Coronavirus

দাবানলের পর এ বার করোনার মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৩৯
Share:

ফাঁকা সিডনির রাস্তা। ছবি: লেখিকার নিজস্ব।

তারিখটা ঠিক মনে করতে পারছি না। বোধহয় জানুয়ারির ২৫ তারিখ হবে। লুনার নিউইয়ারের অনুষ্ঠান দেখতে আমরা (আমি, শুভ আর আমাদের ছেলে) হাজির হয়েছিলাম সিডনির বিখ্যাত সিবিডির চায়না টাউনে। এর কিছু দিন আগে থেকেই শুভ ও অন্যান্য বন্ধুদের মুখে চিনের উহান প্রদেশে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া এবং তার থেকে মানুষের সংক্রমণের কথা কানে আসছিল ।

Advertisement

শুভ প্রায় রোজই অফিস থেকে ফিরে করোনা সংক্রান্ত নানা খবরাখবর দিত। বিষয়টিকে তখনও আমি অতটা প্রাধান্য দিতে রাজি ছিলাম না। ‘এরকম তো প্রায়ই ঘটে’ টাইপের ব্যাপার ছিল আমার কাছে। তবে চায়নাটাউনের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম অনেকেই মুখে মাস্ক ঢাকা দিয়ে ঘুরছেন, তাঁদের বেশির ভাগই চিনা। সে দিন আমরা ওই ভিড়ে বেশি ক্ষণ না থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম।

এর পর ধীরে ধীরে ছবিটা বদলাতে শুরু করল। ক্রমে দেখলাম আনন্দবাজারের শিরোনামে জায়গা করে নিল করোনা। চিনের পর একে-একে ইটালি, স্পেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ডের ভয়াবহ পরিণতি ভিড় করে আসতে লাগল চোখের সামনে। নিউ সাউথ ওয়েলসেও (যেখানে আমরা থাকি) করোনা সংক্রান্ত খবর প্রাধান্য পেতে শুরু করল। মানুষও সচেতন হতে লাগল।

Advertisement

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুভদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ শুরু হল। ছেলের পাবলিক বাসে স্কুলে যাওয়া-আসা বন্ধ করলাম। রাস্তাঘাটে লোকজনের সংখ্যাও কমতে লাগল দ্রুত। বেশির ভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক। একে-একে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠানগুলি বন্ধ হতে লাগল। অস্ট্রেলিয়া সরকার ধীরে-ধীরে নানা রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করল।

সদ্য দাবানল-বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় বার ভুল করেনি। তাই হয়তো সিডনি তথা সমগ্র অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ সে ভাবে থাবা বসাতে পারেনি। এর মধ্যেও কিছু অবাধ্য মানুষ কিংবা ট্যুরিস্টের জন্য সরকার আরও কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। বর্তমানে রাস্তায় দু’জনের বেশি একসঙ্গে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে , নতুবা মোটা টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রথম থেকেই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে। এখানে এখনও লকডাউন চলছে। আশা করা যায় যে অস্ট্রেলিয়ার পরিণতি ইটালি, ইংল্যান্ড কিংবা আমেরিকার মতো হবে না।

মিতালি রায়, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন,feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement