‘ভবিষ্যতে আমার যিনি শাশুড়ি হবেন তিনি যে ভাবে মনে করবেন সে ভাবেই দিনটা পালন করবেন’
এই মুহূর্তে ‘চুনীপান্না’ ধারাবাহিকের জন্য বাড়িতেই জামাইষষ্ঠীর দৃশ্য শুট করছি। খুব আয়োজন করে শুট করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও আমার ফ্যামিলি এবং আবাসনের প্রতিবেশীরা সবাই সাহায্য করছেন। তবে আমার মনে হয় না বাস্তবেও জামাই ষষ্ঠী পালন করা সম্ভব হবে। কারণ এই লকডাউন, তার উপর আমপান সব বন্ধ করে দিয়েছে। ভার্চুয়ালি ভিডিও কলে জামাই ষষ্ঠী হতে পারে।
এর আগে ‘জয়ী’ ধারাবাহিকের জন্য জামাই ষষ্ঠী শুট করেছিলাম। তখন আমার বয়স উনিশও হয়নি। ওই বয়সে জামাই সেজে জামাই ষষ্ঠী পালন করতে খুব মজা পেয়েছিলাম। সিরিয়ালে যে কোনও অনুষ্ঠান বেশ জমিয়েই দেখানো হয়। না হলে দর্শক পছন্দ করেন না। ‘জয়ী’র জামাই ষষ্ঠী শুট হয়েছিল দাসানি টু স্টুডিওতে। জামাইদের যে ভাবে অনেক খাবার খাওয়ানো হয় সে রকম ভাবেই প্রচুর খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। সে সব আয়োজন করতে আর্ট ডিপার্টমেন্টের লোকজনকে প্রচুর খাটতে হয়েছিল। ডিরেকশন ডিপার্টমেন্টেরও কাজ বেড়ে
গিয়েছিল। ঠিকঠাক সময়ে শট না নিলে খাবারগুলো নষ্ট হয়ে যেত।
এ দিকে যেই শট শেষ হচ্ছে অমনি শাশুড়ি, জামাই, মানে আমি, আমার বউ, মানে দেবাদৃতা, বউয়ের বাবা, ডিরেক্টর, এমনকি ক্যামেরাম্যানও ‘দেখি তো এটা কেমন হয়েছে’ বলে চিংড়ি খেয়ে নিল। সবাই মিলে খাবারগুলো খেয়ে নিচ্ছিলাম। পুরো ব্যাপারটা খুব মিস করি। পুরো সিন এবং বিহাইন্ড দ্য সিন এখনও আমার চোখের সামনে ভাসে। সত্যি বলতে, দর্শক তো দৃশ্যটা উপভোগ করেন, কিন্তু আমরাই জানি বিহাইন্ড দ্য সিন সবাই মিলে কী মজা করি। সেগুলো চোখে না দেখলে হয়তো কেউ বিশ্বাস করবে না।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে পরবাসের পাতানো জামাই
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার বাস্তবের জামাই ষষ্ঠী কবে আসবে বা কী ভাবে পালন করব জানি না। ভবিষ্যতে আমার যিনি শাশুড়ি হবেন তিনি যে ভাবে মনে করবেন সে ভাবেই দিনটা পালন করবেন। এমনকি, এ সব রিচুয়ালে বিশ্বাস না থাকলে তিনি দিনটা পালন না-ও করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ তাঁর ইচ্ছা এবং তাঁর ইচ্ছাকেই আমি সম্মান জানাবো।
আরও পড়ুন: বাঙালির স্মৃতিতে জামাই ষষ্ঠীর স্মৃতি অমলিন রেখেছে পঞ্জিকা
এই সময়টা খুব খারাপ। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো প্রয়োজন। মানুষের মন ভাল করার জন্য দরকার বিনোদন। শুধু টেলিভিশন বলছি না, যে কোনও ফর্মে খাবারের পাশাপাশি বিনোদনও দরকার।