‘দিলীপকে অস্ত্র উপহার, বিতর্ক’ (৫-১১) শীর্ষক খবর পড়লাম। উপহারের তালিকায় এটি বেশ অভিনব সংযোজন। রাজনৈতিক মিছিলে কেউ কেউ গোপনে অস্ত্র বহন করে থাকেন। বিজেপির রামনবমীর মিছিলে অবশ্য প্রকাশ্যেই অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যায়। অস্ত্র হাতে মিছিল করা আইনবিরুদ্ধ হলেও, ভয়ে বা ভক্তিতে রাজ্যবাসী তা মেনে নিয়েছেন। তাই বলে পুজোর উপহার তরোয়াল? বিজেপির রাজ্য সভাপতির পেশিশক্তির আস্ফালন দেখেই কি তাঁকে খুশি করতে এই উদ্যোগ? মা জগদ্ধাত্রীর সামনে অস্ত্র তুলে দিয়ে প্রকারান্তরে দেবীকে কি ছোট করা হল না? দেবীর হাতেও শঙ্খ, চক্র, ধনুর্বাণ রয়েছে। তিনি দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন করেন। পুজোর উদ্যোক্তাদের যে দেবীর উপর আস্থা নেই, এই ঘটনা থেকে তা পরিষ্কার। বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য চণ্ডী রায় মহাশয় আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবী দুর্গার সঙ্গে দিলীপ ঘোষের তুলনা করেন। তাতে দিলীপবাবুর মতো মানুষ গর্বিত হতে পারেন, কিন্তু এক জন নির্ভেজাল হিন্দু হিসেবে আমি লজ্জিত। অস্ত্রের এই ঝনঝনা থেকে ভারতবাসীকে মুক্ত করা প্রয়োজন।
নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ
নোনাচন্দনপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা
প্রাপ্য টাকা
আমি একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র থেকে সম্প্রসারক (শিক্ষক) পদে ১৩ বছর কাজ করার পর অবসর নিয়েছি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। প্রায় তিন বছর হতে চললেও, অবসরকালীন যে এক লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা, এখনও তা পাইনি। এ দিকে আমি আর্থিক অনটনে জর্জরিত।
শিবপ্রসাদ খাঁড়া
গরলগাছা, হুগলি
শিশির চক্বর্তী
অর্থ ফেরত
আমি ২০১৭-র এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি দফতর থেকে অবসর নিয়েছি। ওই বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি বিধিমতে অবকাশ-ভ্রমণের সুযোগ নিয়ে সস্ত্রীক বেড়াতে যাই ও ১ মার্চ ফিরে আসি। ৩ এপ্রিল আমার ভ্রমণব্যয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ-সহ প্রাপ্য অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসন আধিকারিকের কাছে যথারীতি দরখাস্ত পেশ করি, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যার প্রাপ্তি স্বীকার করতে রাজি হন না। মাননীয় আধিকারিককে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে একাধিক বার অবহিত করা সত্ত্বেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন না হওয়ায়, ঊর্ধ্বতন কর্তার কাছে দরখাস্ত দিই। গত বছর নবান্ন-এ গিয়েও কথা বলি। কিন্তু এখনও সেই অর্থ ফেরত পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
সুবীরকুমার গঙ্গোপাধ্যায়
রহড়া
বিল দিয়েছি
আমার বয়স এখন ৮৪। আমি প্রাক্তন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেলথ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত। যে-সব হাসপাতালে ক্যাশলেস স্কিমের সুবিধা আছে সেখানে আপাতত কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু যেখানে নিজ ব্যয়ে চিকিৎসার খরচ করার পর বিল জমা দিয়ে টাকা পাওয়া যায়, সেখানেই সমস্যা।
আমার স্ত্রীর কানের একটা শ্রবণযন্ত্র সরকারি নির্দেশানুসারে কিনে ৯-৫-২০১৯ তারিখে রেজিস্ট্রি যোগে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক মহাশয়ের কাছে সমস্ত বিল ভাউচার ও ডাক্তারবাবুর সার্টিফিকেট-সহ পাঠিয়েছিলাম। তার পর কয়েক বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও উত্তর মেলেনি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য দফতরে গিয়ে তাগাদা দিতে পারি না। সরকারি হেলথ স্কিমের নিয়ম, চিকিৎসা করালে বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও জিনিস কিনলে, তিন মাসের মধ্যে বিল জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই বিল জমা দেওয়ার কত মাসের মধ্যে সেই টাকা অবশ্যই মিটিয়ে দিতে হবে, তা কোথাও লেখা নেই।
সিদ্ধেশ্বর আচার্য
কালনা, পূর্ব বর্ধমান
শৌচালয়
ইটিন্ডা ফেরিঘাট বা ইটিন্ডা ঘাট অটো স্ট্যান্ড থেকে বসিরহাট ব্রিজে ওঠার আগে পর্যন্ত এই চার-পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার ধারে কোনও শৌচালয় নেই।
সাধন মণ্ডল
বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগনা
পুকুর বোজানো
হুগলি জেলার চণ্ডীতলার গরলগাছা গ্রামের একটি আস্ত শান বাঁধানো পুকুর বোজানো হল, ডাম্পারে করে মাটি এনে। পঞ্চায়েতে ও থানায় পুকুর বোজানোর বিরুদ্ধে আবেদন করলে, তারা বলেছে ওই পুকুরের জায়গায় রেকর্ডে আছে বাগান। বিএলআর অফিসে বহু মানুষের জমি অন্যের নামে রেকর্ড হয়েছে ও প্রকৃত জমির মালিক জানতে পারছেন, ওই জমি অন্য কেউ কিনে নিয়েছেন। আমার নিজের বাস্তুজমি অন্য এক জনের নামে ভুয়ো রেকর্ড হয়ে গিয়েছে, বিএলআরও অফিসে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ফেরত পেয়েছি। এই পুকুরটি কি আর ফিরে পাওয়া যাবে না?
শিবপ্রসাদ খাঁড়া
গরলগাছা, হুগলি
সুদ কমছে
2 চলতি বছরে টানা পাঁচ বার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোও তাদের বিভিন্ন আমানতের উপর সুদ কমিয়েছে। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো, এ বার থেকে মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রেও পরিবর্তনশীল (ফ্লোটিং) সুদের হার চালু হবে, যা এত দিন ঋণের ক্ষেত্রেই কেবল প্রযোজ্য ছিল। এ রকম চলতে থাকলে, বরিষ্ঠ নাগরিকেরা (পেনশনার ছাড়া), যাঁদের একমাত্র আয় ব্যাঙ্কের সুদ, তাঁরা কোথায় টাকা রাখবেন? দু’দিন পর ডাকঘরের সঞ্চয় প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রেও এ নিয়ম চালু হবে না, নিশ্চয়তা কোথায়?
পার্থসারথি রায়
কলকাতা-৯৭
মৌজা ম্যাপ
২০১৮ সালে আমার গ্রাম দুর্গাগ্রামের মৌজা ম্যাপের জন্য ডিএল অ্যান্ড এলআর অফিসে কোর্ট ফি-সহ নির্দিষ্ট বয়ানে দরখাস্ত করি। নির্দিষ্ট দিনে ম্যাপ আনতে গেলে, অফিস জানায়, ছাপা নেই, তাই পাওয়া যাবে না। দীর্ঘ এক বছর পর আবার কোর্ট ফি-সহ দরখাস্ত জমা করি। আবার আনতে গিয়ে শুনি, ছাপা নেই, তাই পাওয়া যাবে না। আমাদের মৌজার উপর দিয়ে পিবিসি ও পি-৭ ক্যানাল, করজগ্রাম বনকাপাসী পাকা রাস্তা রয়েছে। ফলে ও-সব জায়গায় সরকার কতটা জমি অধিগ্রহণ করেছে, জানতে পারছি না।
সুকান্ত দত্ত
দুর্গাগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান
বিদ্যাসাগর স্ট্যাচু
2 দমদম স্টেশনের বাসরাস্তায় নিউ মার্কেট প্রবেশদ্বারের লাগোয়া ডান দিকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানো হয়েছে। মূর্তি ঘিরে মোজ়াইক করে দেওয়াল বানানো হয়েছে। ওই ঘেরা জায়গাটার সামনেই প্রতি দিন প্রচুর আবর্জনা ফেলা হয়, যা বিদ্যাসাগরের সম্মানের পক্ষে হানিকর।
মৃত্যুঞ্জয় বসু
কলকাতা-৩০
কার্ড যোগ
আমার বয়স ৭৭ এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ভোট দিয়ে আসছি। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৯ সালেও ভোট দিয়েছি। অথচ এখন ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড যোগ করতে গেলেই কম্পিউটারে ফুটে উঠছে: অস্তিত্ব নেই। অসহায় লাগছে। এখন আমি কী করব?
শম্ভু প্রসাদ নাথ
বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা