Delhi Diary

মার্গদর্শকের ভূমিকায় সুব্রহ্মণ্যন স্বামী

কংগ্রেস নেতারা বলেন, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা স্বামী মনে করেন, তিনি দেশের অর্থমন্ত্রী হলে অনেক ভাল কাজ করতেন।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:০১
Share:

বিতর্কিত: রামমন্দির রায়ের কৃতিত্ব তাঁর, বলছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যন স্বামী

সুব্রহ্মণ্যন স্বামীকে নিয়ে বিজেপি নেতারা মাঝে মাঝেই ফাঁপরে পড়েন। কখন যে তিনি বিজেপির পক্ষে, আর কখন যে বিরুদ্ধে, বোঝা দায়। জনতা পার্টির প্রাক্তন এই নেতা নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন রাজ্যসভার সাংসদ। কংগ্রেস নেতারা বলেন, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা স্বামী মনে করেন, তিনি দেশের অর্থমন্ত্রী হলে অনেক ভাল কাজ করতেন। সুপ্রিম কোর্টের রামমন্দিরের রায়ের পরে তিনি বলেছিলেন, বিজেপি বা মোদী সরকারের চেয়ে তাঁর কৃতিত্ব বেশি। তিনিই বার বার আদালতে ছুটেছেন। এখন আবার জিডিপি-র সঙ্কোচন নিয়ে তিনি অর্থ মন্ত্রকের কড়া সমালোচনা শুরু করেছেন। আশি বছরে পা দেওয়া স্বামীর যুক্তি, তিনি বিজেপির মার্গদর্শকমণ্ডলীতে নেই বটে, কিন্তু তাঁর বয়স যে হেতু ৭৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে, তাই তিনি বিজেপির মার্গদর্শন করার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন।

Advertisement

শুনানি ও সুখটান

Advertisement

হুঁকো নয়, গড়গড়া। লম্বা পাইপের এক প্রান্তে মুখ দিয়ে সুখটান। বাতাসে সাদা ধোঁয়ার আলপনা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাজীব ধবন তাঁর মেজাজের জন্য খ্যাত, গড়গড়ায় তামাক সেবনের প্রেমের জন্যও। আইনের বই বা মামলার নথি দেখতে দেখতে তিনি বরাবরই গড়গড়ায় সুখটান দিতে ভালবাসেন। এখন সুপ্রিম কোর্টের শুনানি চলছে ভিডিয়ো কনফারেন্সে। আইনজীবীরা বাড়ির চেম্বারে বসেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে সওয়াল করছেন। এক দিন দেখা গেল, ধবনের মুখের সামনে একখানি মামলার কাগজ, তার চার পাশ দিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সবাই বুঝতে পারলেন, সওয়াল করতে করতে অভ্যাসবশত গড়গড়ায় সুখটান দিয়ে ফেলেছেন ধবন। প্রশান্ত ভূষণের মানহানির মামলাতেও তিনিই সওয়াল করেছিলেন। এক টাকা জরিমানা দিয়ে মামলা শেষ হতেও ধবন গড়গড়ায় সুখটান দিলেন।

বিপাসনায় উৎসাহ

বিপাসনা— দিল্লির রাজনীতির জগতে নতুন শব্দ। বলা হয়, এই ধ্যান করলে মন শান্ত হয়। ঘটমান জীবনের সারবস্তু দেখতে পাওয়ার অন্তর্দৃষ্টি তৈরি হয়। কখনও অরবিন্দ কেজরীবাল, কখনও রাহুল গাঁধী বিপাসনা অভ্যাস করতে বেরিয়ে পড়েন। লোকসভা নির্বাচন বা দিল্লির নির্বাচনের পরে সময় পেলেই কেজরীবাল কখনও হিমাচলে, কখনও মহারাষ্ট্রে এই বিশেষ ধরনের ধ্যানের কোর্স করতে যান। রাহুল গাঁধী অতীতে কম্বোডিয়া বা তাইল্যান্ডে বিপাসনা করতে গিয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছে। এমনকি রাহুলের ‘কোর টিম’-এর সদস্য কে রাজুও সময় পেলেই ছুটি নিয়ে বিপাসনা অভ্যাস করতে যান। এর মধ্যে অর্থ মন্ত্রকের প্রিন্সিপাল আর্থিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যালের হাতে বিপাসনা বিষয়ে বই এসে পৌঁছেছে। সঞ্জীব আশা করছেন, একটু নিরিবিলিতে সময় পেলেই বইখানা পড়ে ফেলবেন। অর্থনীতি নিয়ে মোদী সরকারের যে ভাবে দুশ্চিন্তা বাড়ছে, তাতে আর্থিক উপদেষ্টাদেরও মন শান্ত রাখা প্রয়োজন বইকি।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

স্মৃতি: প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সনিয়া গাঁধী

প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সনিয়া গাঁধী তাঁর রাজাজি মার্গের বাসভবনে যেতে পারেননি। কিন্তু প্রণববাবু যখন অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির সেনা হাসপাতালে ভর্তি, সে সময় তিনি তাঁর কন্যা শর্মিষ্ঠাকে ফোন করে খবরাখবর নিয়েছেন। শুধু প্রণববাবুর নয়, শর্মিষ্ঠারও। প্রণববাবু হাসপাতালে ভর্তি বলে শর্মিষ্ঠা একাই রাজাজি মার্গের বাড়িতে ছিলেন। প্রণব-পুত্র অভিজিৎ থাকেন দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের বাড়িতে। শর্মিষ্ঠা বাড়িতে একা শুনে অস্থির হয়ে ওঠেন সনিয়া। শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন, তিনি সনিয়াকে বুঝিয়ে শান্ত করেন যে চিন্তার কারণ নেই। প্রণববাবুর প্রয়াণের পর সনিয়া শর্মিষ্ঠাকেই চিঠি লিখে শোক প্রকাশ করেছিলেন।

কফির সুগন্ধ

সুপ্রিম কোর্টে যেতে না পারলে বিচারপতিরা সবচেয়ে বেশি কী ‘মিস’ করেন? বিচারপতি ইন্দু মলহোত্রর উত্তর, সুপ্রিম কোর্টের জাজেস চেম্বারের কফি। করোনার জন্য বেশির ভাগ শুনানি বাড়িতেই হচ্ছে। কিছু বিচারপতি এজলাসে যাচ্ছেন। বাকিরা বাড়িতে বসেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি-তে যোগ দিচ্ছেন। আবার আদালতের এজলাসেই শুনানি শুরুর তোড়জোড় চলছে। বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, বিচারপতি কে এম জোসেফ তো কফি মাগ নিয়ে একেবারে তৈরি। বিচারপতি কে এম জোসেফের সহাস্য উত্তর, আসলে কফি লিভারের জন্য খুব ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement