Health Bill

মানুষের হাতেই ছাড়া যাক চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার

চিকিত্সা হোক বা শিক্ষা, বেসরকারি ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দৃঢ় হাতটাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। সন্দেহ নেই, নিতান্ত সাধারণ মানুষ যাঁরা, আমরা, দু’হাত তুলে আশীর্বাদ জানিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীকে।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৭ ০০:৫২
Share:

বিধানসভায়: স্বাস্থ্য বিল পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: প্রদীপ আদক।

চিকিত্সা হোক বা শিক্ষা, বেসরকারি ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দৃঢ় হাতটাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। সন্দেহ নেই, নিতান্ত সাধারণ মানুষ যাঁরা, আমরা, দু’হাত তুলে আশীর্বাদ জানিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীকে। নিয়ন্ত্রণহীন একটা জায়গায় পৌঁছে যেখানে আশার শেষ বিন্দুটুকুও অবশিষ্ট থাকে না, সেখানে সরকারের কঠোর মুষ্টি আমাদের মনে কিছুটা বল জোগায়, এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। অতএব বেসরকারি শিক্ষা ক্ষেত্রেও সরকারকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় আপাতদৃষ্টিতে বেশ গ্রহণযোগ্য ঠেকে।

Advertisement

কিন্তু মুশকিলটা হল, রাজা নলের শরীরে প্রবেশ করার জন্য কলির ক্ষুদ্র একটি ছিদ্রের প্রয়োজন ছিল। বেসরকারি তথা সামাজিক তথা পারিবারিক তথা ব্যক্তি মানসের ক্ষেত্রে সরকারি তথা শাসকের নিয়ন্ত্রণ যে কত দূর দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার সাক্ষী থেকেছে এই বিশ্ব, এই ভারত, এই রাজ্যও। সরকারি নিয়ন্ত্রণের বদলে যদি বাজারের সুষম প্রতিযোগিতায় সবাইকে আনা সম্ভব হয়, তবেই শ্রেষ্ঠ সমাধান সূত্রের দেখা পাওয়া সম্ভব। কারণ, সেখানে চূড়ান্ত পরীক্ষক তথা বিচারকের নাম গ্রাহক তথা ক্রেতা তথা নিতান্ত সাধারণ মানুষ।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার মানুষের হাতেই ছাড়া যাক। শাসকের নিয়ন্ত্রণ সাময়িক ভাবে হাততালির জোগান দিতে পারে, কিন্তু ডেকে আনতে পারে বৃহত্তর বিপদ। ইতিহাস তার সাক্ষ্য দেবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement