প্রতীকী ছবি
চিঠি ১) আটকে পড়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে বঙ্গীয় সমাজ
দক্ষিণ ভারতের সব চেয়ে বড় বাঙালি সংগঠন বঙ্গীয় সমাজ। বিগত কিছু বছর ধরে প্রবাসী বাঙালিদের জন্য নানা রকম সমাজসেবা মূলক বহু কাজ করে চলেছে সংগঠনটি। করোনার কারণে যখন গোটা দেশে লকডাউন চলছে, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে চিকিৎসার জন্য আসা বহু মানুষ বেঙ্গালুরুর কাদুগরি, কড়িহাল্লি, বানারঘাটা রোড, ইলেকট্রনিক সিটি, কেঙেরি, জালাহাল্লি, হেব্বল, হসুর রোড, আত্তিবেলে ও কর্নাটকের বহু জেলাতে আটকে পড়েছেন। অধিকাংশেরই খাওয়া ও থাকার জন্য অর্থ নেই। ভাষাগত সমস্যাতেও পড়ছেন অনেকে।
এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গীয় সমাজ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বঙ্গীয় সমাজের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ১০ হাজারের বেশি মানুষ আটকে পড়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বঙ্গীয় সমাজ টাস্কফোর্স টিম তৈরি করেছে। খবর পেলেই সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে এই দল। কর্ণাটক সরকার ও আঞ্চলিক প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে গত কয়েক দিনে বঙ্গীয় সমাজের সকল স্বেচ্ছাসেবী আটকে পড়া বাঙালি পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। বঙ্গীয় সমাজের প্রচেষ্টায় ও আঞ্চলিক প্রশাসনের তৎপরতায় কাদুগরি অঞ্চলের সমস্ত থাকার হোটেল ও লজের ভাড়া মকুব করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু জনপ্রতিনিধির ফোনও পেয়েছে বঙ্গীয় সমাজ। বঙ্গীয় সমাজের স্বেচ্ছাসেবকেরা এই দুর্দিনে সকল পরিবারদের সাহায্য করাত জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছে। এখনও পর্যন্ত ৮ হাজারেরও উপর মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে বাকিদের কাছেও সাহায্য পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি।
বঙ্গীয় সমাজের বিনীত অনুরোধ যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কোনও রকম সাহায্য পাওয়া যায়, তা হলে আরও অনেকের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যাবে।
সৌরভ মুখোপাধ্যায়
সভাপতি, বঙ্গীয় সমাজ
ইমেল- president.bongiosamaj@gmail.com
চিঠি ২) লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে কী ভাবে ফিরব?
আমার দাদার ক্যানসার। চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে এসেছি। গত ১১ মার্চ এখানে এসেছি। দাদার শিরদাঁড়াতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিত্সার পর আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু লকডাউনে ট্রেন বন্ধ। ১৫ এপ্রিল দুরন্ত এক্সপ্রেসের টিকিট কাটা আছে। বাড়িতে ৯০ বছরের বৃদ্ধ বাবা ও তিন সন্তান আছে। কী ভাবে ফিরব?
দেবব্রত গোস্বামী
পশ্চিম উকিল পাড়া রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর
ফোন নম্বর- 9434512056
চিঠি ৩) কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন
কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে আটকে পড়েছি আমরা দুই বৃদ্ধয়। এক জনের বয়স ৮৫ ও আর এক জনের বয়স ৬৭। আমাদের বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার চালসায়। ১৭ এপ্রিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের টিকিট কেটে রেখেছি। কিন্তু টিকিট বাতিল হলে কী করব? কোনও গাড়ি বা বাসের ব্যবস্থা করে যদি বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করা হয়, খুব উপকার হয়।
সুব্রত সরকার
চালসা, জলপাইগুড়ি
ফোন নম্বর- 7602845282
চিঠি ৪) অর্থ শেষ হয়ে আসছে, কী করব, চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না
পরিবার নিয়ে ভেলোরে এসেছিলাম ডাক্তার দেখাতে। ২৩ মার্চ ফেরার টিকিট ছিল। কিন্তু তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে টাকা পয়সা শেষ হয়ে আসছে। সিএমসি হাসপাতালের পিছনে একটি হোটেলে আমরা চার জন রয়েছি। চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না। রাজ্য সরকার আমাদের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।
তন্ময় বিশ্বাস
ফোন নম্বর- 8159936191
চিঠি ৫) ১৫ এপ্রিল বিমানের টিকিট বাতিল হবে না তো?
আমি মহম্মদ আনিসুদ্দিন সর্দার। শাসন থানার ফলটি গ্রাম থেকে আমরা মোট ১০ জন ভেলোরে চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। লকডাউনে এখানে আটকে পড়েছি। আমাদের আগামী ১৭ এপ্রিল বিমানের টিকিট আছে। আমাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন।
মহম্মদ আনিসুদ্দিন সর্দার
ফোন নম্বর- 7029665422
চিঠি ৬) গোয়ায় আটকে রয়েছে রাজ্যের ৭০ থেকে ৮০ জন শ্রমিক
গোয়ায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারা নিজদের উদ্যোগে বাস ভাড়া করে পশ্চিমবাংলায় ফিরতে চায়। কিন্তু যে হেতু রাজ্যগুলির সীমানা বন্ধ, তাই তারা বাড়ি ফিরতে পারছে না। তারা প্রয়োজনে ১৫ এপ্রিলের পর গাড়ি ছাড়তে ইচ্ছুক। কিন্তু তাদের অনেকগুলি রাজ্যের উপর দিয়ে ফিরতে হবে। তাই তারা রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইছে।
বাবলা দাস
ফোন নম্বর- ৯৭৩৩৭৬৯৪২০
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন,feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)