঙ্গে আটকে গিয়েছি। আমার বাড়ি কলকাতা। বাড়িতে মা ক্যান্সারের রোগী। বাবা সিওপিডির রোগী। দয়া করে আমাদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।

পিনাকী আঢ্য

মোবাইল নম্বর: ৮০১৭৫৭০২৭৯

ইমেল: pinaki99@gmail.com

চিঠি ৫) ভেলেরো ডাক্তার দেখাতে এসে আটকে, আমাদের উদ্ধার করুন

গত ১১ মার্চ কৃষ্ণনগর থেকে ভেলোরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। ৩০ মার্চ ফেরার টিকিট ছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে ফিরতে পারিনি। আমরা মোট ৯ জন আটকে পড়েছি। আমাদের উদ্ধার করুন।

ভাস্কর কর্মকার

মোবাইল নম্বর: ৮৫৩০৬০৪৯৬৪

ইমেল: karmakarbhaskar542@gmail.com

চিঠি ৬) আমাদের কোনও ভাবে পশ্চিনমবঙ্গে ফেরার ব্যবস্থা করুন

গত ১৪ মার্চ আমরা হাওড়া থেকে দাদার চিকিৎসার জন্য চেন্নাই এসেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের ফলে আটকে পড়েছি। আমাদের মতো অনেকেই আটকে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন আমাদের কোনও ভাবে পশ্চিমবঙ্গে ফেরার ব্যবস্থা করুন।

সঞ্জীব জানা

মোবাইল নম্বর: ৯৮৭৪০৮৩৪৩২

ইমেল: sanjib.jana91@gmail.com

চিঠি ৭) বাবাকে নিয়ে ভেলোরে আটকে, বাংলাদেশে ফিরতে চাই

আমি আমার বাবাকে নিয়ে ১২ মার্চ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করানোর জন্য ভেলোরে এসেছিলাম। চিকিৎসা শেষ। কিন্তু লকডাউনের ফলে এখানে আমরা আটকে পড়েছি। আমরা দ্রুত বাংলাদেশ ফিরতে চাই। আমাদের হাতের টাকা প্রায় শেষ। দয়া করে আমাদের ফেরাকর ব্যবস্থা করুন।

সুবীর চন্দ্র পাল

মোবাইল নম্বর: ৬০০৯২৩৬০৮৫

ইমেল: 91subir19@gmail.com

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement