শীত মানেই পার্টি। আর ক্রিসমাস ইভ পার্টি ছাড়া ভাবা যায় বলুন?
তবে এ বার কলকাতায় নয়। সব সেলিব্রেশন কলকাতার বাইরে। শো করতে নর্থ বেঙ্গল যাচ্ছি। কাজ তো করবই। সঙ্গে পার্টিও। শো শেষ হলেই পুরো পার্টি মুডে চলে যাব।
আমি লোরেটোর ছাত্রী ছিলাম। ফলে বুঝতেই পারছেন আমার স্কুল জীবনে ক্রিসমাসের একটা বড় ভূমিকা ছিল। স্কুলে খুব বড় করে পালন করা হত। ক্রিসমাস ক্যারল হত, আমিও গাইতাম। চার্চে যেতাম। এমনিতেও কি জানেন, কোনও ধর্ম বলে আলাদা করে নয়, প্রতি শুক্রবার চার্চে যেতে আমার দারুণ লাগে। কাজের চাপে হয়তো হয়ে ওঠে না সব সময়। কিন্তু চার্চের ভিতরে গেলে এত শান্তি পাই, যেন স্বর্গীয় পরিবেশ…অসাধারণ।
আপনাদের বলছিলাম না, ছোট থেকেই ক্রিসমাস আমার কাছে খুব ইমপর্ট্যান্ট। জানেন, আমার প্রথম পুতুল ছিল সান্তাক্লজ। এখনও আছে সেটা। যদিও হাত-পা সব ভেঙে গিয়েছে। ছোট থেকেই দেখেছি, প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বর রাতে বাবা পার্কস্ট্রিট নিয়ে যেত ডিনারে। ওটাই রুটিন ছিল। পার্ট অফ দ্য সিস্টেম। সেই রেওয়াজ এখনও রয়েছে। তবে এ বছর যেমন কলকাতায় থাকছি না বলে ক্রিসমাস স্পেশাল ডিনারটা মিস করব।
ক্রিসমাস এগিয়ে এলেই আরও একটা জিনিসের লোভ হয় আমার। শুধু ক্রিসমাস কেন, গোটা শীতকাল জুড়েই সেই লোভটা থাকে। ক্রিসমাসে একটু স্পেশাল…। কী বলুন তো? আসলে আমার দিদু ভীষণ ভাল কেক বানায়। প্রতি বছর ওয়েট করে থাকি। এ বছরও পেয়ে যাব ক্রিসমাসে দিদু স্পেশাল কেক।