Ram Vilas Paswan

সব তলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন বিপ্লব?

যে তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ঠান্ডায় পথবাসী পঞ্জাবের কৃষকেরা, সেই আইনের প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০১:১৪
Share:

সঙ্কটকাল: দলীয় নেতৃত্বের নাকি সুনজরে নেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব

প্যাঁচে পড়লে মুখ্যমন্ত্রীকেও উপর-নীচ করতে হয়! সম্প্রতি এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল রাজধানী। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব গত সপ্তাহে দিল্লি এসে সটান গিয়েছিলেন বিজেপি-র পার্টি অফিসে। দলের সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় নেওয়া ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা করার আগে ভবনের প্রত্যেকটি তলায় গিয়ে সাধারণ দলীয় কর্তা ও কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী! নমস্কার করে সৌজন্য বিনিময়ও করেছেন! বিজেপি শিবিরের গুঞ্জন, নেতৃত্ব মহা চটে রয়েছেন তাঁর উপর। কাউকে না জানিয়ে বিপ্লব তাঁর রাজ্যে জনসভা ডেকে বসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য ইউনিটের গোষ্ঠী-রাজনীতির জবাব দেওয়া। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খবর পেয়ে হস্তক্ষেপ করে, এবং শেষ পর্যন্ত বিপ্লবকে জনসভার আয়োজন বন্ধ করে দিতে হয়।

Advertisement

ব্যতিক্রমী মুখ

যে তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ঠান্ডায় পথবাসী পঞ্জাবের কৃষকেরা, সেই আইনের প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই, মনে যা-ই থাক, প্রকাশ্যে কৃষক আন্দোলনের বিরোধিতায় বিজেপি নেতারা। ব্যতিক্রম দলের এক গুরুত্বপূর্ণ শিখ মুখ— আর পি সিংহ। দিল্লির রাজেন্দ্র নগরের প্রাক্তন বিধায়ক। পঞ্জাবিতে টুইট করে চাষিদের জন্য সহানুভূতি ঢেলে দিয়েছেন তিনি। তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরামর্শ— দলের পক্ষ থেকে তাঁকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, তিনি নিজেও দলের কাছে আবেদন করেছিলেন যে, তাঁকে সিঙ্ঘু সীমানায় গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে বসে তাঁদের বোঝাতে অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু সেই টুইট অথবা আবেদনে কান দেয়নি বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

শুধুই কাকতালীয়?

এক বার দেখলে মনে হত, আদ্যিকালের সাদা অ্যাম্বাসাডর। পর ক্ষণেই মনে হত— বিদেশ থেকে আমদানি করা মিনি কুপার। তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কে ডি সিংহ এমনই নানা চোখ ধাঁধানো গাড়ি চেপে সংসদে আসতেন। চণ্ডীগড়ের বাসিন্দাদের কাছে কে ডি সিংহের কমলা ল্যাম্বরগিনিও অপরিচিত ছিল না। কে ডি-র অধিকাংশ গাড়িরই ‘মেকওভার’ হত ‘কার ডিজ়াইনার’ দিলীপ ছাবরিয়ার হাতে। দিলীপ বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের ভ্যানিটি ভ্যান থেকে যাবতীয় দামি গাড়ির ভোল পাল্টে দিতেন। কাকতালীয় বিষয় হল, ইডি কে ডি সিংহকে গ্রেফতার করার মাত্র দু’দিন আগেই বেআইনি কাজকর্মের জন্য তাঁর গাড়ির ডিজ়াইনার দিলীপকে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে কপিল শর্মা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর পছন্দমতো ভ্যানিটি ভ্যান তৈরি করে দেওয়ায় জন্য ৫.৭ কোটি টাকা নিয়েও দিলীপ তিন বছর ধরে ঘোরাচ্ছেন, এখন আরও বেশি টাকা চাইছেন।

শরিকরা কোথায়

মকর সংক্রান্তির আগের দিন সকালে ‘খরমাস’ বা অশুভ সময় শেষ হয়েছে। অশুভ সময় শেষ হওয়ার পরেই দেশে কোভিড প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচিও শুরু হচ্ছে। মকর সংক্রান্তির সঙ্গেই দিল্লির রাজনীতিকদের মধ্যে ফের এক পুরনো জল্পনা আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে— কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল ও সম্প্রসারণ। বিজেপি শিবিরের আশা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ সেরে ফেলবেন। বিশেষ রদবদলের প্রত্যাশা এখনই কেউ করছেন না। মূলত সম্প্রসারণেরই আশা করা হচ্ছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মন্ত্রিসভায় ঢোকার জন্য বহু দিন অপেক্ষা করছেন। অকালি দল, শিবসেনার এনডিএ ত্যাগের পরে সেই সব শরিক দলের নেতাদের হাতে থাকা মন্ত্রক বিজেপি নেতাদেরই সামলাতে হচ্ছে। রামবিলাস পাসোয়ানের প্রয়াণের পর মহারাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি ছাড়া আর কোনও শরিক দলেরই মন্ত্রী নেই।

সুখস্মৃতি: রামবিলাস পাসোয়ান

নতুন হাইকমিশনার

প্রজাতন্ত্র দিবসে কথা দিয়েও আসতে পারছেন না বরিস জনসন, অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে। যে দিন ব্রিটেন থেকে খবরটা এল, ঘটনাচক্রে ঠিক সে দিনই ঘোষণা করা হল অ্যালেক্স এলিস-এর নাম, ভারতে নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসাবে। ব্রাজিলে ব্রিটিশ দূত হিসাবে কাজ করেছেন তিনি, ভারতে প্রথম এসেছিলেন ৩৫ বছর আগে। এই দেশ তাঁর কাছে আদৌ অপরিচিত নয়। দায়িত্ব পেয়ে মহাখুশি এলিস টুইট করে জানিয়েছেন, “হিন্দিটা ঝালিয়ে নিতে হবে!” আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় আম, লস্যি এবং ক্রিকেটের ভক্ত তিনি।

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement