একই মুখ দেখতে আর কত ভাল লাগে
রাষ্ট্রপতি ভবনের লাগোয়া নর্থ অ্যাভিনিউতে সদ্য তৈরি হওয়া ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল ৩৬টি নতুন ভিলা এখন সাংসদদের প্রিয় গন্তব্য। সংসদের ভিতরে ও বাইরেও ওই ভিলাগুলো নিয়েই জোর আলোচনা। তবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদারেরা এখানে বাড়ি পেলেও, প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন শতাব্দী রায়! বেসমেন্ট-এ দুটো গাড়ি রাখার জায়গা, বিরাট ঝাড়লণ্ঠন, অত্যাধুনিক মডিউলার কিচেন, কাঠের মেঝে, সেন্সরওলা বাথরুম, দুর্দান্ত বাগান থাকা সত্ত্বেও স্বপ্নের এই বাড়ি টানছে না তৃতীয় বারের সাংসদকে। কারণ, ওখানে ‘উঠতে সাংসদ, বসতে সাংসদ, লিফটে সাংসদ, বারান্দায় চা খেতে গেলে উল্টো দিকে সাংসদ!’ এর আগেও তিনি সাংসদদের পুরনো আবাসন (যেখানে দীর্ঘ দিন থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পেয়েও ওই একই কারণে ছেড়েছিলেন। শতাব্দী থাকেন পান্ডারা পার্কের এক নির্জন মহল্লার বাড়িতে। সেখানে আশেপাশে বিভিন্ন পেশার লোক। বললেন, ‘‘গোটা দিন সাংসদদের সঙ্গে কাটানোর পরেও বাড়ি ফিরে একই মুখ দেখতে ভাল লাগে, বলুন! একটু প্রাইভেসিরও তো প্রয়োজন।’’
শতাব্দী রায়
অচেনা অতিথি
‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ফারহান কুরেশিকে মনে আছে? হাতে গোনা কয়েকটা হিন্দি সিনেমা করলেও, আর মাধবনের জনপ্রিয়তা শুধু দক্ষিণ ভারতের গণ্ডিতে বাঁধা নেই। তবু স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘অ্যাট হোম’ অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখে অনেকেই অবাক। সঙ্গে তামিল ছবির আর এক বিখ্যাত অভিনেত্রী গৌতমী। কিছু দিন আগেই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে কৃষ্ণ-অর্জুনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন রজনীকান্ত। কিন্তু বিজেপি বহু চেষ্টা করলেও রজনী এখনও সরাসরি রাজনীতিতে নামার ইচ্ছে দেখাননি। কমল হাসন বিজেপি-বিরোধী রাজনীতি করছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে মাধবন-গৌতমীকে দেখে তাই কৌতূহল তুঙ্গে। বিজেপি কি তামিলনাড়ুতে শিকড় গাড়তে রুপোলি পর্দার দুই নায়ক-নায়িকাকে মাঠে নামাতে চলেছে!
রাষ্ট্রপতি ভবনে মাধবন
বই-বাজারে না
বেস্টসেলার উপন্যাস প্রতি কেজি ১০০ টাকা। দিল্লির বইপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ ছিল রবিবারের পুরনো দিল্লির পুরনো বইয়ের বাজার। দরিয়াগঞ্জের বই-বাজারের আয়ু নয়-নয় করে ৫০ বছর। জামা মসজিদের কাছেই সে সময় ছিল দিল্লির সবচেয়ে বড় মাছের বাজার। সেখানে পুরনো জামাকাপড়, আসবাবের বাজারের মধ্যে প্রায় জোর করেই ঢুকে পড়েছিলেন জনা তিনেক পুরনো বইয়ের ব্যবসায়ী। স্কুটারে সপ্তাহভর নানান পাড়ায় পুরনো বই জোগাড়, রবিবার দরিয়াগঞ্জের ফুটপাতে ঢেলে সাজানো। শেষ হিসেবে ২৭৬ জন ব্যবসায়ী বই বেচতে আসতেন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে নেতাজি সুভাষ মার্গে বন্ধ হয়ে গেল বই-বাজার। আদালতের নির্দেশ, গাড়ির গতিতে বাধা দিয়ে বইয়ের পসরা চলবে না। বইপ্রেমীদের মন খারাপ। অন্য জায়গার খোঁজ চলছে এখন।
মনোহরণ
প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পছন্দ করতেন বলে শোনা যেত। অল্প দিনের মধ্যে সরকারের ‘নাম্বার টু’ অমিত শাহ-ও তাঁর কাজের দক্ষতায় খুশি বলে শোনা যাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব থাকার সময় রাজীব গউবা রাজ্যে শ্রম আইন সংস্কারের মতো সাহসী কাজ করেছিলেন। মাওবাদী হিংসা অনেকটাই কমিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে তিনি নিখুঁত ভাবে অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদ করার প্রশাসনিক কাজ সেরে ফেলে বাজিমাত করেছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব থেকে ক্যাবিনেট সচিবের পদে উত্তরণের পিছনে সেটাই রাজীবের প্রধান সিঁড়ি হয়ে উঠেছে। আমলা মহলে গুঞ্জন, পদোন্নতির জন্য এখন শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, অমিত শাহের মন জয়ও যে প্রয়োজন, তা-ও স্পষ্ট!
উত্তীর্ণ: রাজীব গউবা
নতুন ঠিকানা
বিশ্বের প্রথম পরিবেশবান্ধব বা ‘গ্রিন’ ভবন। দিল্লির নতুন ‘গরভি গুজরাত ভবন’ নিয়ে এমনই দাবি গুজরাত সরকারের। রাজ্যের নতুন অতিথিশালা তৈরি হয়েছে আকবর রোডে, কংগ্রেস দফতরের ঠিক উল্টো দিকে। ১৩১ কোটি টাকা খরচে তৈরি এই ভবনে সৌরশক্তির ব্যবস্থা রয়েছে। থাকবে যোগ কেন্দ্র, জিম, লাইব্রেরি, রেস্তরাঁ, স্যুভেনির শপ, একাধিক প্রেক্ষাগৃহ। ২ সেপ্টেম্বর ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা। সেই উপলক্ষে অদূরে বিজ্ঞান ভবনে চলবে গুজরাতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।