—ফাইল ছবি
আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকেই প্রত্যেকটা দেবদেবীর পুজো করার নানা ব্যাখ্যা রয়েছে। তাঁর সঙ্গে উপদেবতারও পুজো করার প্রচলন রয়েছে। এমনই একটি মা ষষ্ঠীর পুজো। সাধারণত সন্তানের মঙ্গল কামনার্থে মায়েরা এই পুজো করে থাকেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে সন্তান প্রাপ্তির আশাতেও এই পুজো করা হয়। ষষ্ঠীর পুজো সাধারণত মহিলারাই করে থাকেন।
প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, তা হলে জামাই ষষ্ঠীর উদ্দেশ্য কী। কী কারণে জামাই ষষ্ঠী পালন করা হয়? মা ষষ্ঠীর সঙ্গে জামাই ষষ্ঠীর সম্পর্ক কী?
এক সময়ে সংস্কার ছিল যে, ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মেয়ের বিয়ের পর তার বাবা বা মা মেয়ের বাড়িতে তত দিন পর্যন্ত যেতে পারবেন না, যত দিন না মেয়ে সন্তানসম্ভবা হন বা সন্তানের জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: আমি এখন পুরনো জামাই, কিন্তু আদর আজও কমেনি
এর ফলে মেয়ে কোনও ভাবে সন্তান ধারণে অক্ষম বা প্রসবে বাধা এলে বাবা-মায়ের দীর্ঘদিন কেটে যেত মেয়ের মুখ দর্শনে। বর্তমানে এই প্রথা একটু বদলে গিয়েছে। এখনকার যুগে নিয়ম হয়েছে, যিনি কন্যা দান করবেন, তিনি এক বছর মেয়ের বাড়িতে কিছু খেতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে বিবাহিত কন্যার মুখদর্শন কী ভাবে ঘটবে? তাই সমাজ বেছে নিল এই পথ। জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিনটিকে বেছে নেওয়া হল জামাই ষষ্ঠী হিসেবে। যেখানে মেয়ে জামাইকে নিমন্ত্রণ করা হবে এবং তাঁদের সমাদর করা হবে। সঙ্গে মা ষষ্ঠীর পুজো করা হবে যাতে মেয়ে-জামাই শীঘ্রই সন্তানের মুখ দেখতে পান।
আরও পড়ুন: বাঙালির স্মৃতিতে জামাই ষষ্ঠীর স্মৃতি অমলিন রেখেছে পঞ্জিকা
জামাই ষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেওয়া হয় মা ষষ্ঠীর আশীর্বাদ রূপে। এর ফলে মেয়ের মুখ দেখা সম্ভব হল। এই উৎসবের নাম হল জামাই ষষ্ঠী। এই দিন শাশুড়িরা খুব ঘটা করে এই পুজো করে থাকেন।