দিল্লি ডায়েরি

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, এ বার মোদীর মেদিনীপুরের জনসভার, এমনকি শান্তিনিকেতনে দেওয়া বক্তৃতার বাংলা অংশগুলো তৈরিতে প্রধান ভূমিকা বাবুলের।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০০:০০
Share:

শুধু টাইপই নয়, ভয়েস রেকর্ডও করে দেন

Advertisement

নরেন্দ্র মোদীর পশ্চিমবঙ্গের জনসভায় বাংলা বক্তৃতাংশ তৈরি করার প্রধান দায়িত্ব এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের! প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, এ বার মোদীর মেদিনীপুরের জনসভার, এমনকি শান্তিনিকেতনে দেওয়া বক্তৃতার বাংলা অংশগুলো তৈরিতে প্রধান ভূমিকা বাবুলের। মোদী অবশ্য তাঁর বক্তৃতা নানা দিক থেকে বিশ্লেষণ করেন, নানান সূত্রে আগাম ফিডব্যাক নেন। তবে বাবুলের বাংলা ইনপুট তিনি পছন্দ করছেন, কারণ বাবুল শুধু স্পষ্ট ও বড় বড় টাইপ করেই লিখে দেন না, সেগুলো ভয়েস রেকর্ডও করে দেন। তাও আবার দুটো কপি, একটা ধীরে ধীরে পাঠ, অন্যটা আস্তে আস্তে। মোদী সেটা শোনেন, নিজের মতো করে রিহার্সালও দেন। নির্বাচন এগিয়ে আসছে, এখন সব ভাষাতেই এই ব্যবস্থা চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী, শোনা যাচ্ছে।

সহায়: বাবুল সুপ্রিয় ও নরেন্দ্র মোদী

Advertisement

দিদি আমায় খুব

শাহরুখ খান দিল্লির ছেলে। কিন্তু আজকাল দিল্লি আসেন খুব কম, এলেও কখনও বিজেপি শিবিরে তাঁকে দেখা যায় না। বরং ঘন ঘন আসেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কার কাছে। কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্ল শাহরুখকে ডেকে তাঁর ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন। সেই প্রাইভেট শো-এ থাকেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কাও। এর আগে এসেছিলেন অরুণ জেটলির মেয়ের বিয়েতে, এ বার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তাঁর বাসভবনে সম্প্রতি নৈশভোজে নিয়ে এলেন শাহরুখকে। ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ আরও ক’জন মন্ত্রী। নিশিকান্ত দুবে ও রাজীব শুক্ল, দু’জনেই মুকেশ অম্বানীর ঘনিষ্ঠ। জল্পনা চলছে, এটা কি বিজেপির কাউন্টার অপারেশন? পার্টিতে অবশ্য শাহরুখ বিজেপি নেতাদের সামনেই ‘দিদি’র প্রশংসা করতে ভোলেননি: ‘‘দিদি আমায় খুব ভালবাসেন।’’ যতই হোক, ‘বাংলা’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তিনি!

প্রচারবিহীন

সংসদ সদস্যরা তাঁদের তহবিলের টাকা খরচ করেন নিজেদের নির্বাচন কেন্দ্রে নানা কাজে। পরিমাণ বছরে ৫ কোটি। রাজ্যসভা সদস্যরা কিন্তু দেশের যে কোনও প্রান্তে কাজে খরচ করতে পারেন। বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ, কিন্তু তিনি উন্নয়নের টাকা খরচ করছেন পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায়। দু’বছরে ১০ কোটি টাকা খরচ করেছেন বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে। বিজেপি রাজ্য নেতারা তাঁর ঔদার্যে খুব খুশি। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই কি এই টাকা খরচ হচ্ছে? জেলাশাসকদের নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই স্বপনবাবুর। তাঁর মত, প্রচার করছেন না বলে কোনও ঝামেলাও নেই। ‘রাজনীতি’ নেই, শুধুই ‘বিকাশ’।

অমিতে-পীযূষে

‘‘আপনাকে আর কী বলব? আপনি তো আমার বাবার সঙ্গে কাজ করেছেন’’, অমিত মিত্রকে জড়িয়ে ধরে হাসতে হাসতে বললেন পীযূষ গয়াল, জিএসটি নিয়ে দিল্লির বৈঠকে। অরুণ জেটলির সঙ্গেই এত দিন দর কষাকষি করতেন অমিত, পীযূষ অর্থ মন্ত্রকে আসার পর এই প্রথম তিনি অমিতের মুখোমুখি। পীযূষের বাবা বেদপ্রকাশ গয়াল বাজপেয়ী সরকারের জাহাজ মন্ত্রী ছিলেন। তখনই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অমিতের। পীযূষ সে কথা জানতেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই অর্থমন্ত্রীর দেখা হল, আড্ডাও। পীযূষের এক দাদা অমিতবাবুর সহপাঠী ছিলেন। নানান পুরনো সূত্র ধরেই নতুন বন্ধুত্ব।

আপনি আচরি

তিনি চাষের নীতি তৈরি করেন। তা বলে কি চাষ করতে মানা? মোটেই না। নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদ শুধু চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার কৌশল লিখেই ক্ষান্ত হন না। নিজের পঞ্জাবের খামারে চাষ করেন। কোন ফসল কী ভাবে চাষ করলে লাভ হবে, তা নিয়ে মাথা ঘামান। এ বছর যেমন ধানের বদলে ভুট্টা চাষ করে বাজিমাত করেছেন। তাঁর জমিতে ফসলের ছবি দেখে ধন্য ধন্য করছেন নীতি আয়োগের বাকি কর্তারা। রমেশ নিজেও খুশি। কারণ তাঁর খামারের চাষিদের মুনাফা হয়েছে। মুখে ফুটেছে হাসি।

আনন্দে: চাষ করি। রমেশ চাঁদ

আর নয়

সুনীল দত্তের মেয়ে প্রিয়া এ বার আর লোকসভা ভোটে লড়তে চান না। রাজনীতিতেই এখন তাঁর তীব্র অনীহা। বান্দ্রার আসনে আসলে এ বার লড়তে চান কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য, এলাকার ‘স্ট্রং ম্যান’ হোসেন দলবাই। মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালা এবং নানা স্তরের শ্রমিকদের নেতা তিনি। রাজনীতি না করে ‘সঞ্জু’র বোন এখন শুধু সমাজসেবাই করতে চান।

জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement