সুস্মিতা দলেই থাকছেন, আর শিঙাড়াই খাচ্ছেন
সামোসা ও শিঙাড়ার মধ্যে ফারাক কী? এ নিয়ে বাঙালি রাজনীতিকদের সঙ্গে হিন্দি বলয়ের নেতাদের প্রায়ই তর্ক বাধে। তেমনই কংগ্রেসে কে রাহুল গাঁধীর বেশি ঘনিষ্ঠ, কে বেশি প্রিয়ঙ্কার, তা নিয়েও জোর বিতর্ক চলে।
ভোটের বাজারে জাতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেবকে নিয়ে এক দিন প্রবল জল্পনা— তিনি বোধ হয় দল ছাড়ছেন! কারণ? তাঁর আস্থাভাজনেরা অসমে টিকিট পাননি, সেই কারণে তিনি নাকি ক্ষুব্ধ! সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি দল ছাড়ছেন না।
তেমনই শিঙাড়াও ছাড়ছেন না। ভোটের প্রচারে বেরিয়েও শিলচরের বিখ্যাত শিলকুড়ির শিঙাড়া হাউসের শিঙাড়ায় কামড় বসাচ্ছেন। সুস্মিতার মতে, সেটাই বিশ্বের সেরা শিঙাড়া!
আস্বাদ: শিলচরের শিলকুড়ি শিঙাড়া হাউসে পছন্দের খাবারে মন দিয়েছেন সুস্মিতা দেব
ভাই-বোন
দাদা ছিলেন উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের আইএএস। বোন ছিলেন বিহার ক্যাডারে। আচমকা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সদ্য প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টা পি কে সিনহা বিতর্কে জড়াননি। মনমোহন জমানার মতো মোদী জমানাতেও ক্যাবিনেট সচিব ও পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রধান উপদেষ্টা থেকেছেন। বোন রশ্মি বর্মা মোদী জমানায় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বস্ত্র মন্ত্রকের সচিব থাকার সময় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে তাঁর সংঘাত বাধে। পর্যটন মন্ত্রকে বদলি হন রশ্মি। বছর দুই আগে পর্যটন মন্ত্রক থেকেই অবসর নিয়েছেন রশ্মি। দাদাও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিদায় নিলেন। তবে তাঁকে সাংবিধানিক পদে দেখা যেতে পারে, এমনটাই জল্পনা।
সাতে নেই, পাঁচে আছি
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রোহিনটন নরিম্যানের জীবনে পাঁচ সংখ্যাটি বার বার ফিরে আসে। সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চম বিচারপতি হিসেবে তিনি আইনজীবী থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়েছেন। আইনজীবী থেকে সরাসরি বিচারপতি হয়েছিলেন ইন্দু মলহোত্রও। তাঁর অবসরের পরে বিদায় সংবর্ধনায় নরিম্যান বললেন, “আমি শুধুই আইনজীবী থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়া পঞ্চম ব্যক্তি নই, আমি পার্সি সম্প্রদায়েরও পঞ্চম বিচারপতি। আমিই প্রথম পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের সামনে আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেছিলাম। সেই মামলাটি তালিকায় পাঁচ নম্বরে ছিল। বিচারপতি হিসেবেও প্রথম পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে বসতে হয়েছে আমাকে!”
রং দিয়ে যায় চেনা
উচ্চপদস্থ পুরুষ বিচারপতিরা আনুষ্ঠানিক সভায় আসেন গুরুগম্ভীর কোট-টাইয়ে। শার্টেও রঙের ছোঁয়া প্রায় থাকে না। সম্প্রতি এক রঙিন ব্যতিক্রম দেখা গেল। ভিডিয়ো মাধ্যমে ইন্দু মলহোত্রর বিদায় সংবর্ধনায় বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এলেন গোলাপি টি-শার্টে। উপস্থিত আইনজীবীদের উসখুস দেখে চন্দ্রচূড় বললেন, “আদালতসুলভ ধূসর, কালো, নীল, সাদার শেড পরার পর সিদ্ধান্ত নিলাম, অনুষ্ঠানের মানানসই রং বাছব। কারণ, মনে করাতে চাই যে, সংখ্যা দিয়ে বয়স মাপা যায়। কিন্তু হৃদয় এবং মন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা সংখ্যা দিয়ে মাপা যায় না।”
বাগিচা বিলাস
গুলাম নবি আজ়াদের ফুলের বাগানের শখ নতুন নয়। তিনিই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় শ্রীনগরের সিরাজ বাগে ইন্দিরা গাঁধী মেমোরিয়াল টিউলিপ বাগানের পরিকল্পনা করেছিলেন। তা এখন এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা দিল্লির সরকারি বাসভবনেও ফুলের বাগান করেছিলেন। তাঁর অবসরের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে সেই বাগানের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী কবে গুলাম নবির বাগান দেখতে গিয়েছিলেন, জানা নেই। তবে প্রশংসা শুনে শেষবেলায় সকলেই গুলামের বাড়ির বাগান দেখতে ভিড় করেছেন।
শোভা: দিল্লির বাড়ির বাগানে গুলাম নবি
কৃতজ্ঞ ভিভ রিচার্ডস
বিদেশনীতির নতুন শব্দবন্ধ ‘কোভিড কূটনীতি’। প্রচার চলছে, কোন দেশে কত টিকা গেল, কতটা সৌজন্য অনুদান। এ ক্ষেত্রে ব্যাট-বলের জোরে চিনকে হারাল সাউথ ব্লক। ক্রিকেট সংযোগে তৈরি শুভেচ্ছা এল ওয়েস্ট ইন্ডিজ় থেকে। কিংবদন্তি ভিভিয়ান রিচার্ডস ভারতীয় প্রতিষেধক পেয়ে টুইটে ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদীকে। রিচি রিচার্ডসন, জিমি অ্যাডামস প্রমুখ ক্রিকেটাররাও টুইট-কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ‘প্রাচীন ক্রিকেট ও নতুন ভারতের অনুরাগীদের’। যে ক্যারিবিয়ানরা ‘ক্রিকেট বা ভারতের সঙ্গে পরিচিত নন,’ তাঁদের তরফ থেকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁরা!