Delhi Diary

দিল্লী ডায়েরি

রাজনীতিকরা বলছেন, শঙ্করসিন বাঘেলা খোদ নরেন্দ্র মোদীর এক সময়ের রাজনৈতিক গুরু বলে কথা! বয়স হলেও তাই তেজ যায় না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০১:০৩
Share:

করোনাকে হারিয়ে, এ বার বয়সকেও টেক্কা

Advertisement

এখন আবার তিনি জগিং করছেন। জিমে ওজন তুলছেন। আর বলছেন, বডি ফিট+মাইন্ড ফিট= লাইফ হিট। সে সব দেখে কে বলবে, শঙ্করসিন বাঘেলার বয়স ৮০ ছুঁয়েছে। জুন মাসের শেষেই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে আমদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী ফোন করেছিলেন। এক সপ্তাহ পরেই ছাড়া পেয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। তার পরেই শরীরচর্চা শুরু করে দিয়েছেন। রাজনীতিকরা বলছেন, শঙ্করসিন বাঘেলা খোদ নরেন্দ্র মোদীর এক সময়ের রাজনৈতিক গুরু বলে কথা! বয়স হলেও তাই তেজ যায় না।

তেজিয়ান: জিমে নিয়মিত ওজন তুলছেন ৮০ বছরের শঙ্করসিন বাঘেলা

Advertisement

গম্ভীর কর্ণ

মহাভারতে কর্ণের রথের চাকা কাদায় আটকে গিয়েছিল। মোদীর ভারতে বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের গাড়ির চাকা বসে গেল আবর্জনার স্তূপে। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতিতে এসে গম্ভীর পূর্ব দিল্লির সাংসদ। তাঁর এলাকাতেই দিল্লির ‘ধাপার মাঠ’ গাজিপুর। সেখানে আবর্জনার পাহাড় কুতব মিনার ছঁুয়েছিল। আদালতের ধমকে আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা হয়েছে। পাহাড়ের উচ্চতা ৪০ ফুট কমেছে। উচ্চতা আরও কমানো যায় কী ভাবে, তা দেখতেই গম্ভীরের গাজিপুর যাত্রা। কিন্তু তাঁর রথ, থুড়ি, গাড়ির চাকা বসে যেতে আম আদমি পার্টির নেতাদের কটাক্ষ, ভিআইপি সাংসদ গরিব শ্রমিকদের দিয়ে গাড়ি ঠেলালেন। নিজের জুতোটিও নোংরা করলেন না।

শিল্পীর আবেদন

যোগেন চৌধুরীর সাংসদকালের মেয়াদ চলতি এপ্রিলে শেষ হল। দেশ তখন করোনা আতঙ্কে কাঁপছে। চলছে লকডাউন। তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক ভাবেই দিল্লি এসে কাগজপত্র জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে চিঠি গিয়েছে। তাঁকে জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্বম্ভর দাস মার্গের বাড়িটি ছাড়তে বলা হয়েছে। ৮১ বছরের প্রবীণ শিল্পীর পক্ষে সংক্রমণের মধ্যে কলকাতা-দিল্লি যাতায়াত এবং বাড়ি খালি করা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন তাঁর চিকিৎসকেরা। তাই চিঠি দিয়ে এই মুহূর্তে দিল্লি যাওয়ার অপারগতা সম্পর্কে জানিয়েছেন শিল্পী। স্বাস্থ্যের কথা জানিয়ে আরও দু’মাসের এক্সটেনশন-এর আবেদন করেছেন তিনি।

মিষ্টিমুখ

বাংলার দায়িত্ব পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে আনাগোনা বেড়েছে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র। তৈরি হয়েছে নতুন শখ। তা হল মিষ্টি দই। কৈলাশ এমনিতেই নিরামিষাশী। তাই বাংলা গেলেই মিষ্টি দই চাখা চাই। আগামী বছরে বঙ্গ বিজয় কী ভাবে হবে, তার রণকৌশল ঠিক করতে গত সপ্তাহে দিল্লিতে বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কৈলাশ। দুপুরে খাওয়া দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিরামিষ পদ রান্না হলেও, চিত্তরঞ্জন পার্কের মিষ্টি দই প্রায় প্রতি দিনই পাতে পড়েছে কৈলাশ-সহ বাকিদের। সঙ্গে বাঙালির মিষ্টিও।


তাঁহাদের কথা

প্রথম পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান দেশের মাটি ছুঁয়েছে। সঙ্গে ফিরে এসেছে মোদী সরকারের দুই প্রয়াত প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্মৃতিও। অরুণ জেটলি ও মনোহর পর্রীকর। জেটলি মোদী সরকারের প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে ছিলেন। পর্রীকরের আমলেই রাফাল কেনার সিদ্ধান্ত। রাফাল চুক্তিতে যখন দুর্নীতির অভিযোগ তুঙ্গে, জেটলিকে মোদী সরকারের হয়ে সংসদে সওয়ালও করতে হয়েছিল। দেশে রাফাল পৌঁছনোর পরে জেটলির পুত্র রোহন বাবার সেই বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা জবাবের ভিডিয়ো স্মৃতি হাতড়ে বের করেছেন। পর্রীকরকে নিয়ে ফেসবুক-টুইটারে মিম ভাইরাল হয়েছে। আকাশে রাফাল উড়ছে। মেঘের মধ্যে থেকে দেখছেন পর্রীকর!

শ্রদ্ধা: সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্রীকর-স্মরণ

গোয়েন্দার অবসর

তিনি তামিল জানেন। তাই পি চিদম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর ডিএসপি পার্থসারথিকে। কারণ সিবিআই হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বা আদালতে গিয়ে কার্তি আইনজীবীদের সঙ্গে তামিলে কী শলাপরামর্শ করছেন, তা অন্য অফিসাররা বুঝতে পারতেন না। প্রায় ৪০ বছর চাকরির পরে অবশেষে সিবিআই থেকে অবসর নিলেন পার্থসারথি।

অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী,

অনমিত্র সেনগুপ্ত

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement