গুজরাতের রাজনীতিতে কি দাদাগিরির সূচনা? নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল তো বন্ধু-স্বজনের কাছে দাদা বলেই পরিচিত। তিনি আধ্যাত্মিক গুরু দাদা ভগবানের অনুগামী। দাদা ভগবান বলে পরিচিত প্রয়াত শ্রীঅম্বালাল মুলজিভাই পটেল গুজরাতে অক্রম বিজ্ঞান আন্দোলন বা আত্মোপলব্ধির বিজ্ঞান আন্দোলন শুরু করেন। গুজরাতে চালু কথায় যাকে বিল্ডিং লাইন বলে, সেই আবাসন তৈরির ব্যবসায় যুক্ত ভূপেন্দ্র নিয়মিত আমদাবাদের দাদা ভগবান মন্দিরে যান। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে রাজভবনে যাওয়ার আগেও মন্দিরে যেতে ভোলেননি। শপথ নেওয়ার পরেও দফতরে দাদা ভগবানের মূর্তিতে মালা দিয়েছেন। দাদা ভগবান ছিলেন সুরাতের লোক। সেখানে এখন আম আদমি পার্টির মৌরসিপাট্টা। বস্ত্রশিল্পের মক্কায় গেরুয়া রং ফেরাতে পারবেন মোদী ঘনিষ্ঠ ভূপেন্দ্র?
গণেশ পুজোর আমন্ত্রণ
ত্রিপুরায় গোটা দিন বিজেপিকে তোপ দেগে এবং বিজেপির একাধিক কর্মীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এমন সময়ই গণেশ পুজোর আমন্ত্রণপত্র পাঠালেন সুনীল দেওধর, ২০১৮’য় ত্রিপুরায় বিজেপির সাফল্যের কান্ডারি! ত্রিপুরায় যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কোণঠাসা করে রেখেছেন বলে মত। বিজেপি নেতার দিল্লির বাড়ির পুজোয় উপস্থিত থাকতে না পারলেও ফুল, মিষ্টি, শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন কুণাল। ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে হটাতে যাঁরা সক্রিয় ভাবে মাঠে নেমেছেন, কুণাল তাঁদের অন্যতম। জানাচ্ছেন, “রাজনীতির বাইরেও একটা সৌজন্য সম্পর্ক থাকে। ওঁর সঙ্গে আমার বহু পুরনো যোগাযোগ।” তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনেই কুকুরপ্রেমী।
পাঁপড়ে খাজনা নেই
মোদী সরকারের মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল বলেছিলেন, ‘ভাবিজি’ ব্র্যান্ডের পাঁপড় খেলে কোভিড হবে না। মেঘওয়াল অবশ্য নিজেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বার শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন, গোল পাঁপড়ে জিএসটি বসে না, কিন্তু চৌকো পাঁপড়ে যে জিএসটি বসে, তা কি কেউ জানে? এর যুক্তি কী? কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ জানিয়েছে, পাঁপড়কে তুমি যে নামেই ডাকো, তা পাঁপড়ই। আর তার উপরে জিএসটি বসে না। সে তার আকার গোল হোক বা চৌকো!
অস্কার-স্মরণে
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে অর্গান বাজিয়ে শোনাতেন কংগ্রেস নেতা তথা সরকারের নিযুক্ত শান্তি-আলোচনার দূত অস্কার ফার্নান্ডেজ়। তাঁর মৃত্যুতে নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (মুইভা) শোক বিবৃতি প্রকাশ করল। ভারতীয় নেতার মৃত্যুতে এমন ঘটনা প্রথম। সংগঠনের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “২০০৬-এ নাগা-সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য অস্কার ফার্নান্ডেজ়ের আমস্টারডাম এবং ব্যাঙ্ককে আসার কথা আন্তরিক ভাবে স্মরণ করছি। তিনি ছিলেন সবচেয়ে উদারচেতা ভারতীয় রাজনীতিক।” ২০০৫-এ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ইউপিএ সরকারের পক্ষ থেকে এনএসসিএন-এর সঙ্গে কথা বলার মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করেন। নেতৃত্বে ছিলেন অস্কার।
স্মৃতিটুকু থাক
২৮ বছর ধরে কংগ্রেসের অন্দরমহলে তথা জাতীয় রাজনীতির ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল দিল্লির মাদার টেরিজ়া ক্রেসেন্টের ২৮ নম্বর বাংলো। এখানেই থাকতেন সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল। জরুরি অবস্থায় তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী হিসাবে প্রবল ক্ষমতাশালী বিদ্যাচরণ শুক্লরও বাস ছিল এখানে। তিন দশকে কংগ্রেসের নেতারা বুঝেছিলেন, ১০ নম্বর জনপথের কাছাকাছি পৌঁছতে মাদার টেরিজ়া ক্রেসেন্ট হয়ে যেতে হবে। কোভিডে আহমেদ পটেলের মৃত্যুর পরে বাবার জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে পরিবারের লোকেরা বাড়ি ছাড়লেন। পড়ে রইল স্মৃতি। শেষবেলায় বাড়ির লনে দাঁড়িয়ে আহমেদের মেয়ে মুমতাজ় বললেন, ‘অলভিদা’!
বিদায়ী: বাড়ির লনে মুমতাজ়
কবি নকভি
কবি হিসাবে যশাকাঙ্ক্ষী নন। কিন্তু বিজেপির সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির কলমের জোর ঘনিষ্ঠরা জানতেন। নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটা গান লিখলেন নকভি। গাইলেন সুদেশ ভোঁসলে। তারই পঙ্ক্তি— “নিউট্রিশন পর করো অ্যাটেনশন/ সহি পোষণ সে দেহ কো রোশন!”