Bengali laborers

টাকা নেই, লজ তাড়াবে বলছে, চেন্নাইতে আটকে আছি কয়েকশো জন, কিছু করুন

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৮:০৯
Share:

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ছবি: মজিদ।

২২ মার্চ থেকে চেন্নাইয়ে আটকে আছি আমরা। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কোনও মতে এক একটা দিন কাটাচ্ছি। কী ভাবে বাড়ি ফিরব জানি না। কালকের দিনটাও বা কী করে কাটবে তাও অনেকটাই অনিশ্চিত।
সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশো জন আমরা। তার মধ্যে বাংলারই বেশি, ৩০৭ জন। বাকিরা বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম, ত্রিপুরা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের। আমরা এখানে কাজ করতাম। আমরা সবাই শ্রমজীবী। কেউ রঙের কারখানায় কাজ করি, কেউ বা রেডিমেড জামাকাপড়ের কারখানায়, আবার কেউ নির্মাণ শিল্পে। হঠাৎ করেই লকডাউন হল। কোনও মতে আমরা অনেকে ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর পরের দিনই জমা হই চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে। কয়েক হাজার মানুষ। সবাই চাইছি বাড়ি যেতে। আমাদের অনেকের কাছে টিকিটও ছিল। কিন্তু যেতে পারলাম না।
এর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় আমাদের দুঃস্বপ্নের দিন। ট্রেন নেই। কোথায় যাব জানি না। কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে বসে আছি স্টেশনে। তখনই শুরু হল পুলিশের তাড়া। স্টেশন চত্বর থেকে তাড়িয়ে দিল পুলিশ। কোনও মতে আশে পাশের গলিতে লুকিয়ে রইলাম। কিন্তু থাকব কোথায়? শেষ পর্যন্ত অনেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনের পাশে কুলন্দাই স্ট্রিট, ওয়াল ট্যাক্স রোড ও অন্যান্য কয়েকটি রাস্তায় ৩৪টি লজে আশ্রয় নেন। আমরা চলে আসি এগমোর স্টেশনের কাছে। সেখানে লজে মাথাপিছু ঘর ভাড়া ১৫০ টাকা।

Advertisement

আরও পড়ুন: হোটেলভাড়া দিতে পারছি না, ফেরান, না হলে খাব কী?

আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রাখতে নিজেদের অপ্রকৃতস্থ মনে হচ্ছে​

Advertisement

উপায় নেই। সেখানেই মাথা গুঁজলাম। শুধু নিরামিষ ডাল ভাতের খরচই একেক বেলা ৭০-৮০ টাকা। এ ভাবেই কয়েক দিন চলল। এ দিকে হাতের টাকা ফুরিয়ে আসছে। শুনলাম কেন্দ্রীয় সরকার এবং তামিলনাড়ু সরকার নির্দেশ দিয়েছে, আমাদের মতো আটকে পড়াদের কাছ থেকে লজ টাকা নিতে পারবে না। আমরা সেটাই বললাম লজ মালিককে। কিন্তু উল্টো ফল। পুলিশ দিয়ে আমাদের হুমকি দেওয়া শুরু হল।

রবিউল (জিওলগরিয়া, পূর্ব বর্ধমান), মজিদ (গুরগুরিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা)

অনুলিখন: মধুশ্রী বসু (চেন্নাই)

(সরকারি, বেসরকারি যে কোনও স্তর থেকে সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ: টি ভেঙ্কট ৭৩৫৮৭০০৬৫৫)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement