ফাইল ছবি
চলতি বছরেই বিশ্ব অর্থনীতি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, গরিব ও বড়লোক দেশের মধ্যে ফারাক বেড়ে গোটা বিশ্বে দরিদ্রের সংখ্যা বহুগুণ বাড়বে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আই এম এফ)।
আইএমএফ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত সমীক্ষায় একদিকে দ্রুত ছন্দে ফেরা বড়লোক দেশগুলির পাশাপাশি মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলির দ্রুত খারাপ হতে থাকা আর্থিক পরিস্থিতির অভিঘাত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বিশ্বের ৪০ শতাংশ এবং ২০২২-এর জুন মাসের মধ্যে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতেই হবে।
এই লক্ষ্যে পৌঁছতে ৩৭ লক্ষ কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি। দরিদ্র দেশগুলিতে টিকাকরণের হার কমের পিছনে ধনী রাষ্ট্রগুলিকে দায়ী করে আইএফএফ সব দেশকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই বিভাজনের মূল্য আগামী দিনে চোকাতে হবে সবাইকেই।
কোভিড-উত্তর বাজারে ঘুরে দাঁড়াতে যে পরিমাণ সম্পদের প্রয়োজন তা মধ্য আর নিম্ন আয়ের দেশগুলির নেই। শুধু টিঁকে থাকতেই যে ঋণের বোঝা তাদের ঘাড়ে চাপছে তা বহন করার ক্ষমতাও এই দেশগুলির নেই। আগামী দিনে বড় আর্থিক সঙ্কট কাটাতে তাই এই দেশগুলির ঋণের বোঝা কী ভাবে লাঘব করা যায় তাও খতিয়ে দেখতে ধনী দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে আই এম এফ।
এই সমীক্ষা বলছে, আয়ের পিরামিডের মাঝের এবং তলার দিকের দেশগুলি তাঁদের সমস্ত সম্পদ এই মুহূর্তে নিয়োজিত করেছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে। তাদের কোষাগারের যা হাল তাতে এর পর অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে যে সম্পদের প্রয়োজন তা জোগাড় করতে এই দেশগুলির কালঘাম ছুটে যাবে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে ধনী দেশগুলি যদি একজোট হয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে না আসে তা হলে আগামী দিনে বিশ্বে দরিদ্রের সংখ্যা বেড়ে লাগাম ছাড়া সমস্যা তৈরী হতে পারে বলে ইঙ্গিত এই সমীক্ষার।