দীপাবলিতে দোকান সামলানো তাঁর কাজ
পশ্চিমবঙ্গের ভোট নিয়ে তিনি যতই ব্যস্ত থাকুন, ধনতেরস-দীপাবলির সময় কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের দেখা মিলবে ইনদওরে। তাঁর নন্দনগরের বাড়ির পাশে, নিজেদের মুদিখানায়। এক সময় কৈলাসের মা অযোধ্যাবাই এই মুদিখানা চালাতেন। পাড়ার লোক তাঁকে ‘কাকিজি’ বলে ডাকতেন। সেই থেকেই দোকানের নাম হয়ে গিয়েছে ‘কাকিজি কি দুকান’। রাজনীতির কারবারের কারণে হামেশা দিল্লি-কলকাতা করতে হয় বলে কৈলাস এখন আর দোকানে বসার সময় পান না। তবে, দীপাবলি-ধনতেরসের সময় ঠিক নিয়ম করে দোকানে বসার সময় বার করে ফেলেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দীপাবলির সময় দোকানে গ্রাহকদের ব্যাগে জিনিসপত্র ভরে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা। কৈলাসের কথায়, “গোটা বছরে বোধ হয় এই দীপাবলির সময়ই ২-৩ দিন সুযোগ মেলে দোকানে বসার। গ্রাহকদের জিনিসপত্র দেওয়ার। এর মাধ্যমে শান্তির চেয়েও অনেক বেশি কিছু পাওয়া যায়।” নন্দনগরের মানুষও ‘কৈলাসভাই’-কে দোকানে বসতে দেখলে ভিড় জমান।
ভিন্রূপে: ইনদওরের নিজেদের দোকানে গ্রাহক সামলাচ্ছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়
নীরব আস্থাভাজন
সদ্য কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত পবনকুমার বনশল তাঁর ছাত্রজীবনে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের সম্পাদক ছিলেন। প্রয়াত সুষমা স্বরাজও তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এক বার হরিয়ানায় বিরাট বিতর্ক প্রতিযোগিতা হবে। কিন্তু হিন্দি বিভাগের প্রধান সুষমার বদলে অন্য কাউকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুনে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে লড়তে গিয়েছিলেন বনশল। বললেন, সুষমা তো দু’বার প্রতিযোগিতা জিতে এসেছেন। তাঁর কথায় সুষমাকেই পাঠানো হয়। সুষমা তৃতীয় বার প্রথম পুরস্কার জিতে ফেরেন। ইউপিএ সরকারে বনশল যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তখন বিরোধী আসন থেকে বার বার সুষমা তাঁকে মনে করিয়ে দিতেন, কংগ্রেস নেতা যেন তাঁকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা না করেন। কারণ, তাঁরা একই অধ্যাপকের কাছে পড়ে এসেছেন। ভাগ্নের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় বনশলকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছিল। তার পর থেকে নীরবে চণ্ডীগড়ে কাজ করেছেন বনশল। চুপচাপ, নীরবে কাজ করবেন বলেই তাঁর প্রতি গাঁধী পরিবারের আস্থা, আর সেই কারণেই বনশলকে আহমেদ পটেলের পরে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন।
যমজ নড্ডা
তাঁর যে যমজ ভাই রয়েছে, কেউ কখনও জানত? ২ ডিসেম্বর ষাটে পা দিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। গোটা দেশ থেকে ফুল আর অভিনন্দন বার্তা পৌঁছেছে তাঁর কাছে। আর তিনি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন যমজ ভাই জে বি নড্ডা ওরফে জগৎ ভূষণ নড্ডা-কে! দু’ভাইয়ের হাতে ফুল নিয়ে ছবির সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা টুইট করেছেন বিজেপি সভাপতি। তাঁর ভাই পেশায় শিক্ষক। বিজেপি সভাপতি লিখেছেন, “সব ভাল জিনিসই জোড়ায় আসে। সবচেয়ে ভাল হল যমজ ভাই। হাসি আনন্দ সবই দ্বিগুণ। ভাই জগৎ ভূষণ নড্ডাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।’’
লক্ষ্য যখন বঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ফাস্ট বোলার ছিলেন। সংসদে আসেন স্করপিয়ো গাড়ি চালিয়ে। হায়দরাবাদে থাকলে তাঁর প্রিয় বাহন কালো এনফিল্ড মোটরবাইক। শেরওয়ানি-পাজামায় ছয় ফুটের আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বাইকে চেপেই হায়দরাবাদের আশেপাশে দাপিয়ে বেড়ান। এআইএমআইএম প্রধান ওয়েইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিহারের ভোটে বিজেপির হয়ে নেমে কংগ্রেস-আরজেডি-বাম জোটের ভোট কেটেছেন। এর পর তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটেও প্রার্থী দেবেন। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পড়ে আসা আসাদুদ্দিন হায়দরাবাদের পুরনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অবশ্য, ব্যস্ততা সত্ত্বেও সময় পেলেই জিম-এ ঢুকে পড়েছেন। বাংলার ভোটের জন্য কি গা গরম করছেন?
নেতা: সংসদে আসাদুদ্দিন ওয়েইসি
খাবার বয়কট
দিল্লি ঘেরাও করে কৃষক আন্দোলন শুরুর পরে সরকারের সঙ্গে কৃষক নেতাদের প্রথম বৈঠক বিজ্ঞান ভবনে। বৈঠকের মাঝে বিরতিতে চা, বিস্কুট, স্যান্ডউইচ। দেখে হাসতে হাসতে প্রবীণ কৃষক নেতা কুলবন্ত সিংহ সিধু কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে বললেন, ‘‘আমাদের প্রতিবাদের জমায়েতে সন্ধ্যায় দুধ, জিলিপি, চা, পকোড়া হচ্ছে। আপনি ওখানে চলুন। দুধ-জিলিপি খাওয়াব।’’ তোমর অবশ্য আমন্ত্রণে সাড়া দেননি। দু’দিন পরের বৈঠকে কৃষক নেতারাও সরকারের নুন খাননি। নিজেদের গাড়িতে করে লঙ্গরের রান্না করা খাবার নিয়েই বিজ্ঞান ভবনে হাজির হয়েছেন।
প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়