বিস্তর টানাপড়েন শেষে নারদ তদন্তের প্রথম পর্বের উপর যবনিকাটা পড়ল। স্টিং ভিডিওর ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ক্রমে অন্ধকারের গর্ভগৃহে যেন তলিয়ে যাচ্ছিল গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআরটুকু অন্তত হল।
একসঙ্গে এক ডজন নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী-সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে দুর্নীতির মামলায়। নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়, বেনজির পদক্ষেপ করেছে সিবিআই। একসঙ্গে এত জন রাজনীতিক অভিযুক্ত হচ্ছেন একটি দুর্নীতির মামলায়, এমন পরিস্থিতি বাংলায় তো বটেই, ভারতেও বিরল। অতএব তৃণমূল যে প্রভূত অস্বস্তির মুখোমুখি, সে নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়ার বার্তা দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ তুলেছেন, রাজনৈতিক ভাবেই এর মোকাবিলা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। অতএব নারদ কাণ্ডকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যে এক নতুন আবর্ত তৈরি হয়ে গেল, তা বেশ স্পষ্ট।
বাংলার রাজনীতি কিন্তু আজ এক সম্পূর্ণ নতুন বাঁকে। যুদ্ধটা স্বচ্ছতা বনাম দুর্নীতির, নাকি রাজনীতি বনাম রাজনীতির, বিতর্ক এখন তা নিয়েই। তবে যুদ্ধে হার বা জয় হবে শুধু বাংলারই।