Letters To The Editor

আটকে আছি, প্লিজ কিছু করুন, আর্তি আসছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা মনোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি। এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা মনোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ১৭:২৫
Share:

বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া বাংলাদেশি পত্রলেখক এবং তাঁর দুই আত্মীয়।

চিঠি এক) বাংলাদেশ থেকে এসে শোচনীয় অবস্থায় আটকে আছি

Advertisement

আমি বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমি গত ৩ মার্চ আমার মামার হার্টের অপারেশন-এর জন্য মামা এবং মামীকে নিয়ে ভারতের গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করি এবং ৪ মার্চ বেঙ্গালুরুতে আসি। বর্তমানে লকডাউন অবস্থায় আমরা বেঙ্গালুরুতে আটকা পড়ে গেছি। এখানে অবস্থান করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ আমাদের কাছে নাই। এমতাবস্থায় আমরা খুব শোচনীয় অবস্থায় দিন যাপন করছি। বাংলাদেশ বা ভারত থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করার মতো সামর্থও আমাদের নেই। আমার অনুপস্থিতিতে আমার ৩টি শিশু সন্তান-সহ আমার পরিবারও বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছে। আমরা ছাড়াও, এখানে আরও অনেক বাংলাদেশি পরিবার আমাদের মতোই বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছে।

আপনাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে এবং সর্বোপরি মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাদের জরুরি ভাবে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনার নিকট বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

Advertisement

অনুগ্রহ করে আপনি আপনার সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রচার করলে, আশা করি বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হবে এবং আমাদের অশেষ উপকার হবে। অগ্রিম ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল।

মহম্মদ মেহেদী হাসান আরিফ, সপুরা, থানা: শাহমখদুম, রাজশাহি (বাংলাদেশ)

চিঠি দুই) বাড়িতে ১০ বছরের ছেলে আর শয্যাশায়ী শাশুড়ি, আমরা আটকে রাজস্থানে

মেয়ে পড়াশোনা করে রাজস্থানের কোটায়। আমি আর আমার স্বামী মেয়ের কাছে এসে আটকে পড়েছি। আসানসোলের বাড়িতে আছেন আমার শয্যাশায়ী শাশুড়ি আর আমাদের ১০ বছরের ছেলে। আর কেউ বাড়িতে নেই। কেউ দেখার নেই। ভয়ঙ্কর অবস্থায় রয়েছে ওরা। কিছু একটা উপায় করে দিন আমাদের বাড়ি ফেরার।

বীথিকা রায় বৈদ্য, শিক্ষিকা, তুলসিরানি বালিকা বিদ্যালয় (আসানসোল)

আরও অনেক বাংলাদেশি মানুষ আটকে রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। ছবি: মহম্মদ মেহেদী হাসান আরিফ।

চিঠি তিন) বৃদ্ধ বাবা-মা আটকে আছেন ভেলোরে

ভোলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সা করাতে গিয়েছিলেন আমার বৃদ্ধ বাবা-মা। ১৪ মার্চ অস্ত্রোপচার হয়। ২৩ তারিখ বায়োপসি রিপোর্ট পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু লকডাউনে আটকে পড়েছেন ওঁরা। বিষয়টা দেখুন।

স্নেহেন্দুশেখর খাঁড়া, পাঁশকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর

চিঠি চার) ভেলোরে আটকে আমার অসুস্থ বন্ধু

আমার বন্ধু সুশান্ত দাস ও তার ছেলে ভেলোরে চেকআপ করাতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে না। সুশান্ত দাসের বাড়ি হুগলি জেলার গুড়াপ থানার ভাস্তাড়া গ্রামে। পুর্বরেলে কর্মরত।

হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় (হুগলি)

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement