দাড়ির দৈর্ঘ্য বাড়ছে। গোঁফেরও। সাজগোজে পরিপাটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাড়ি-গোঁফ বরাবরই নিখুঁত ভাবে ট্রিম করা থাকে। কিন্তু লকডাউনের সময়কালে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর দাড়ি ও গোঁফ, দুইয়ের দৈর্ঘ্যই বেড়েছে। মাথার পিছনে চুলও লম্বা হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে হাজির হয়েছিলেন। তার পরে যত বার তিনি টেলিভিশনের পর্দায় আবির্ভূত হয়েছেন, তত বারই দেখা গিয়েছে, ক্রমশ তাঁর দাড়ি লম্বা হচ্ছে। লকডাউন পর্বে প্রধানমন্ত্রী বাড়ির বাইরে বিশেষ বার হননি। আমপান-পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে বাংলা-ওড়িশায় গিয়েছেন। সম্প্রতি লাদাখে গিয়েছেন। লকডাউন ওঠার পরেও দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর দাড়ির দৈর্ঘ্য কমেনি। যার অর্থ, তিনি ক্ষৌরকারের সঙ্গে দূরত্ব রেখেই চলছেন। মোদী-ভক্তদের মধ্যে জোর জল্পনা, উনি কি এ বার দাড়ি আরও লম্বা করবেন? লম্বা দাড়িই রাখবেন? প্রসঙ্গত, রাহুল গাঁধীও লকডাউনের সময় একমাথা চুল নিয়ে ভিডিয়োতে উদয় হচ্ছিলেন। তবে লকডাউনের পরে দেখা গিয়েছে, তিনি চুল ছাঁটিয়েছেন।
গৃহবন্দি পর্ব
বিভিন্ন রাজ্যে সফর এবং মুখোমুখি বৈঠক শুরু হওয়ার জেরে, বিজেপি নেতাদের কোয়রান্টিন পর্ব শুরু হয়েছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জম্মু ও কাশ্মীর সফর শেষে ফিরে ঘরবন্দি হয়েছেন। কারণ, বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান রবীন্দ্র রায়নার কোভিড পজ়িটিভ ধরা পড়েছে। দলেরই অন্য এক সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব বিহার সফর সেরে গৃহবন্দি। কারণ বিহারে দলের এক অফিসকর্মীর কোভিড ধরা পড়েছে। যাদব গত সপ্তাহে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র বৈঠকে যোগ দিতে হাজির ছিলেন সংসদ ভবনে। প্রায় আধ ডজন বিজেপি সাংসদ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং তাঁরাও সবাই এখন কোয়রান্টিনে!
বাহার: চুল-দাড়ি-গোঁফ কি সযত্নে বাড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
অরুণ আলোয়
নজির গড়লেন প্রয়াত অরুণ জেটলির স্ত্রী সঙ্গীতা জেটলি। রাজ্যসভার কর্মীদের জন্য প্রয়াত মন্ত্রীর ‘ফ্যামিলি পেনশন’ দান করলেন। তাঁর অনুরোধে রাজ্যসভা সচিবালয় একটি নতুন কল্যাণমূলক প্রকল্প তৈরি করল— ‘শ্রী অরুণ জেটলি ফাইনানশিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর গ্রুপ সি এমপ্লয়িজ় স্কিম’। এই প্রকল্পের আওতায় কর্মীদের সন্তানদের বৃত্তিদান, চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সঙ্গীতা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন, প্রয়াত সাংসদদের পরিবারের জন্য পেনশন দেওয়ার পিছনে যে মহৎ ভাবনা রয়েছে, তাকে তিনি ছোট করতে চান না। কিন্তু তাঁর স্বামী প্রায় দু’দশক যে প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন, সেখানকার নিচু তলার কর্মীদের কল্যাণে এই অর্থ তিনি ব্যয় করতে চান।
স্মৃতি: যৌবনে সস্ত্রীক রাজেশ পাইলট
‘মিসেস গাঁধী’
রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখরের বাবা এম কে চন্দ্রশেখর ছিলেন বায়ুসেনার অফিসার। তাঁর কাছে বিমান চালানো শিখেছিলেন রাজেশ পাইলট। রাজস্থানের রাজনীতি যখন রাজেশ-পুত্র সচিন পাইলটকে নিয়ে তোলপাড়, তখন শিল্পোদ্যোগী রাজীব মনে করিয়ে দিলেন, সিলিকন ভ্যালি ছেড়ে তাঁর দেশে ফিরে আসার পিছনে রাজেশের কিন্তু বড় ভূমিকা ছিল। প্রয়াত রাজেশের তরুণ বয়সের ছবি টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলার সুযোগ ছাড়েননি। দাবি করেছেন, প্রায় ২০ বছর আগে রাজেশ তাঁকে মধ্যাহ্নভোজন করতে করতে গল্প করেছিলেন, সনিয়া গাঁধী চান, ইন্দিরার মতো তাঁকেও সকলে মিসেস গাঁধী বলেই সম্বোধন করুন। রাজেশ অবশ্য তাঁকে ‘সনিয়াজি’ই বলতেন।
কোন আনন্দে মিষ্টি
দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের দুর্গ সামলাতে ব্যস্ত। ঘাঁটি গেড়েছেন জয়পুরেই। এ দিকে তাঁর ছেলে ওজস্বীর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। পুত্রের ৯৭.৫% পাওয়ার আনন্দ সপরিবার উদ্যাপন করতে পারলেন না মাকেন। রাজনৈতিক সঙ্কটের আবহাওয়ায় মিষ্টি বিতরণ করেননি তিনি। জয়পুরে গহলৌতের শিবিরে কিন্তু মিঠাই খাওয়ানো হয়েছে অন্য কারণে। দলের বেশির ভাগ বিধায়ককেই বৈঠকে পাওয়া গিয়েছে, এই আনন্দেই নাকি খাওয়াদাওয়া!
অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী