মেট্রো কার্ড নিয়ে একটি সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই চিঠির অবতারণা। সম্প্রতি কার্ডটি ব্যবহার করে বরাহনগর থেকে কালীঘাট পর্যন্ত মেট্রো সফর করি। এই সফর শেষে আমার কার্ডে ব্যালান্স ছিল ৩৪ টাকা। তার পর নানা কাজ সেরে ওই দিন বিকেলে বাসে চেপে দমদম মেট্রো স্টেশন পৌঁছে বরাহনগর যাওয়ার জন্য গেটে কার্ড ছুঁইয়ে ঢোকার চেষ্টা করি। কিন্তু দু’বার চেষ্টা করেও গেট খোলেনি। কারণটা নিশ্চয়ই ডিসপ্লেতে ভেসে উঠছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট গেটের ডিসপ্লের যা অবস্থা ছিল, তাতে কিছুই পড়া যায়নি। কর্তব্যরত রক্ষী আমাকে টিকিট কাউন্টারে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু সেখানে তখন বিপুল ভিড় থাকায় আর এগোইনি। পরের দিন যাওয়ার সময় আবার দমদম যেতে হয়। তখন টিকিট কাউন্টার কিছুটা ফাঁকা থাকায় কার্ডটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে দেখাই। কর্তব্যরত মহিলা আমাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তার পর কী সব দেখেশুনে আমায় জানান, কার্ডে মাত্র ন’টাকা ব্যালান্স পড়ে থাকায় গেট খোলেনি। এই শুনে আমি অবাকই হয়েছিলাম যে-হেতু আগের দিনই দেখেছিলাম ওতে ৩৪ টাকা ব্যালান্স ছিল। লাইনের বাকিদের অসুবিধা হওয়ায় আর কথা না বাড়িয়ে পুনরায় কার্ড রিচার্জ করাই।
দিনান্তে মেট্রো স্টেশনে ব্যালান্স দেখার যন্ত্রে কার্ডের লেনদেনের তালিকা যাচাই করতে গিয়ে জানতে পারি যে, কার্ড ‘আনলক’ করার জরিমানা বাবদ ২৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন, কার্ডটা ‘লক’ হল কী করে যে ‘আনলক’ করতে হল? কেটে নেওয়া এই ২৫ টাকা পূরণ হবে কী ভাবে?
সুগত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা-৫৬
কষ্টের সফর
ভারতীয় রেলব্যবস্থা ও সময়নিষ্ঠার সম্পর্ক যে কার্যত ব্যস্তানুপাতিক তা ফলাও করে বললে, অপমানের দায়ভার আদতে বর্তায় আমাদের উপরেই। পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারতে ট্রেন বিভ্রাট দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি আমি পরিবার-সহ বিশাখাপত্তনম থেকে ফিরছিলাম হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসে। বিশাখাপত্তনম থেকে ট্রেনটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় ভোর ৪টে ১৫ হলেও, সেটি ছাড়ে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। রাত সাড়ে বারোটায় ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট মারফত আমাদের জানানো হয় যে, সকলকে সাঁতরাগাছি স্টেশনে নেমে যেতে হবে। কারণ ট্রেনটি রাতে আর হাওড়া স্টেশন যাবে না। অথচ, সরকারি ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি বা ফোনে কোনও মেসেজও আসেনি। আন্দুল স্টেশনে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পর রাত দেড়টায় সাঁতরাগাছি পৌঁছয় ট্রেনটি। এতটা হয়রানি কেউই আশা করিনি, বিশেষ করে যেখানে সাঁতরাগাছি স্টেশনে মাঝরাতে কোনও যানবাহন পাওয়া খুবই দুষ্কর। সঙ্গে বয়স্ক ব্যক্তি থাকায় বাড়ে হয়রানির মাত্রাও। হাওড়াগামী শেষ লোকালটিও কাকতালীয় ভাবে সে দিনই বাতিল করা হয়। ক্যাব বুক করলেও তা মধ্যরাতে পাওয়া যায়নি। শেষে অন্ধকার স্টেশনটা থেকে বেরিয়ে অনেকটা হাঁটার পর একটা ট্যাক্সি মেলে। বলা বাহুল্য, তার ভাড়া ছিল আকাশছোঁয়া। নব নির্বাচিত সরকারের কাছে কি এটা প্রত্যাশিত? বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সাড়ম্বর উদ্বোধন বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত উন্নতি দেখিয়ে অসংখ্য ট্রেনের অব্যবস্থা ও যাত্রী-হয়রানি ঢাকা দেওয়া যাবে না। বন্দে ভারতের ব্যয়বহুল যাত্রার তুলনায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাত্রাপথ যাতে একটু কম ঝুঁকিপূর্ণ ও সুগম হয়, সরকারের সেটাই চেষ্টা করা উচিত।
লহরী বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-৩০
যন্ত্রে গোলযোগ
আমি ৭৬ বছরের এক জন প্রবীণ নাগরিক এবং হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অন্তর্গত বালির মোড়ের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। এক সময় এটি অন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ছিল। পরবর্তী সময়ে ব্যাঙ্ক দু’টিকে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুরনো ব্যাঙ্কের সময় পাসবই আপডেট করার কাজটা ব্যাঙ্কেরই কোনও কর্মী করে দিতেন। কিন্তু কয়েক বছর পূর্বে কাজটি ব্যাঙ্কের চৌহদ্দির বাইরে নিয়ে আসা হয়। ব্যাঙ্কের কাছেই বড় রাস্তার উপর তাদের এটিএম কিয়স্কের ভিতর আপডেট করার মেশিন বসানো হয়। এই মেশিনে গ্রাহকরা নিজেদের পাসবই নিজেরাই আপডেট করে নেবেন। কিন্তু বেশিরভাগ প্রবীণ মানুষই এ ব্যাপারে সড়গড় নন। তৃতীয় ব্যক্তির সাহায্য নিতে হয়। তবে এই তৃতীয় ব্যক্তিকে যে সব সময় পাওয়া যাবে, এমন নয়। তা ছাড়া মেশিনটিও প্রায়ই খারাপ হয়ে পড়ে থাকে, সারাতে সময় লাগে।
আর একটা বড় সমস্যা হল, মেশিনে পাসবই দিলেও বারকোড মিলছে না বলে অনেক সময় মেশিন সেটি ফিরিয়ে দেয়। তখন আবার নতুন বারকোড নিতে গ্রাহককে কিছুটা হেঁটে এসে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠতে হয়। কিন্তু এত কষ্ট করে উপরে উঠলেও বারকোড দেওয়ার লোকের অভাবে কাজটা না-ও হতে পারে। আবার দেখা গেল সব কিছু ঠিকঠাক চলল, কিন্তু কালির অভাবে প্রিন্টটাই অস্পষ্ট বেরোল। সুতরাং, পাসবই আপডেট করা নিয়ে গ্রাহকদের হয়রানির কোনও শেষ নেই। এই সমস্যার আশু সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তপন কুমার ভট্টাচার্য, ওলাইচণ্ডীতলা, হুগলি
পরিষেবা পাইনি
আমি ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর এক জন গ্ৰাহক। গত ২৫ এপ্রিল বিদ্যুতের লোড বৃদ্ধির (লোড এনহান্সমেন্ট) জন্য সংস্থার অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করি। এই সূত্রে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৭,৭৫৩ টাকা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লোড বৃদ্ধি করা হয়নি। আমি এক জন প্রবীণ নাগরিক। গত মার্চে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর ভাল করে চলাফেরা করতে পারি না। তবু একাধিক বার নবপল্লি সার্ভিস সেন্টারে স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। শুনেছি, যাঁরা নগদ টাকা দিয়ে আবেদন করেছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই লোড বৃদ্ধি করে দেওয়া হচ্ছে। আমি অনলাইনে টাকা দেওয়াতেই এই বিড়ম্বনা। এই বিষয়ে রাজ্যের কমপ্রিহেন্সিভ পাবলিক গ্রিভান্স মনিটরিং প্ল্যাটফর্মে মেল করে সব জানাই ২৬ জুন। এরও কোনও প্রত্যুত্তর পাইনি। জানি না কবে এর সুরাহা হবে।
সত্যজিৎ চক্রবর্তী, বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা
মূল্য হ্রাস
বর্তমানে সরকারি কিংবা বেসরকারি যে কোনও পরিষেবা পেতে একটা স্থায়ী ফোন নম্বর আবশ্যই প্রয়োজন। আর সেই সুযোগটাই বারংবার নিতে চাইছে টেলিসংযোগ প্রদানকারী কোম্পানিগুলো। শুরুটা হয়েছিল আবশ্যিক রিচার্জ প্ল্যান দিয়ে। আর এখন অন্য রিচার্জ প্ল্যানগুলোর সঙ্গে সেই আবশ্যিক রিচার্জ প্ল্যানের মূল্যও বেড়ে চলেছে। এখনও সবার হাতে ৫জি ফোন আসেনি। হাতেগোনা ৫জি ব্যবহারকারীদের জন্য সাধারণ প্ল্যানের মধ্যেই থাকছে সীমাহীন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। তবে সেই দায়ভার কেন বাকিদের কাঁধে চাপানো হবে?
অবিলম্বে আবশ্যিক রিচার্জ প্ল্যানের মূল্য কমাতে হবে।
রুবেল মণ্ডল, ত্রিমোহনী, মুর্শিদাবাদ
শক লাগছে
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেনগুলোর ডিসপ্লে বোর্ড, ফ্যানের সুইচগুলোতে হাত দিলে অনেক সময়েই ইলেকট্রিক শক লাগছে। শক লেগে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে। রেল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে ব্যবস্থা করুক।
অতীশ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা