উঁচুতে চোখ রাজস্থানের ‘স্পোর্টসম্যান’-এর
দৌড়ে: জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। দৌড়চ্ছেন ‘দ্য গ্রেট গঙ্গা রান’-এ
প্রত্যাবর্তন
দিল্লি-১। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে সুপ্রিম কোর্টের পিন কোড তেমনটাই হওয়া উচিত। কিন্তু হাজার হোক, দেশের শীর্ষ আদালত বলে কথা। কাতারে কাতারে চিঠি, বিচারপতিদের কাছে নানা আর্জি, আইনজীবীদের নামেও— সরকারি, বেসরকারি। লক্ষ লক্ষ মামলা। চিঠিও আসে কোটি কোটি। ডাক বিভাগ তাই শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের জন্যই আলাদা পিন কোড ঠিক করে দিয়েছিল— দিল্লি-২০১। ছ’বছর ধরে সেই ব্যবস্থাই চলছে। কিন্তু অনেক মানুষই তা জানেন না। তাঁরা এখনও সুপ্রিম কোর্টে চিঠি লেখেন সেই দিল্লি-১ ঠিকানাতেই। তাতে চিঠি বিলি করতে সমস্যা হয়। অগত্যা ডাক বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টকে আগের পিন কোডই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তাই দিল্লি-১, এই ঠিকানাই হবে শীর্ষ আদালতের।
যে যেমন
সামনেই মহারাষ্ট্রের নির্বাচন। বিজেপি নেতৃত্ব প্রায় নিশ্চিত, কংগ্রেস-এনসিপি জোট তেমন কোনও চ্যালেঞ্জই ছুড়তে পারবে না এ বার। ফের বিজেপি-শিব সেনার জোটই ক্ষমতায় আসবে। তা বলে কি ‘হোমওয়ার্ক’ বন্ধ থাকবে? অমিত শাহের জমানায় অন্তত তা হওয়ার নয়। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত মরাঠা ইতিহাস পড়ছেন। বোধ হয় প্রচারের সময় সেই পড়াশোনা কাজে লাগাবেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বিজেপি বসিয়েছিল ব্রাহ্মণ নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসকে। দেবেন্দ্র রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করছেন। দেবেন্দ্র নিজে অবশ্য ইতিহাস নয়, হিন্দি সিনেমার গানের ভক্ত। অন্তত দু’হাজার হিন্দি গান স্মৃতি থেকে গাইতে পারেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন।
অবসরে
প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র। সীতাংশু করের থেকে বেশি দিন আর কেউ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্রের পদে থাকেননি। সেই রেকর্ড গড়ার পর সীতাংশু অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো-র ডিজি (নিউজ়) পদে যোগ দেন। তার পর থেকে তিনিই মোদী সরকারের প্রধান মুখপাত্র বা প্রেস ইনফর্মেশন বুরো-র প্রিন্সিপাল ডিজি-র পদে। অবসরের পরেও তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। অবশেষে সরকারি পদ থেকে অবসর নিলেন সীতাংশু। তাঁর পদে সরকারের নতুন প্রধান মুখপাত্র কে এস ধাতওয়ালিয়া। ভুবনেশ্বরের সীতাংশুর ভালবাসা ফোটোগ্রাফি।
ফৌজি বলে কথা। তাঁর মতো স্পষ্ট কথা খুব কম লোকেই বলতে পারেন। প্রবীণ হলে কী হবে, কংগ্রেসের মধ্যে তিনি সব সময়ই নবীন নেতৃত্বের পক্ষে। রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার পরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহই প্রথম বলেছিলেন, শীর্ষ পদে নবীন নেতা দরকার। নিজের অপছন্দের লোক নভজ্যোত সিংহ সিধুকেও রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য করেছেন। এ-হেন অমরিন্দর অবসর সময়ে ডাস্টি, চিঙ্কিচু, রোজ়ি ও টাইসনদের সঙ্গেই খেলতে ভালবাসেন। চার পোষা কুকুর। ডাস্টি ল্যাব্রাডর, চিঙ্কিচু পমেরিয়ান, রোজ়ি ও টাইসন জাতে মাউন্টেন ম্যাস্টিফ।