তখন ছোট ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ, খবরের কাগজে খেলার পাতা থেকে ক্রিকেটারদের ছবি কেটে স্ক্র্যাপবুক-এ আঁটতেন। তাতে গাদাখানেক ছবি ছিল শুধু পটৌডি’র। তাঁর বিভিন্ন ভঙ্গির ছবি সংগ্রহ করতেন নাসির, বলেছেন, যত রকমের ‘অ্যাঙ্গেল’ থেকে পাওয়া যায়। কারণ, মানুষটার চৌম্বকশক্তি খেলার মাঠের মতো খবরের কাগজের পাতাতেও একই রকম জীবন্ত, মনে হত নাসিরের। মনসুর আলি খানকে নিয়ে স্মৃতিকাতর তিনি: ‘সেই সময়টার ভিতর দিয়ে গিয়েছি, যখন আপনি খেলতেন।’ স্মৃতি শর্মিলা ঠাকুরের স্বরেও, ‘তরুণ বয়স থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একই রকম ছিলেন মানুষটা— পরিণতমনস্ক, শান্ত, দায়িত্ববান, অত্যন্ত আত্মমর্যাদাসম্পন্ন।’ শর্মিলার রচনাটি মুখবন্ধ সুরেশ মেনন সম্পাদিত পটৌডি/ নবাব অফ ক্রিকেট (হার্পার স্পোর্টস, ৪৯৯.০০) বইটিতে। কে না লিখেছেন এতে! একদিকে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার, আব্বাস আলি বেগ, সুনীল গাওস্কর, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো ভারতীয়, অন্য দিকে মাইক ব্রিয়ারলি, ইয়ান চ্যাপেল, টনি লুইসের মতো ভিনদেশি নক্ষত্র। ক্রিকেটের বাইরেও নাসির, এন রাম, এম জে আকবর, বা রাজদীপ সরদেশাই। সঙ্গে পটৌডি’র ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিং-ফিল্ডিংয়েরও অনুপুঙ্খ নথি; তাঁর নানা বয়সের ক্রিকেট ও ব্যক্তিজীবনের ছবি। স্মৃতিগ্রন্থটি পটৌডি’র প্রথম টেস্ট (’৬১) থেকে শেষ টেস্ট (’৭৫) অব্দি সেই সময়ের খাতা খুুলে দেয়, যখন তিনি নবাব ছিলেন ক্রিকেটের।