Coronavirus

তৃতীয় দিনে হাজার ছাড়াল টিকাদান

মুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা প্রতিদিনই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি

প্রথম দু’দিন লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিনে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছল মুর্শিদাবাদ জেলা। মঙ্গলবার জেলায় ১৩ টি প্রতিষেধক কেন্দ্রে ১৩০০ জনের প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গিয়েছে জেলায় ১১২০ জনের করোনার প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা প্রতিদিনই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করছি। এদিন প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছিয়েছি।’’
সোমবারও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩০০জন, সেখানে ৬১৫ জনকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় দিনে একধাপে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব হল?

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালের আপডেট অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, আগে থেকে পোর্টালের মাধ্যমে যাঁদের মোবাইলে এসএমএস যাচ্ছিল একমাত্র তাঁদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়া যাচ্ছিল। পোর্টালে নাম থাকলেও এসএমএস না গেলে প্রতিষেধক কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিষেধক নিতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার থেকে পোর্টালের সেই ব্যবস্থার সরলীকরণ করা হয়েছে। কারও পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশন থাকলে আগে থেকে এসএমএস না গেলেও প্রতিষেধক কেন্দ্র গেলে সঙ্গে সঙ্গে এসএমএস পাঠিয়ে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে। যার জেরে যাঁদের আগে থেকে এসএমএস যায়নি, অথচ প্রতিষেধক কেন্দ্রে গিয়েছেন তাঁদের এদিন প্রতিষেধক দেওয়া গিয়েছে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার কারণে এসএমএস পেয়ে কেউ কেউ যেমন অনুপস্থিত থেকেছেন। আবার এসএমএস না পেলেও প্রতিষেধক কেন্দ্রে গিয়ে এসএমএস পাঠিয়ে প্রতিষেধক
দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনার সঙ্গে লড়াইতে প্রথম সারিতে থাকা সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স, সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কথা। সেই মতো মুর্শিদাবাদের ৩৫ হাজার ৩৯৫ জনের নাম প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে ইন্ট্রি করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে তাঁদের জন্য ৩৭ হাজার ৫০০ কোভিড ডোজ জেলায় এসেছে। শুরু থেকেই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রতিষেধক কম হচ্ছিল। ড্রাগ অ্যালার্জি থাকলে বা কেউ গর্ভবতী কিংবা কারও সন্তান বুকের দুধ খায় এমন কাউকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement